অনলাইন
সহযোগীদের খবর
রোডম্যাপের আশ্বাস মেলেনি
অনলাইন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩২ অপরাহ্ন

কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘রোডম্যাপের আশ্বাস মেলেনি’। খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার কোনো আশ্বাস মেলেনি তাঁর পক্ষ থেকে। ফলে অসন্তুষ্ট দলটি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পুরনো কথাই বলেছেন।
গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বৈঠক শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে। বিএনপির পর জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের মতভিন্নতা; সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগের ভাবনা’—সব কিছু মিলিয়ে দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া অস্থিরতার মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পাশাপাশি সংস্কারেরও রোডম্যাপ চায় দলটি। তবে এনসিপি জুলাই গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদ এবং গণপরিষদ ও আইন সভা নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ একত্রে ঘোষণা করার কথা বলেছে।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য কালের কণ্ঠকে বলেন, এই বৈঠকের কোনো ফলাফল নেই। বড় রাজনৈতিক ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আশা করেছিলেন তাঁরা।জামায়াত মনে করে, নির্বাচনের রোডম্যাপ দরকার।
তিনি সেই অর্থে তেমন কোনো কথা বলেননি। শুধু শুনেছেন। নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। ফলে নির্বাচনের রোডম্যাপ আসলে ঘোষণা হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। বৈঠক সূত্র জানায়, বিএনপি রোডম্যাপের দাবি তুললে প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথাই পুনর্ব্যক্ত করেন।
তখন দলটির একজন নেতা বলেন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হলে তো ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কিছু জানাননি। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোডম্যাপের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রধান উপদেষ্টা জানাননি। বিএনপির পক্ষে দাবিগুলো উনাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তাঁরা হয়তো পরে জানাবেন।’
আপনারা আলোচনায় সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এখনই প্রতিক্রিয়া জানানোর দরকার নেই। উনারা প্রেস প্রতিক্রিয়া জানালে আমরা পরে জানাব।’
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজ এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করে আসছে। কিন্তু ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন দলটির নেতারা।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মধ্যে আসছে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। আমরা বলেছি, একটার সঙ্গে আরেকটার সম্পর্ক নেই। কারণ সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করেছি, এই সরকার সবার সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা সংস্কার দেবে। সেটা চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে জনগণ যদি আমাদের ক্ষমতায় বসায় আমরা চলমানভাবে সংস্কারগুলো বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা নেব।’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবি আমরা জানিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা। যেকোনো অছিলায় নির্বাচন যত বিলম্ব করা হবে, আমরা মনে করি দেশে আবার স্বৈরাচার ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। স্বৈরাচার ফিরে এলে এর দায়দায়িত্ব বর্তমান সরকার ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর বর্তাবে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি। বরং প্রথম দিন থেকে এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দুই ছাত্র উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তাঁদের কর্মকাণ্ডের কারণে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে আমরা বলেছি।’
মূলত সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয়ের ওপর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব, এই আলোচনাও হয়েছে।
গতকাল রাত পৌনে ৮টায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন তাঁর তিন সহকর্মীকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’য় প্রবেশ করেন। ৮টা ৩৫ মিনিটে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও ছিলেন।
জামায়াতও রোডম্যাপ চায়
নির্বাচন কবে হবে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানও। বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে জনগণের বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়া একটি স্বস্তিজনক সময়ে নির্বাচন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘সবাই এগিয়ে এলে অর্থবহ সংস্কারের মধ্য দিয়ে অর্থবহ নির্বাচন হতে পারে। সবাই সেই দিনের অপেক্ষায়।’
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
সমাজে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা কেটেছে—উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘জামায়াত এর স্থায়ী নিষ্পত্তি চায়। দুটি রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ। এই দুটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।’
জামায়াতের আমির মনে করেন, সময়টি কখন, সেটির একটি রোডম্যাপ (পথনকশা) দরকার। পাশাপাশি সংস্কারেরও রোডম্যাপ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আবার সব সংস্কার এই সরকার করতে পারবে না। মাত্র পাঁচটি সংস্কারে সরকার হাত দিয়েছে। সেগুলো সন্তোষজনকভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির জানান, তাঁরা কোনো উপদেষ্টার পদত্যাগ চাননি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট কোনো নির্বাচনের সময়ের কথা বলেননি। তিনি শুনেছেন।’ তাঁর কথা তাঁদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘তিনি একটি অর্থবহ নির্বাচন চান।’ বৈঠকে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
হাসিনার আমলের সব নির্বাচন বাতিল চায় এনসিপি
শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সব নির্বাচন (জাতীয় ও স্থানীয়) আনুষ্ঠিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
গতকাল শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান এনসিপির আহবায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন করেছিলেন, যেখানে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। রাতের ভোট ও ডামি প্রার্থীর ভোট হয়েছে।’
শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তখন এসব নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সেই নির্বাচনগুলো আবার আদালতে নিয়ে গিয়ে এক ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। সেই বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেই আগের নির্বাচনগুলো আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণা যাতে করা হয়।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর এনসিপি আস্থা রাখতে পারছে না উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইসি পুনর্গঠন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যাতে দ্রুত আয়োজন করা হয়, তা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি আমরা।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদ এবং গণপরিষদ ও আইন সভা নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ একত্রে ঘোষণা করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি।’
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নাহিদ ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। আজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টা আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সংস্কার ও বিচার অব্যাহত রেখেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি’। খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নয়, তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থার কথা জানিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকেই প্রাধান্য দিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এ তিনটি পরস্পর সম্পৃক্ত বলে যে বিতর্ক চলছে, সেটির ব্যাপারেও দলটি অভিমত জানিয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, এর একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তাই সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেই নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে অসুবিধা নেই। ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন সম্ভব।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল এ কথাগুলো জানিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যদের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠক শেষে তাঁরা যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিএনপির পর রাত আটটায় জামায়াতে ইসলামী এবং সাড়ে আটটায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয়।
তিনটি বৈঠকেই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছিলেন। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন, তবে তিনি এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের সময় ছিলেন না।
বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো আশ্বাস পানি তাঁরা। এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা প্রধান উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দেওয়ার দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো কথা বলেননি। বিএনপির নেতাদের ভাষ্য, বৈঠকের এই আয়োজন তাঁদের কাছে অনেকটা প্রদর্শনমূলক মনে হয়েছে।
এ ছাড়া বৈঠকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের উপস্থিতি নিয়েও বিএনপির নেতাদের মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। কারণ, বিএনপি যাঁদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে, তাঁদের মধ্যে আসিফ মাহমুদও রয়েছেন।
যুগান্তর
‘কাটবে কি দুর্যোগের কালো মেঘ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘পদত্যাগ চিন্তা’কে ঘিরে রাজনীতির আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। কালো ঘন মেঘ জমতে থাকে চারদিকে। আশার কথা, শনিবার দুপুরে সে মেঘ হঠাৎ কাটতেও শুরু করে, যখন উপদেষ্টা পরিষদের অনির্ধারিত জরুরি বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানালেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না। তিনি আমাদের সঙ্গে থাকছেন, থাকছেন অন্য উপদেষ্টারাও। অতঃপর চারদিকে যেন হঠাৎ স্বস্তির নিঃশ্বাস।
এরপর সবার নজর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে। কারণ সেখানে সন্ধ্যার পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি প্রতিনিধিদল। যথারীতি বড় প্রত্যাশার বৈঠকগুলো একে একে শেষ হয়। প্রতিটি দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়। প্রতিটি দল থেকেই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দীর্ঘ লিখিত বক্তব্যের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে দুটি দাবির কথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ।
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন ও সংস্কার প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে। এছাড়া তারা এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে চায় জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার ওপর। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) লিখিতভাবে পাঁচ দফা দাবির কথা তুলে ধরে। এর মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়সীমা সমর্থন করলেও তারা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবিলম্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং যথাসময়ে জুলাই ঘোষণাপত্রের বাস্তবায়ন দেখতে চায় দলটি।
সমকাল
‘পরিস্থিতি মোকাবিলার পক্ষে উপদেষ্টারা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আপাতত পদত্যাগ নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পক্ষে মত দিয়েছেন উপদেষ্টারা। বিতর্কের জন্ম দেওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আত্মসমালোচনাও ছিল সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের বক্তব্যে। বড় সময়জুড়ে আলোচনায় ছিল জুলাই ঘোষণাপত্র। উপদেষ্টারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। শেষমেশ কাজে বাধা এলে সরকার হিসেবে কঠোর হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা শেষ করেছেন উপদেষ্টারা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হলে সব কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আপাতত পদত্যাগ নয়, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পক্ষে মত দিয়েছেন উপদেষ্টারা। বিতর্কের জন্ম দেওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আত্মসমালোচনাও ছিল সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের বক্তব্যে। বড় সময়জুড়ে আলোচনায় ছিল জুলাই ঘোষণাপত্র। উপদেষ্টারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। শেষমেশ কাজে বাধা এলে সরকার হিসেবে কঠোর হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা শেষ করেছেন উপদেষ্টারা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বৈঠক শেষে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারের দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হলে সব কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বণিক বার্তা
