প্রথম পাতা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাসপূর্তি
শহীদি মার্চ আজ
স্টাফ রিপোর্টার
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে একদফার আন্দোলন। আন্দোলনের জেরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান। প্রবল গণআন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ১৫ বছরের বেশি স্থায়ী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হয় ৫ই আগস্ট। রক্তাক্ত এই বিপ্লবে সহস্র ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছেন। আহত-পঙ্গু হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলনে স্বাধীন দেশের ইতিহাসে সাধারণ জনতার উপর নজিরবিহীন বল প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বর্বরতা চালায় আন্দোলনরতদের ওপর। হেলিকপ্টার থেকে চালানো হয় গুলি। ছোড়া হয় টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড। গুলিতে নিহত আন্দোলনকারীদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার মতো বর্বর ঘটনাও ঘটেছে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক পর্যায়ে প্রবল গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এতে অংশ নেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। একের পর অভিনব কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন জোরদার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে যুক্ত হয় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ৩৬ দিনের সফল আন্দোলন শেষ হয় সরকারের নজিরবিহীন পতনের মধ্যদিয়ে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সরকার প্রধান পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণে আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সারজিস আলম বলেন, বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদি মার্চ’ করতে চাই। সারা দেশে ইউনিয়ন থেকে মহানগর সব পর্যায়ে শহীদদের স্মৃতি ধারণ করে, আহত ভাইবোন যারা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, যে ভাইবোনেরা হাত-পা-চোখ হারিয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সারজিস আলম বলেন, আগামীকাল বেলা তিনটায় ঢাকায় শহীদি মার্চ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে। এরপর নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া এভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
একন প্রর্যন্ত কোন ভুমিকা দেকিনাই স্বমনয়কদের আহত ও নিহতদের প্রতি।
৫ আগস্ট ২০২৪। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর আনন্দরত ছাত্রজনতার উপর পুলিশ নির্বিচারে আশুলিয়া, সাভার, উত্তরা পূর্ব, সায়েদাবাদসহ সারাদেশে অসংখ্য মানুষ গুলি করে মেরেছে। এগুলোর তালিকা ও বিচার চাই।
শহীদি মার্চ করার চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল শহীদ পরিবারের সাহায্যের ব্যবস্থা করা এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা । অনেক প্রবাসী আহতদের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাতে আগ্রহী । তাই একটি বা একাধিক সরকারি একাউন্ট প্রবাসীদের জানার ব্যবস্থা করা । হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত ব্যবস্থা করা । হুজুগে চললে সব হাত ছাড়া হবে ।