প্রথম পাতা
শুধু নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্ব নিইনি
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মে ২০২৫, শনিবার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের মিটিংয়ের পরে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। আসলে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনটা মোটা দাগে আমাদের দায়িত্ব। তিনটিই কঠিন দায়িত্ব। একটা হলো-সংস্কার, আরেকটা বিচার, আর বাকিটা হলো-নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য তো আমরা দায়িত্ব নিইনি। আরও দুটো দায়িত্ব আছে, সেগুলো আসলে আমরা পালন করতে পারছি কিনা। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যার যতরকম দাবি আছে, সব দাবি নিয়ে তারা রাস্তায় বসে যাচ্ছেন। রাস্তা আটকে দিচ্ছেন, একদম ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়ছে। সেই অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। এগুলো আলোচনা করে আমরা চিন্তা করলাম। আমাদের এই দায়িত্বটা কিন্তু জাতীয় দায়িত্ব।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, আমরা ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। এই দায়িত্বটা পালন করা তখনই আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে, যখন আমরা সকলের সহযোগিতা পাবো। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা আরেক। প্রত্যাশা অনেকের থাকতে পারে, আমাকে তো একটা এনাবেলিং এনভায়রনমেন্ট থাকতে হবে প্রত্যাশাটা পূরণ করার জন্য। আমরা চিন্তা করেছি, আসলে আমরা পারছি কিনা, এই যে প্রতিবন্ধকতাগুলো হচ্ছে, বড় দাগে আমাদের তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য এই প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা কীভাবে মোকাবিলা করবো, আদৌ মোকাবিলা করতে পারবো কিনা, যদি মোকাবিলা করতে পারি কীভাবে মোকাবিলা করবো, যদি মোকাবিলা করতে না পারি তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে, আমরা সকলে মিলে চিন্তা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যদি কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন, আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, উনি একটা সময় দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও সুযোগ হওয়া উচিত ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে যে, একটা সময়সীমা দিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন কিছু কিছু গুরুদায়িত্ব তো আছেই, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। ওনার যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি, ওটা আপনারা ওনার কাছ থেকে শুনবেন।’
চাপ আছে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাপ, হচ্ছেটা কী আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা, আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। ধরেন আপনি এখন এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন, সচিবালয় থেকে যমুনায় যাবেন, যেতে পারবেন না। কারণ রাস্তা বন্ধ। অনেক সমস্যা আছে, যেটা আলাপ-আলোচনা করলেই হয়তো করা যায়। চাপ হলো, আমাদের নিজেদের পারফরমেন্স চাপ। আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না।’
রিজওয়ানা বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। যদি না পারি-আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ আছে, তাহলে দায়িত্ব পালন করাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকলো না।’
দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। রিফর্ম কমিশনগুলো তাদের রিপোর্ট দিয়েছে, সেটার ওপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। এটা কি পারা না? এটা তো পারা। আমরা একটা নির্বাচনের সময়সীমা বলে দিয়েছি। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অবশ্যই হবে। সেটাও একটা পারা। আরেকটা হলো বিচার, ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল, এখন দুইটা। আগামীকাল থেকে ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক পর্যায় শুরু হবে।
পাঠকের মতামত
সুন্দর করে কথা বলতে পারলেও পরিবেশ- পরিস্থিতির কারণে সব কথা সব জায়গাতে, সব সময় বলা যায় না।এসব কথা রাষ্ট্রের সংকট মুহুর্তে জনগণের মনে দীর্ঘদিন ভোট দিতে না পারার ক্ষুব্ধ মনে খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
মন্তব্যের অংশে অনেক নব্য ফ্যাসিবাদের দালাল দেখছি, এগুলো টাকায় ভাড়া করা, তা সহজেই বুঝলাম, কারণ তারা পুরো প্রতিবেদন না পড়েই মন্তব্যগুলো করছে, যেমন একজন বলছেন, " নির্বাচন দিতে না পারলে বিদায় হন", আরেকজন লিখেছে, "for enjoy the power" এরা দুজনেই ভাড়া করা কমেন্টকারী। তারা পুরা প্রতিবেদনটি পড়েইনি। উপদেষ্টা বলছেন, শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাদের উপর আছে, যেমন সংস্কার।
তাহলে আপনি কেন এসেছেন। নির্বাচন দিতে না পারলে চলে যান।
আপনারা শুধু নির্বাচনের জন্য আসেন নাই যাক ভালো কথা তো কি জন্য আসছে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে কাঁঠালের খোঁজ খাওয়ার জন্য আমার তো মনে হয় এরকমই এখন একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়ে যত তাড়াতাড়ি পারেন এখান থেকে বিদায় নিতে
অনেকের মুখে কথা ফুটেসে ১৭ বছর বিড়াল ছিল। লুটের জন্য নির্বাচন চাইতেছে এটা সবাই জানে।
for enjoy the power?
বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচন একমাত্র সমাধান। আপনারা মিঠা মিঠা কথা বলে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। দেশের জনগণ দীর্ঘ দিন থেকে ভোট থেকে বঞ্চিত,তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করে সস্বম্মানে বিদায় নিন।
বাংলাদেশের হাজারটা সমস্যা। এ গুলি জনগণের নির্বাচিত সরকার ই করতে পারবে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, আইনশৃঙ্খলার অবস্তা অত্তান্ত খারাপ। এই নয় মাসে বারোটা বেজে গেছে। জনপ্রতিনিধের হাতে ক্ষমতা দিয়ে মান সন্মানের সাথে বিদায় হওয়াই উত্তম।
আপনারা অনেক কিছু করেছেন তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের অনাগ্রহ আছে যা বিভিন্ন সময়ে আপনার ও আরো দুই একজন উপদেষ্টার খোঁচা মূলক বক্তব্য দেন অনুমেয়।
You have no mandate do other's, reform must doing by elected government. you're nobody for reform.
দ্রুত নির্বাচন দিতে না পারলে দয়া করে বিদায় হোন! নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন জনগণ মেনে নেবে না!
জনগনের সম্পদ লুটপাটকারী কোন দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ছাত্ররা জীবন বিসর্জন দেয়নি।
মাননীয় উপদেষ্টা ম্যাডাম , পাশাপাশি বিগত নয় মাসে নিজ মন্ত্রণালয়ের অর্জন/ সফলতা কতটুকু সেটাও জাতির কাছে তুলে ধরবেন বলে আশা করছি।