ঢাকা, ৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

হাসিনাকে উৎখাতে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র প্লট তৈরি করেছিল?

মানবজমিন ডিজিটাল

(১ মাস আগে) ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:৩২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

mzamin

শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে নানা বিতর্ক। বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন হাসিনা নিজেই। কখনো বলছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। কখনো বা বলছেন করেননি। সর্বশেষ অডিও ক্লিপেও একই সুরে কথা বলেছেন। বলছেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন ঠিকই, কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্র- জনতার গণ বিপ্লবের পর সংবিধানের সবকিছু মেনে কি সরকার চলছে? এটা কিন্তু কেউই নিশ্চিত করে বলছেন না। সাংবাদিক আমীর খসরু বলছেন, বিপ্লব সংবিধান মেনে হয় না। বিপ্লবই সংবিধান তৈরি করে। হাসিনা বারবারই বলছেন, তাকে হটাতে আমেরিকার হাত ছিল। কিন্তু আমেরিকা বলছে, তারা এর সঙ্গে যুক্ত নয়। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানেই হাসিনা পদত্যাগ করতে  বাধ্য হয়েছেন। এই অবস্থায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে গার্ডিয়ান চাঞ্চল্যকর একটি খবর দিয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অবশ্য এই খবর নেই। এখানে এ নিয়ে কোনো সময় জল্পনাও ছিল না। যদিও বিএনপিসহ বিরোধী রাজনীতিকরা ২০১০ সন থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু তাদের লক্ষ্য হাসিল হয়নি।

পত্রিকাটি বলছে, পাঁচ বছর আগে থেকেই হাসিনাকে উৎখাতের প্লট তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। কিছু নথিপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করে তাদের এই ধারণাই হয়েছে। ২০১৯ সন থেকে যুক্তরাষ্ট্র হাসিনাকে উৎখাতের প্লট নিয়ে কাজ শুরু করে। এ নিয়ে পাঠকদের কৌতূহল থাকবে। আর সেটা বিবেচনায় নিয়েই দ্য সানডে গার্ডিয়ানের রিপোর্টটি এখানে উপস্থান করছি।  

Documents show U.S. set in motion plan to oust Hasina শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়,  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনাকে অপসারণের পরিকল্পনা  শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের প্রথম  দিকেই। দ্য সানডে গার্ডিয়ানের হাতে আসা  নথিগুলো সেদিকেই ইঙ্গিত করে। নথি মোতাবেক, এই কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাগুলোর ওপর ৷ মঙ্গোলিয়া (১৯৯৬), হাইতি (২০০১) এবং উগান্ডা (২০২১) এর পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) কাছে সর্বশেষ সাফল্য  'বাংলাদেশ' , এটি  সফলভাবে ঢাকার   শাসনব্যবস্থায়  পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে । দ্য সানডে গার্ডিয়ান শোতে দেওয়া অভ্যন্তরীণ নথি অনুসারে, ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি (এনইডি) এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর বৃহত্তর উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করেছে আইআরআই।নথিগুলি আরো  দেখায় যে, কীভাবে ভারতের "হস্তক্ষেপ" প্রতিহত করার জন্য প্রকল্পটি প্রয়োজনীয় ছিল।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক আইআরআই-এর  উদ্দেশ্য হলো- "গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রচার করা  এবং  গণতান্ত্রিক শাসনকে উন্নত করার লক্ষ্যে ইউএসএআইডি অর্থায়িত প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে অংশীদার  হওয়া। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই), সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ (সিআইপিই) এবং সলিডারিটি সেন্টারের পাশাপাশি এনইডির চারটি মূল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইআরআই একটি। একইভাবে, এনইডি  গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলিকে শক্তিশালী করার  লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আইআরআই-কে অনুদান প্রদান করে। ১৯৮৩সালে প্রতিষ্ঠিত  ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি বা এনইডি হল একটি বেসরকারী, অলাভজনক সংস্থা যা  প্রাথমিকভাবে মার্কিন কংগ্রেস দ্বারা অর্থায়ন করা হয়। এটি  স্বাধীনভাবে কাজ করে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে বার্ষিক বরাদ্দ পায়।  ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)হল একটি সরকারি সংস্থা যা বিদেশী সহায়তা  ও উন্নয়ন পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত ।

