অনলাইন
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৫:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৫৩ অপরাহ্ন

ফাইল ফটো
তিন দফা দাবি আদায়ে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
রোববার সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত ২১শে মে থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। তার আগে এক ঘণ্টা এবং দুই ঘণ্টা করে পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতি পালন করা হয়।
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো- কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম (এগারো) গ্রেডে বেতন নির্ধারণ; ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।
পাঠকের মতামত
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে মেধাবী ও ন্যুনতম স্নাতক ২য় শ্রেণী যোগ্যতা সম্পন্ন নিয়োগ দেয়া উচিৎ। তাদেরকে সম্মানজনক বেতন দেয়া দরকার। বর্তমানে শিক্ষকগণ নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন কি না তা নিয়মিত তদারকি করা প্রয়োজন। আমি কোনো এক জেলায় সরকারি চাকরির কারণে এক বাসায় ভাড়া থাকতাম। বাড়ির মালিকের স্ত্রী কোনো এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। প্রায় শুনতে পেতাম শিক্ষকরা ক্লাস না নিয়ে শিক্ষকদের কক্ষে বসে বাদাম খেতেন ও গল্প করতেন, এ জন্য বকাবকি করলেও তারা তেমন কর্ণপাত করতেন না। ইতোপূর্বে ৩ বার বেতন গ্রেড উন্নিত করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়নি। অতএব.....
ধান্দাবাজরা পাইছে সুযোগ, কথায় কথায় দাবি আর আন্দোলন, ১৭ বছরতো কোন চুলও ছিঁড়তে পারেনাই, এখন আসছে যত দাবি নিয়ে! অপদার্থের দল কোথাকার!
জেনে বুঝে সুস্থ মস্তিষ্কে আমি ১৩তম গ্রেডে জয়েন করলাম, কিছুদিন পর বললাম, না আমাকে ১১ তম গ্রেড দিতে হবে। এ যেন মামার বাড়ির আবদার।
আমার মনে হচ্ছে সরকারকে বিব্রত করতে এই অযোক্তিক দাবি তোলা হচ্ছে । এখন সরকারের উচিত এদের নেতা নেত্রী ধরে এনে রিমান্ডে নেয়া হোক এবং আসল রহস্য উদঘাটন করা হোক । এই সরকার কাহারও দাবি আদায়ের জন্য নয় ।
কি একটা অবস্থারে ভাই!☹
তারা যেহেতু জেনেশুনেই ১৩তম গ্রেডে চাকুরী নিয়েছে সেহেতু এখন যে অযুক্তিক দাবি নিয়ে সরকারি কর্মচারী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দলন করছে। তাই দেশের স্বার্থে তাদের চাকুরী থেকে অব্যহতি দিয়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হউক দেখবেন দেশে কেউ আর সরকারি চাকরি করে আন্দলোন করার দুর সাহস পাবেনা।
দেশের জন্য শুভ সংবাদ।
ওরা জেনেশুনে ১৩তম গ্রেডের বেতনের চাকুরীর জন্য আবেদন করেছিল। সুতরাং এখন মামার বাড়ীর আবদার শুরু করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হউক।
রাষ্ট্রের কর্মচারীরা কিভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারে?
মামা বাড়ির আবদার।
এদের বেশিরভাগ দলীয় আওয়ামী নিয়োগপ্রাপ্ত. এরা আদৌ কোনো শিক্ষা দিতে পারে কি না সন্দেহ আছে. সুতরাং এদেরকে চাকরি থেকে বের করে বেকার শিক্ষিত যুবক এবং যুবতী দের নিয়োগ দেওয়া উচিৎ
এক একদিন এক গ্রূপ দাবির মিছিল নিয়ে বসে আছে ! এখানে পলাতক রাজনীতিক কিংবা ষড়যন্ত্রকারীদের যে হাত আছে এমন আলামত স্পষ্ট। অবৈধ লুটপাটের টাকা খেয়ে এরা দেশটাকে ধংস করার পাঁয়তারা করছে।