বাংলারজমিন
কাকন বাহিনীর হামলার ভিডিও বিএনপি নেতার নামে অপপ্রচারের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
২ জুলাই ২০২৫, বুধবারগত ৫ই জুন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া ঘাট ইসলামপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালুমহাল দখল করতে হামলা চালায় নাটোরের লালপুরের কাকন বাহিনী। সেই সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচার হয় কাকন বাহিনীর বিরেুদ্ধে। তবে এবার নতুন কৌশল নিয়েছে কাকন। ওই ভিডিও ফুটেজেকে উল্টো ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুর দিকে ঠেলে দিয়ে অপ্রপচার শুরু করেছেন। গত কয়েকদিনে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে ওই হামলার পেছনে জাকারিয়া পিন্টুর নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করিয়েছে কাকন বাহিনী। যার পুরোটাই বাস্তবতা বিবর্জিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেই সঙ্গে নাটোরের বাগাতিপাড়ার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম কর্তৃক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে তা ষড়যন্ত্রমূলক। গতকাল দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অপপ্রচার এবং মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু। ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং তাদের সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান। বলা হয়, গত ৫ই জুন আওয়ামী লীগ নেতা কাকন ও ছাত্রলীগ নেতা শহিদুল বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাড়া ঘাট এলাকায় অস্ত্রের মহড়া, গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর, লুটপাট ও সাধারণ মানুষকে মারধর করে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় গত ৭ই জুন কাকন ও শহিদুলসহ মোট ৩৭ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে গত ২৬শে মে একই বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পদ্মার চরে চাষাবাদ করতে যাওয়া নিরীহ ৮-১০ জন কৃষককে মারধর করে। সেইসঙ্গে ফসল নষ্টসহ কৃষকের ২টি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে আনন্দ উল্লাসে ভুরিভোজ করে।
ভিডিও ফুটেজ দেখে শহিদুল-কাকন বাহিনীর ৬ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই একই ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে কীভাবে জাকারিয়া পিন্টুর নাম জড়িয়ে গত ২৮শে জুন কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করেছে। ঈশ্বরদী বিএনপি’র কিছু সুবিধাবাদী ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারী কাকন বাহিনীকে ব্যবহার করে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত শহিদুল মোল্লার সঙ্গে। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জাকারিয়া পিন্টুর লোকজন আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে বিধায় মামলা করেছি। আমরা বৈধভাবে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছি। এর আগে তারা একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে কিছু নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছে। আর যে ভিডিও ফুটেজের কথা বলা হচ্ছে সেখানে জাকারিয়া পিন্টুর লোকজনই রয়েছে। সেখানে অস্ত্রের মহড়া সব তাদেরই লোকজন। তারাই উল্টো কথা বলছে। ছাত্রলীগ করা ও মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম। আর দল করলে তো মামলা থাকেই। তেমনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটা মিথ্যা মামলা আমার নামে করেছে তারা।