 

২০১৯ সালের মার্চ মাসে ,ইউএসএআইডি এবং এনইডি থেকে  অনুদান পাওয়ার পর  আইআরআই,  ঢাকায়  শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করে। উল্লিখিত কর্মসূচির  নামকরণ করা হয়েছিল "প্রমোটিং অ্যাকাউন্টেবিলিটি, ইনক্লুসিভিটি, এবং রেজিলিয়েন্সি সাপোর্ট প্রোগ্রাম" (PAIRS) এবং এটি ২২ মাস ধরে ২০২১ সালের  জানুয়ারী পর্যন্ত চলে। আইআরআই জানিয়েছে  যে "বাংলাদেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং কর্তৃত্ববাদ বিরোধী কণ্ঠকে প্রসারিত করার জন্য  এই কর্মসূচীর প্রয়োজন ছিল।  রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার জন্য সামাজিক ক্ষমতায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে  আইআরআই  নাগরিক-কেন্দ্রিক, স্থানীয় এবং অ-প্রথাগত ফোরামগুলিকে লালন করেছে । এর জন্য, আইআরআই  " সঙ্গীতশিল্পী, অভিনয় জগতের ব্যক্তিত্ব বা সংস্থাগুলিকে ১১ অ্যাডভোকেসি অনুদান প্রদান  করেছে। যারা বাংলাদেশের  রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলিকে তুলে ধরতে ২২৫ টি শিল্পসামগ্রী  তৈরি করেছে যা প্রায় ৪ লক্ষ  বার দেখানো  হয়েছে। এলজিবিটিআই, বিহারি এবং জাতিগত  সম্প্রদায়ের তিনটি সুশীল সমাজ আইআরআই-কে  ৭৭ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিতে এবং ৩২৬ জন নাগরিককে ৪৩টি সুনির্দিষ্ট নীতিগত দাবি তৈরিতে নিযুক্ত করতে সহায়তা করেছিল।এটি  ৬৫ জন সরকারি কর্মকর্তার সামনে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তিনটি ফোকাস গ্রুপ  বাংলাদেশে এলজিবিটিআই জনগণের ওপর বৃহত্তম সমীক্ষা সহ সম্প্রদায়-ভিত্তিক  গবেষণা পরিচালনা করেছে।”

প্রসঙ্গত, ১৬ মার্চ ), আরেকটি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং আইআরআইয়ের টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশন (টিএএম) ২০২৪সালের জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার  জয়ী হওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থাটি ২২মাস ধরে PAIRS  প্রোগ্রাম চালানোর পরে উল্লিখিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ।প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ২০২৪  সালের নির্বাচনে অর্থাৎ নির্বাচনী প্রচারের সময়কাল, নির্বাচনের দিন এবং অব্যবহিত পরে পূর্ববর্তী নির্বাচনের  তুলনায় কম শারীরিক এবং অনলাইন সহিংসতা দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী পক্ষপাতমূলক প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং নির্বাচনের নিরাপত্তার উপর রাষ্ট্রের  বর্ধিত মনোযোগের কারণে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে - জানুয়ারির নির্বাচনের মান রাষ্ট্র, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধীদের সহিংসতার ঘটনাগুলির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   প্রাক-নির্বাচনী  পরিবেশে   রাজনৈতিক মেরুকরণ, নেতাদের মধ্যে সহিংসতা, নাগরিকস্থান সংকুচিত  এবং স্বাধীনতার অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

