বিশ্বজমিন
ওহাইওতে অবস্থানকারী হাইতির নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৭:০৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:৫০ অপরাহ্ন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর স্প্রিংফিল্ড শহর থেকে গণহারে হাইতির অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়ে বলেছে, স্থানীয় ডানপন্থি কিছু মানুষ ভুয়া একটি তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে বলা হচ্ছে, হাইতির যেসব মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন তারা লোকজনের বাড়ির পোষা প্রাণীকে খেয়ে ফেলছেন। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকদিন ধরে ঝড় চলছে। লস অ্যানজেলেসের কাছে নিজের গলফ রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ওহাইওর স্প্রিংফিল্ড থেকে ব্যাপক হারে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাবো। উল্লেখ্য, ওই শহরে বসবাস করেন হাইতির প্রায় ১৫ হাজার নাগরিক। তাদের বেশির ভাগই বৈধ। ফলে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে গণহারে হাইতির নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বেআইনিভাবে যারা বসবাস করছেন তাদেরকে বুঝিয়েছেন। ওদিকে গত মঙ্গলবার ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিসের সঙ্গে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্প যেমনটা বলেছিলেন, অভিবাসীরা কুকুর ও বিড়াল খেয়ে ফেলছে। তেমনটা তিনি এদিন নতুন করে আর বলেননি। কারণ, প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ওই মন্তব্য করার পর ব্যাপক উপহাস হয়েছে তা নিয়ে।
এবিসি নিউজের তথ্যমতে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বোমা হামলার হুমকি থাকায় শুক্রবার স্প্রিংফিল্ডে দুটি প্রাথমিক এবং একটি মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখা হয়। তবে হাইতির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, এটা অন্যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এর কোনো স্থান নেই। এটা এখনই বন্ধ হতে হবে। উল্লেখ্য, টেম্পোরারি প্রটেকটেড স্ট্যাটাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাইডেন প্রশাসন। এর অধীনে জুনে তারা যুক্তরাষ্ট্রে অস্থানরত হাজার হাজার হাইতির নাগরিককে বৈধতা দেয়। এর অধীনে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো থেকে আইনগতভাবে সুরক্ষিত রাখবে। একই সঙ্গে তারা কাজ করার অনুমতি পাবেন। হাইতিতে যুদ্ধবাজদের কারণে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ ভয়াবহ খাদ্য অনিরাপত্তার মুখোমুখি।