বিশ্বজমিন
যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি বন্ধের দাবি ১৩০ দাতব্য সংস্থার
মানবজমিন ডেস্ক
(৫ ঘন্টা আগে) ১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭:৩৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কমপক্ষে ১৩০টি দাতব্য সংস্থা। তাদের সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছে আরও কয়েকটি এনজিও। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, তিন মাস অবরোধ রাখার পর মে মাসে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে জিএইচএফ। মে থেকে এ পর্যন্ত ওই সংস্থা থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫০০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন প্রায় চার হাজার। অক্সফাম, সেইভ দ্য চিলড্রেন ও অ্যামনেস্টির মতো সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিত সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। ইসরাইল অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে এবং জিএইচএফের পক্ষে সাফাই গেয়েছে। বলা হয়েছে, সংস্থাটি হামাসের হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করে যাদের সাহায্য প্রয়োজন তাদেরকে সরাসরি সহায়তা প্রদান করে।
মঙ্গলবার বিশ্বের বৃহৎ কয়েকটি দাতব্য সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিএইচএফ মানবিক কাজের সকল নিয়ম ভঙ্গ করছে। এর মধ্যে ২০ লাখ মানুষকে জনাকীর্ণ অঞ্চলে ত্রাণ নিতে যেতে বাধ্য করা অন্যতম। যেখানে তাদের প্রতিনিয়ত গুলিবিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা আছে। জিএইচএফ গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণের জন্য অপক্ষেমান নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শোনা যায়। হামাস-ইসরাইল ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় প্রায় ৪০০ টি পয়েন্টে ত্রাণ বিতরণ করা হতো। সেখানে জিএইচএফ মাত্র চারটি কেন্দ্র থেকে ত্রাণ বিতরণ করে। এর মধ্যে তিনটি সুদূর দক্ষিণ-পশ্চিমে। একটি গাজার কেন্দ্রস্থলে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিদের সামনে দুটো পথ আছে। হয় ক্ষুধার্ত থাকো নাহয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করো। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার নিন্দা জানিয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস সংস্থাটিকে ‘সহজাতভাবে অনিরাপদ’ বলে অভিহিত করেছেন। শুরু থেকেই জিএইচএফের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। বলা হয়েছে, এটি সাহায্যকে ‘সামরিকীকরণ’ করবে এবং গাজাবাসীকে খাদ্য সংগ্রহের জন্য বিপজ্জনক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ভ্রমণ করতে বাধ্য করবে।