আইআরআই, তার PAIRS প্রোগ্রাম সম্পর্কে কথা বলার সময় বলেছিল যে কোভিড -১৯ মহামারীর সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের  অস্থিতিশীল হবার  সম্ভাবনা ছিল তবে সেটি  ঘটেনি কারণ মৃত্যুর হার কম ছিল এবং চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আইআরআই জানিয়েছে - “বিএনপি প্রান্তিক রয়ে গেছে, আর আওয়ামী লীগের শক্তি সীমাহীন। তবে ভবিষ্যতে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে বিএনপি-কে  এখনও সবচেয়ে সম্ভাব্য দল হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে  ।করোনা মহামারী  সময়কালে  উদ্ভুত   স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার সম্ভাবনা ছিল। তবে, বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম ছিল এবং  অর্থনীতিকে  পুনরুদ্ধার করা গেছে। 'একইসঙ্গে আইআরআই জানিয়েছে , হাসিনা কর্তৃক পাস করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিপ্রেক্ষিতে PAIRS প্রাসঙ্গিক ছিল।

কারণ  এই আইন  সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতাকে রুখতে এবং  সুশীল সমাজের সংগঠনগুলির কাজে বাধা দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

আইআরআই মোতাবেক -' আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮  সালে পাস করা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (DSA)- কে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, অধিকার কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের কারাগারে পাঠাতে ব্যবহার করেছে যারা সামাজিক মিডিয়াতে কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা বা চ্যালেঞ্জ করেছিল।এই অনলাইন নিষেধাজ্ঞাগুলি শুধুমাত্র  কোভিড -১৯ এর সমালোচনা বন্ধ করার জন্য  শুরু হয়নি। আইসিটি আইন (২০১৩) - কে প্রতিস্থাপন করে আনা হয়  ডিএসএ , যা সরকারকে যে কোনো অনলাইন বক্তব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য একই ধরনের ক্ষমতা প্রদান করে ।কোভিড -১৯ সংকট সরকারকে ডিজিটাল স্পেসে তার কর্তৃত্ব প্রয়োগের   একটি নতুন সুযোগ এনে দেয়। আইআরআই-এর প্রোগ্রামটি এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কাজ করার এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে ডিজাইন করা হয়েছিল।বাংলাদেশ, যেখানে নাগরিক অধিকার সংকুচিত সেখানে গণতন্ত্র  বিরোধী প্রবণতাগুলিকে ঠেকাতে আইআরআই একটি সৃজনশীল প্রোগ্রাম ডিজাইন করে  ।আইআরআই সামাজিকভাবে সচেতন শিল্পীদের সমর্থন করেছিল, যদিও প্রথাগত সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) ক্রমাগত চাপের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্র শিল্পী এবং কর্মীদের দমন করা কঠিন। কারণ তারা সহজেই  গণতান্ত্রিক এবং সংস্কারমূলক বার্তাগুলি নিয়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। পাশাপাশি  আইআরআই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেছে-বিশেষ করে বিহারী, সমতল জাতিগোষ্ঠী এবং এলজিবিটিআই জনগণকে -যাদের ওকালতিকে সরকার হুমকি হিসেবে না দেখে সমর্থন করবে। উভয় পন্থা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এবং  আগামীদিনে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনার পথ  দেখিয়েছে।আইআরআই-এর কর্মসূচি বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং  শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্ষমতার পরিবর্তনের লক্ষ্যে সাফল্য পেয়েছে। "

