অনলাইন
‘বিপজ্জনক’ রাসায়নিক নিয়ে কেরালা উপকূলের কাছে ডুবল জাহাজ
মানবজমিন ডিজিটাল
(৬ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৩:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:০৯ অপরাহ্ন

শনিবার বিকেলে আরব সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি কন্টেইনার জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ কেরালার দক্ষিণ উপকূলে নিবিড়ভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিরুবনন্তপুরমের কাছে ভিঝিনজাম থেকে কোচি বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করা জাহাজটি সমুদ্রের উত্তাল পরিস্থিতিতে হেলে পড়ে এবং রোববারের মধ্যে জাহাজের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি কন্টেইনার- যার মধ্যে ‘বিপজ্জনক রাসায়নিক’ ছিল তা পানিতে ডুবে যেতে শুরু করে। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, ওই জাহাজে ছিল ৬৪০টি কন্টেইনার। তার মধ্যে ১৩টিতে ছিল ‘বিপজ্জনক’ রাসায়নিক ক্যালশিয়াম কার্বাইড। সেই সঙ্গে জাহাজের ট্যাঙ্কারে ছিল ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ৩৬৭.১ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল।
রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়লে ক্ষতি হতে পারে সামুদ্রিক প্রাণী এবং মানুষের। ফলে উদ্বিগ্ন কেরালা সরকার এবং উপকূলরক্ষীবাহিনী। সে কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাহাজে ২৪ জন নাবিক ছিলেন। সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও রোববার পর্যন্ত, কোনও তেল ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস (INCOIS) সতর্ক করে দিয়েছে যে যদি তেল ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে দক্ষিণ কেরালার অন্তত দুটি উপকূলীয় জেলা ৩৬ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দূষণের সম্মুখীন হতে পারে। রোববার জারি করা এক বিশেষ পূর্বাভাসে INCOIS-এর পরিচালক টিএম বালাকৃষ্ণান নায়ার বলেন, বর্তমানে তেল ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে না। যদি তেল পড়ে যায়, তাহলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব কমাতে দ্রুত মনোযোগ দেওয়া উচিত।
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আলাপুজা, আম্বালাপুঝা, আরাত্তুপুঝা এবং করুণাগাপ্পলি। উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। কেরালা সরকারের সঙ্গে মিলে এই বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছে। সমুদ্রে কিছু বস্তু ভেসে এলে তা ধরতে বারণ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাহাজ থেকে তেল ক্ষরণ রুখতে যৌথভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষীবাহিনী। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস