অনলাইন
আসিফ নজরুলের মালয়েশিয়া সফরে কি পেল বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার, মালয়েশিয়া থেকে
(২২ ঘন্টা আগে) ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১১ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে এবার দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও আশ্বাস নিয়ে ফিরছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় সফরের সময় শেষ মুহূর্তে ১৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথম দফায় ৭ হাজার ৯২৬ জন কর্মীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে মালয়েশিয়া। খুব শিগগিরই তাদের কাজের অনুমতি দেয়া হবে।
এছাড়া, পরবর্তী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া এক থেকে দেড় লাখ বিদেশি কর্মী নিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা অনুরোধ করেছি যেন বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্টদের জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হয়, যাতে প্রতিটি সংস্থার সমান সুযোগ থাকে। মালয়েশিয়া সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা না পাওয়ার অভিযোগও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, অন্য দেশের কর্মীরা মাল্টিপল ভিসা পেলেও আমাদের কর্মীরা এখনও সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পাচ্ছে। আমি এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। তিনি সরাসরি কিছু না বললেও, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়মিতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের বিষয়েও বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ড. নজরুল বলেন, অনেক সময় মালিকপক্ষের গাফিলতিতে কর্মীরা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। আমি অনুরোধ করেছি, এসব ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।
এছাড়া নিরাপত্তাকর্মী, কেয়ারগিভার এবং নার্সসহ দক্ষ কর্মী পাঠানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া এই খাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আলোচনা চলমান থাকবে।
আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক এই অগ্রগতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুসারে আমরা কাজ করছি এবং আশাবাদী যে এই সফর বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে।
সব মিলিয়ে আসিফ নজরুলের মালয়েশিয়া সফর বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত
ভারতের 24 লক্ষ লোকের চাকুরি থেকে বিদায় দিয়ে। বাংলাদেশের 24 লক্ষ ঢুকিয়ে দিলেই হয়। মালয়েশিয়ার যাওয়ার কি প্রয়োজন।