দ্য সানডে গার্ডিয়ানের হাতে আসা নথিগুলিতে বিশদ বিবরণ রয়েছে যে কীভাবে ব্যক্তিদের ইভেন্ট, বই প্রকাশ, গল্প বলা, ফটো প্রদর্শনী, শিল্প প্রদর্শনী, থিয়েটার পারফরম্যান্স, নাচের অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র এবং ডকুমেন্টারি স্ক্রীনিং, রাউন্ড টেবিল মিট, অ্যাডভোকেসি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য সচেতন করা হয়েছিল। এর  মধ্যে কিছু ছিল একচেটিয়া আমন্ত্রণ, যেখানে রাজনৈতিক কর্মকর্তা এবং মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।  আইআরআই অনুসন্ধান অনুসারে,  এই কর্মসূচি ৪লক্ষ  বাংলাদেশী নাগরিককে সরাসরি প্রভাবিত করেছিল। একইভাবে, অন্য একটি প্রকল্পে আইআরআই সংস্থাটি ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত কাজ করেছিল,  যার জন্য ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি (এনইডি)  দ্বারা সংস্থাটিকে ৯ লক্ষ ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছিল। আইআরআই বলেছে যে  - ' তাদের লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক বিতর্ক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য  প্রান্তিক কণ্ঠস্বর, বিশেষত যুবক এবং নারীদের ক্ষমতাকে প্রসারিত করা ।   রাজনীতিতে আসতে নারীদের উৎসাহিত করা । পাশাপাশি প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ছাত্র শাখার প্রতিনিধিদের সাথে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অহিংস উপায় সম্পর্কে তাদের বোঝানো। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্দলীয় ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বদানের দক্ষতা বাড়ানো  এবং  সাংস্কৃতিক জগতের সাথে জড়িত ছাত্রদের সমর্থন  ।"

 

ভারতের জন্য সতর্কবার্তা ?

এই নথি সামনে আসার পর দিল্লি এবং অন্যান্য দেশের  কী সতর্ক হওয়া উচিত ? কারণ এতে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিমূলক রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে সমর্থন করার জন্য  ভারতকে দায়ী করা হয়েছে ।  বলা হয়েছে - “বাংলাদেশে, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় দুটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য রয়েছে: আওয়ামী লীগ (এএল) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।গত দশ বছর ধরে ভারতের সমর্থনে আওয়ামী লীগ ক্রমশ বাংলাদেশের মাটিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং  রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে কলুষিত করেছে।' অনুরূপ আরেকটি প্রতিবেদনে ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করে বলা হয়েছে, “  আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ভারতের সমর্থনে যে কোনো উপায়ে পুনঃর্নির্বাচন চাইবেন। কারণ আঞ্চলিক শক্তির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা প্রয়োজন।”

 

একটি ইভেন্টে  ঢাকার টাঙ্গাইল জেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, এবং  বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের ১৫  জন ছাত্র নেতার (১২ জন পুরুষ, তিনজন নারী ) সাথে অহিংসা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের  উপর একটি কর্মশালা করেছিল আইআরআই।একইভাবে,   আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতির অবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য  ছাত্রলীগের ১১ জন   সদস্য (নয়জন পুরুষ, দুইজন নারী ) এবং একজন সিনিয়র নেতাকে  (একজন পুরুষ) নিয়ে   টাঙ্গাইল জেলায় আরেকটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। পরে, আইআরআই টাঙ্গাইল এমএম আলী কলেজ থেকে বিএনপির ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল  গোলটেবিল আলোচনার  আয়োজন করে। আলোচনায় ছাত্রদলের সিনিয়র নেতা রানা আহমেদ সহ মোট ১১ জন শিক্ষার্থী (১০ জন পুরুষ, একজন নারী ) উপস্থিত ছিলেন। আইআরআই এর বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজি ২০২১-২২ থেকে আভাস পাওয়া যায় যে , হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেবার পর  আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-এর পরিবর্তে  একজন  অরাজনৈতিক সত্ত্বা (মোহাম্মদ ইউনূস) -কে সরকার চালানোর জন্য বেছে নেওয়া কেন আবশ্যিক ছিল । এমনকি সরকার চালানোর জন্য খালেদা জিয়ার নামও সেখানে আসেনি।  বিরোধী দল  বিএনপি বাহ্যিক চাপ, অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এবং জনপ্রিয়তা হ্রাসের সম্মুখীন।আ.লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার হয়রানি, কারাগারে নিক্ষেপ , বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বিএনপি সদস্য ও সমর্থকদের দমন করতে সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করেছিল।  নির্বাচনে সুযোগ থাকলেও   বিএনপির সামনে  সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা সীমিত  ছিল। অভ্যন্তরীণভাবে, দলটির মধ্যে তার ঢাকা-ভিত্তিক এবং লন্ডন-ভিত্তিক নেতৃত্বের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।  যারা অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষপাতী তাদের সমর্থন করেন  খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, যিনি আবার  লন্ডন থেকে দলকে নিয়ন্ত্রণ  করেন । বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নেতৃত্বের অভাব। সম্ভবত এ কারণেই বিএনপির জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ছে। সেপ্টেম্বর ২০১৯-এ আইআরআই-এর সাম্প্রতিকতম জাতীয় সমীক্ষায় ৩৬ শতাংশ 'বিরোধীদের'   অনুমোদন দিয়েছে , যা জরিপে সর্বনিম্ন রেট বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।এছাড়াও, বিএনপির প্রাক-কোভিড-১৯ জনসভা, যেগুলো বেশিরভাগই কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির (২০২০ সালের মার্চে মুক্তির আগে) উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল, সেখানে  খুব কমই মানুষের  উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ।”

 

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পশ্চাদপসরণে আ.লীগ ও বিএনপি প্রধান ভূমিকা রয়েছে । আওয়ামী লীগের   কৌশল কর্তৃত্ববাদ এবং বিএনপির বয়কট এবং  দলীয় নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতা  । দলীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন এই সমস্যার সমাধান করতে পারে, কিন্তু নতুন রাজনৈতিক নেতাদের সামনে সেই সম্ভাবনা কম। আ.লীগ ও বিএনপি শ্রেণীবদ্ধ ও পরিবারভিত্তিক দল। উপদেষ্টাদের একটি বৃত্ত উভয় দলকে নির্দেশ দেয়।  খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা তাদের  সন্তানদের উত্তরসূরি হিসাবে ফোকাস করে গেছেন। তরুণ বা সংস্কারপন্থী নতুন নেতারা উভয় দলের ক্ষেত্রে  অনেক বাধার সম্মুখীন হন। এখানে পারিবারিক আনুগত্য প্রধান নীতি। একইভাবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী শ্রেণী এবং সুশীল সমাজও বিএনপি সম্পর্কে খুব কমই  মতামত রেখেছে। ব্যবসায়িক খাত এবং সেনাবাহিনী এমন প্রতিষ্ঠান যা অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে  আওয়ামী লীগ সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। যদিও আ.লীগ সরকার  ব্যবসায়িক এবং সামরিক অভিজাতদের শান্ত করার জন্য তাদের স্বার্থকে প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে।  পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় দরপত্র, পারমিট ও  লাইসেন্স এবং শিপিং রুটের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য রাজনৈতিক সমর্থনকে অপরিহার্য করে তুলে। বিরোধী দলভুক্ত ব্যবসায়ীরা  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দুর্নীতি মামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।  “  

তৃণমূলস্তর  থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সুশীল সমাজের ।  সুশীল সমাজ হল রাষ্ট্র, বেসরকারি খাত এবং পরিবারের মধ্যে সেতুবন্ধন । সুশীল সমাজের সদস্যরা  নাগরিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা বা সমাধানের জন্য মিলিত হন ।বাংলাদেশে, সুশীল সমাজে ঢাকা-ভিত্তিক এনজিওগুলির আধিপত্য রয়েছে যেগুলিতে  প্রায়শই তৃণমূলস্তরের  সংযোগের অভাব থাকে এবং যাদের কার্যক্রম নাগরিকদের উদ্বেগগুলিকে সমাধান করার পরিবর্তে দাতাদের চাহিদা পূরণের দিকে পরিচালিত হয়।সুশীল সমাজ একটি অভিজাত সেক্টরে পরিণত হয়।

