শেষের পাতা
কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবারকিছু রাজনৈতিক দল প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারা বিভ্রান্ত হয়ে কিছু কথা বলেছেন। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দেশের ভেতরে-বাইরে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কলারোয়া ও সাতক্ষীরার মানুষ এর প্রমাণ। দুই যুগ ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। গতকাল বিকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জনগণের সরকার দরকার মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাস্তা একটি। এজন্য আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপি’র লাখ লাখ মানুষ খুন, গুম ও মামলার শিকার হয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়েছে। কিন্তু জনগণের রাজনৈতিক অধিকার এখনো অর্জিত হয়নি। এজন্য আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপি’র আন্দোলন চলবে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আসুন আমরা দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি যে, এই দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বিএনপি’র রাজনীতি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলে যেসব সম্ভাবনা আছে, তা সামনে এনে দেশকে এগিয়ে নেয়া হবে। এ সময় তিনি সাতক্ষীরার আমতলীর চিংড়ি মাছ ও সুন্দরবনের কথা উল্লেখ করে এসব পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি নারীদের স্বাবলম্বী করার কথা জানান।
সমাবেশে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, এড. শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সজীব, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন প্রমুখ।
বিএনপি এর মধ্যে যে সকল সুবিধাবাদি লোক আছে তাদের চিহ্নিত করুন,এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য দলের ভাব মূর্তি নষ্ট করতে একটুও চিন্তা করেনা।
গত ৭ই জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির কেন্দ্রী নেতাগণ ভারতীয় রাস্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিল যাহাতে ভারত আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে সমর্থন দেয় কিন্তু আপনাদের জানা ও বুঝা উচিত ছিল ভারতে কেন্দ্রে যে দলেরই সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা চোখ বুজে তাদের দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ কে-ই সমর্থন দিবে সুতরাং আপনারা কোনো বিবেকে ও কিসের আশায় এবং কেন ভারতীয় রাষ্টদূতের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন ?
জনাব তারেক রহমান যথার্থ বলেছেন। আমাদেরকে আরো বেশী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে জেনো কোনো অপশক্তি আমাদের দেশকে আবার ভারতের গোলাম বানাতে না পারে!
দেশের সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে গনতন্ত্রের বিকল্প নাই, এর সাথে কোন দ্বিমত নাই। যে নির্বাচনী ব্যাবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচিত হবে সেই নির্বাচনী ব্যাবস্থার স্থায়ী সংস্কার আবারও বলছি স্থায়ী সংস্কার করতে হবে যাতে বারংবার এদেশের মানুষ কে ভোট প্রদানের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে না হয়। আরেকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিবার তন্ত্র থেকে বের হয়ে এসে দলের মধ্যে গনতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। কারন যে দলের মধ্যে গনতন্ত্র থাকবেনা সে দল দিয়ে দেশের গনতন্ত্র আশা করার কোন কারন থাকতে পারেনা।
right.