‘বহাল থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, বাড়ছে করহার’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত ছিল ভবিষ্যতের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা প্রদর্শিত (সাদা) করার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। অর্থ উপদেষ্টাসহ একাধিক উপদেষ্টা বিভিন্ন সময় তাদের বক্তব্যেও বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কালো টাকা সাদা করার বিধান রেখেই বাজেট প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির সে প্রস্তাব পাস হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ থাকছে।
আগের মতো অবশ্য ঢালাও ভাবে নয়; কেবল স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্লোর স্পেস ও জমি কেনার ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে বিদ্যমান করহার সর্বোচ্চ সাত গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এদিকে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে করহার বাড়ানো হলেও জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনের কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বাজারমূল্যে দলিল নিবন্ধন উৎসাহিত করতে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
বাজেটের নীতি তৈরির সঙ্গে যুক্ত এনবিআর কর্মকর্তাদের কেউই অবশ্য এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ভেটিং সম্পন্ন হয়েছে এরই মধ্যে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২ জুন বাজেট ঘোষণা করবেন। উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্যও চূড়ান্ত হয়েছে।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ভোটের রোডম্যাপ চায় সব দল’। খবরে বলা হয়, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় পর্যায়ক্রমে এই তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
বৈঠকে বিএনপি দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার এবং তিন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বলে দলটির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। বর্তমানে দলটি এই দুটি দাবি জানাচ্ছে।
প্রথমে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর জামায়াত ও সবশেষে এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির প্রতিনিধিরা।
দেশ রূপান্তর
‘পদত্যাগ না করতে রাজনৈতিক ঐক্য’-এটি দৈনিক দেশরূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ইচ্ছা পোষণের খবর নাড়িয়ে তোলে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলকে। সাধারণ মানুষও ভাবতে থাকে দেশের ক্রান্তিকালে কী হতে যাচ্ছে? এ নিয়ে দেশ-বিদেশে শুরু হয় নানা আলোচনা। গত দুদিনে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহল থেকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ আসতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে যুক্ত থাকা বড় একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ করবেন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর রাজনীতিতে বিভক্তি, দলগুলোসহ সরকারের অংশীজনদের বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থ নিয়ে বিরোধ এবং সরকারকে অসহযোগিতার বিষয়টি দৃশ্যমান হয়। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন। সেখানে আবারও রাজনৈতিক ঐকমত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের পর গতকাল রাতে যমুনার সামনে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ জুন সুনির্দিষ্ট ডেট। নির্বাচন এর বাইরে যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, প্রফেসর ইউনূস বারবার বলেছেন, ইলেকশন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। ... এই জুন, ৩০ তারিখটা একটা সুনির্দিষ্ট ডেট। উনি বলছেন যে, এর বাইরে যাবে না। উনি এক কথার মানুষ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘নানান দুশ্চিন্তা উদ্বেগ প্রশাসনে’। খবরে বলা হয়, কী হতে যাচ্ছে আগামীতে। নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে, নাকি হবে না। দেশের শৃঙ্খলা কি আরও ভেঙে পড়বে? এ থেকে উত্তরণ কোন পথে? এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ রয়েছে প্রশাসনের মধ্যে। এ ছাড়া পছন্দের পোস্টিং না পেলে ঊর্ধ্বতনকে ‘আওয়ামী দোসর’ ট্যাগ দেওয়ায় এ নিয়ে প্রশাসনে রয়েছে চরম অস্বস্তি।
জনপ্রশাসনসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। মাঠ প্রশাসন থেকে সচিবালয়, অনেক স্থানে ঘেরাও ও নানান কর্মসূচিতে নিয়মিত কাজকর্ম প্রায়ই বিঘ্নিত হচ্ছে। শঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আবার যে-কেউ তাদের দাবি আদায়ের জন্য যখন তখন রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছেন। কারও আন্দোলনের যৌক্তিকতা থাকলেও অনেকেই অযৌক্তিক আন্দোলনও করছেন। কেন্দ্র থেকে মাঠ প্রশাসনের সর্বস্তরে ভেঙে পড়েছে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা তথা ‘চেইন অব কমান্ড’ ব্যবস্থাও। মাঠ প্রশাসনে ভালো কাজ করেও অনেকে তিরস্কৃত হচ্ছেন সিনিয়র দ্বারা। এতে কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন আবার গতিও কমে এসেছে।
একজন সচিব নাম প্রকাশ না করে বলেন, এসিল্যান্ড, ইউএনও বা ডিসিরা অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কারণ হলো পরে ওই কর্মকর্তার পাশে যদি মন্ত্রণালয় না থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে কোনো ব্যানারে আন্দোলন করলেই কর্মকর্তাদের উঠিয়ে আনা হয়েছে ফলে এখন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি দেখছেন। এদিকে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (তৎকালীন দুদক সচিব) মোখলেস উর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ৪৪ সচিব ও ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ নামে একটি সংগঠন। এসব নিয়েও অস্বস্তি রয়েছে প্রশাসনে। তবে মোখলেস উর রহমানের নামে মামলার আবেদনে অনেকে ভিতরে ভিতরে বেশ খুশি। কারণ তিনি অন্য কর্মকর্তাদের কথা শোনেন না, এ কারণে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে ব্যর্থতার জন্য অনেকটা প্রকাশ্যে তাঁকেই দায়ী করা হচ্ছে। এ কারণে মামলার আবেদন হওয়ায় প্রশাসনের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলেও অনেকেই খুশি।
পাঠকের মতামত
তাঁদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনকই মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত মান সম্মান নিয়ে বিদায় নিতে পারে কিনা কে জানে।