"কাজের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি" চিহ্নিত করার সময়, আইআরআই-জানিয়েছে যে তাদের লক্ষ্য  রাজনৈতিক দলকে শক্তিশালী করা৷ বাংলাদেশে, ক্রমবর্ধমান মেরুকরণ এবং বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা সত্ত্বেও, আইআরআই দেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ (এএল) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিস্তৃত জনমত গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে নিয়মিত ব্রিফ করার পাশাপাশি, আইআরআই নাগরিক-কেন্দ্রিক ও  ডেটা-ভিত্তিক বার্তাপ্রেরণ এবং নীতি বিকাশের ক্ষেত্রে  রাজনৈতিক দলগুলিকে উপযোগী  প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে।

নথিতে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পাঁচজন কর্মকর্তা এবং ঢাকা-ভিত্তিক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা, ইউএসএআইডির দুইজন এবং মার্কিন দূতাবাসের একজন রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে প্রাথমিক যোগাযোগের মাধ্যম  হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও সানডে গার্ডিয়ান তাদের নাম প্রকাশ করতে চায়নি।

“হিল আউটরিচ” শিরোনামের অধীনে এই পুরো প্রোগ্রামটি সম্পাদনের তত্ত্বাবধানে যে সিনিয়র কর্মকর্তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল তারা হলেন: ক্রিস মারফি (ডি-সিটি), এসএফআরসি (দক্ষিণ এশিয়া উপকমিটিতে নিযুক্ত  ), সুমনা গুহ, দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক , ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল , ডোনাল্ড লু, এসসিএ, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইনকামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, সারাহ মার্গন, ডিআরএল, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইনকামিং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং ফ্রান্সিসকো বেনকোসমে, ইএপি, স্টেট ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অ্যাডভাইজার (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ থাকাকালীন বাংলাদেশকে কভার করেছেন )।

পাঠকের মতামত

কাকুর দেশের পত্রিকার কি নথি গুলো আগে দেখার সময় পায়নি ? আপু পালানো দুই মাস পর নথি দেখলো ? আসলে এ নিউজটা আন্দোলনকে খাটো করে দেখানোর ভারতীয় পত্রিকার আরেকটি অপপ্রয়াস মাত্র।

আবুল হাসেম
৮ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

ভারুতের মতো ছেচরা দেশ কি কখনো বলবে আমার পচা শামুকে পা কাটছে। নিজেদের মান ইজ্জত বাচাইতে এই গল্প বানাইছে এক ইন্ডিয়ান। আফগানিস্তানে আমেরিকা পলাইছিল তখন ইন্ডিয়া অনেক ঘেউ ঘেউ করছিল কোন গল্প বানাইতে পারে নাই।

Zen
৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

এ সমস্ত ভুয়া খবর। আমেরিকার মত দেশের পাঁচ বছর ধরে চেষ্টা করতে হয় হাসিনাকে সরাতে। যদি সুষ্ঠু ভোট করাতে আমেরিকা হস্তক্ষেপ করত তাহলে ইতোপূর্বের তিন সাধারন নির্বাচনের যে কোন নির্বাচনে হাসিনা পরাজিত হতো।

Md Azizur Rahman
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:৩১ পূর্বাহ্ন

৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী ভারতীয় মিডিয়াগুলো যত মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে ; নতুন করে আর নিবন্ধন প্রকাশ করা নিয়ে বেশী কিছু বলতে চাইনা।শুধু এটুকু উপলব্ধি করি- এদেশ এবং এদেশের মানুষের প্রতি এদের ঘৃণ্য মানসিকতা কোন পর্যায়ে থাকলে এতো এতো মিথ্যা বিদ্বেষ পূর্ণ মন্তব্য করতে পারে। ভারত অনেক বড় একটা দেশ হতে পারে কিন্তু মনের দিক থেকে এরা অত্যন্ত নীচু ও হীন। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। শুধু ভারত কেন দুনিয়ার সকল দেশের কাছেই বাংলাদেশ সমান মর্যাদা এবং সম্মান পাওয়ার অধিকার রাখে। ভারতীয়দের এটা বুঝতে হবে।

