প্রথম পাতা
উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি
দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মে ২০২৫, রবিবারদায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভা শেষে শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। এতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে উপদেষ্টা পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এ দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
পাঠকের মতামত
জনগণ ড. ইউনুসের সাথে আছে। অঅপনি হা/না ভোট দেন। দেখেন জনগণ কি চায়। তারা নির্বাচন চায় নাকি সংস্কার চায়।
প্রয়োজনে জনগনকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে তবুও নির্বাচনি রোড ম্যাপ দিবেনা। জনগন কারা, ঢাকা বাসীর নামে যারা রাস্তায় এতোদিন যাবত আন্দোলন করছে তারা জনগন নয়। আমার তো মনে হয়না এ সরকার টাকা খরচ করেও খালেদা জিয়া দেশে ফেরার দিন যে পরিমান লোক হয়েছে তার অর্ধেক সংগ্রহ করতে পারবে। আমরা দেখেছি এনসিপি কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ৫০ হাজার লোক আনতে পারেনি। গাজীপুর, মানিকগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকা হতে আসা নারিরা বলতেই পারেনা কোন দলের জনসভায় এসেছে
আপনাদের বর্তমান প্রশাসনকে বলুন ১০০% নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করতে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে যে দল মত ও প্রভাবশালীই হোক প্রমান পেলে তাকে দ্রুত আইন ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে বলুন।
শুরু থেকেই কঠোর হওয়ার প্রয়োজন ছিল, কারন বানরকে কাছে ভিড়তে দিলে ঘারে উঠে সুতরাং এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতা লোভী যেকোনো মুল্যে ক্ষমতা চায় বা টিকে থাকতে চায়, এদের দেশের প্রতি সামান্যতম-চিন্তা,চেতনা,ভালবাসা নাই যার ফলে ৫৩ বছরেও দেশের এই করুন অবস্থা, এরা মুখে বলে এক কিন্তু কাজে করবে অন্যটা, কোরআনের ভাষায় এসমস্ত লোকদেরকে বলে মোনাফেক
উপদেষ্টা পরিষদের এই বিবৃতি রাজনৈতিক দলের বিবৃতির মত শোনালো। এটা কোন অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি হতে পারে না। ক্ষমতা থেকে ইউনুস সরকারকে নামানোর জন্য কোন একটি দলকেও (হোক বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা সিপিবি) যদি আন্দোলন করতে হয়, তবে জাতী হিসেবে সেটা আমাদের জন্য হবে খুবই দূর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার। রাজনৈতিক দলের মত জনগণের দোহাই দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যদি তেমন পরিস্থিতি তৈরি করে তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথম থেকেই ছাত্ররাই আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে, এমন কথা বলে এখন তাদের সুরে সেই টোনে কথা বলা দেশের জন্য ক্ষতিকর।
বিপ্লবী সরকার চাই।
আপনাদের দায়িত্ব পালনে কোনো রাজনৈতিক দল যদি বাধার সৃষ্টি করে জনগণকে সঙ্গে পেতে হলে আন্দোলনের স্বার্থে আগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ কে অবশ্যই সরকার থেকে ডিসমিস করতে হবে অন্যথায় আন্দোলন সফলতার মুখ দেখবে বলে আমি মনে করি না।