Sayed Mostafa Zaman
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৪১ অপরাহ্ন

শিরনামাটিই প্রতারণা মূলক। ভেতরে এমন কোনো তথ্য নেই যা থেকে বলা যায় শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ছিল।

Shahadat Hossain
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৩০ অপরাহ্ন

আবু সাঈদ আজ ঘরে ঘরে, দাঁড়িয়েছে তারা নির্ভীক চিত্তে যতোই করো গুলি অকাতরে! সালাম, বরকত,আসাদের মতো মহান শহীদদের পুণরায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছে তোমার বলিদান, তোমার আত্মাহুতি সকল শহীদেরে দিয়েছে নতুন সন্মান। বীরশ্রেষ্ঠদের কাতারে তুমি দখল করেছো গর্বের স্বীয় স্থান! ভুল ভেঙ্গেছে নুর হোসেনের, বৃথা যায় না কভু স্বেচ্ছায় আত্ম দান, ভাষাশহীদ, উনসত্তরের শহীদ গুলিতে মৃত্যু বরণ ক’রে হয়েছেন মহান। তুমি জেনে-শুনে দাঁড়িয়ে প্রসারিত হাতে মৃত্যুকে করলে আলিঙ্গন। একটি, দুইটি, তিনটি গুলির যন্ত্রণায় ব’সে যেতে বাধ্য হলে, প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে আবার গুলির আঘাতে চলে গেলে পরপারে, অসীম সাহসিকতার মুকুট বাঙালির শিঁরে নতুন ক’রে পড়িয়ে দিলে তুমি। তোমার বীরোচিত আত্মবিসর্জনের মহিমা তহুরাগ্রস্থ ক’রে তোলে সকলকে আত্মত্যাগে। উদ্ধত স্বৈরাচারের বেলাগাম কণ্ঠ স্তব্ধ, চুপিসারে পালিয়ে গেল, ধ্বংস সকল অহংকার,পন্ড সকল প্রয়াস-আমিত্ব, ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে হলো নিক্ষিপ্ত। তোমার ঝলকে উঠা রক্ত, লাল সবুজের পতাকাকে আরো করেছে লাল, নবান্নের যেনো হলো আগমন অসময়ে, জাতি পেলো “আবার শুরুর”রাঙা সকাল। ১২/০৮/’২৪-১৭/৮/’২৪

Nurul Karim
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

আগে শুনতাম অমুক বিপ্লব তমুক বিপ্লব। এবার নিজ চোখেই দেখলাম। ভাগ্যবান বটে। তবে এতো মানুষের দুর্ভোগ হবে বিশ্বাস করাই কঠিন। থাকো চিরকাল ভালো এই কামনায।

Anwarul Azam
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:৫৪ অপরাহ্ন

শিরনামাটিই প্রতারণা মূলক। ভেতরে এমন কোনো তথ্য নেই যা থেকে বলা যায় শেখ হাসিনাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ছিল।

ড. শেখ মিজান
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:২৫ অপরাহ্ন

ভারত আমাদের অর্জন কে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে এই ধরণের প্রলাপ বকছে।

Ruhul Amin
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৩:০০ অপরাহ্ন

আমার অন্য মন্তব্যে কথাটি লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। দেশের ব্যাংক গুলি সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে লুটেপুটে তো খালি করে গেছে। ভাগ্যিস বাঙালি জাতির। আরো কিছুদিন থাকলে দেশটা ও বিক্রি করে পালাত ।

Kazi
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

ইন্ডিয়ান মিডিয়া এতোদিন কোথায় ছিল, হাসিনাকে সতর্ক করেনি কেন ? এখন হাসিনার পতনের পর ইন্ডিয়ান মিডিয়া নিজেরা কন্সপিরেসি থিওরি দাঁড় করিয়ে নিজেদেরকে সান্ত্বনা দিচ্ছে বলেই মনে হয়।সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর গায়েবী মদদে বাংলাদেশের অকুতোভয় ছাত্র জনতার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছেন। আমিন!

মিজান
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

স্বৈরাচার হাসিনাকে তাড়ানোর কৃতিত্ব শুধু এদেশের মজলুম ছাত্র-জনতার

মাসুদ
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৮:৫৩ অপরাহ্ন

আমি বলতে তাই বাংলাদেশ নতুন এক স্বাধিন হয়েছে,মানব আধিকার ফিরে পাবার জন্য,কারো লাভের জন্য নয়,আমরা স্বাধিন ভাবে বাচতে তাই এটাই আমাদের সাধারন মানুষের দাবি,আর যেন কোনো মায়ের বোক খালি না হতে হয়,মারামারি ,কাটাকাটি,যুলুম,নির্রযাতন,গুম,চাদাবাজি,আপহরন,এবং নাগরিক আধিকার নষ্ট না হয় সে আশা কামনা করি সারা বিশ্ববাসির কাছে,আমরা মিলেমিশে বাচতে চাই,আমাদের আধিকার নিয়ে,সত্য কখনো লোকাহিত থাকেনা ,তার পতন হবেই ,যা ইতি মধ্য হয়েছে ,শেখ হাসিনার ,আল্লাহ সার দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না,নমরুগ,ফেরাউন,তাদের ও কিন্তু পতন হয়েছে ,ক্ষমতার অপব্যবহার,যুলুমের জন্য,বর্তমান যেমন আছে,ইনশাআল্লাহ আর ভালো হবে আমি আশা করি

মোঃআল-আমিন ইসলাম(পর
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৪৭ অপরাহ্ন

এই আন্দোলনে আমেরিকার কোন হাত নাই । থাকলেও বাংলাদেশর ভালো করার জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ । এখন আমেরিকার প্রতি অনুরোধ জয় বাটপারটার ও তাদের সহযোগীদের আমেরিকায় সম্পদের হিসাব নিয়ে জেলে পাঠান ।

আমি বাবন ;)
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

ইন্ডিয়ান মিডিয়া এতোদিন এ খবর পায় নাই এবং হাসিনাকে সতর্কও করতে পারেনি ! এখন হাসিনার পতনের পর ইন্ডিয়ান মিডিয়া নিজেরা কন্সপিরেসি থিওরি দাঁড় করিয়ে নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে বলেই মনে হয় ।

Sakhawat
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

এ আন্দোলন সম্পুর্ণ ছাত্র জনতার অংশগ্রহণের ফলে হয়েছে। এখানে বিদেশি দের কৃতিত্ব দেয়ার কিছু নাই। স্বৈরাচারী হাসিনাকে জনগণ সরিয়েছে নিজ ক্ষমতায়, কারো সহযোগিতা নয়।

IBRAR
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের ক্রেডিট কোন তাবৎ রাষ্ট্রের নয়, এ ক্রেডিট শুধু এদেশের মজলুম জনতার।

মুফতি বায়েজিদ আল হোস
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:২৩ পূর্বাহ্ন

এ আন্দোলন সফল হয়েছে একমাত্র 'জননেত্রী' শেখ হাসিনার কারণে। তিনি যদি বিরোধী দলগুলোর উপর দমনপীড়ন না চালাতেন, ১৫ বছর ধরে অসংখ্য মানুষকে গুম খুন না করতেন, মুখের মিষ্টি মধুর ভাষায় মানুষকে অপমান না করতেন, একের পর এক ভোটারবিহীন নির্বাচন রাতের ভোটে নির্বাচন ডামি নির্বাচন এসব না করতেন, খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর কারাগারে না রাখতেন, তাহলে গণঅভ্যুত্থান তো দূরের কথা কোনো আন্দোলনই গড়ে উঠত না। অতএব এ আন্দোলনের একমাত্র কৃতিত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং সব শেষে তিনি বীরের মতো পালিয়ে গিয়ে এ আন্দোলনকে চূড়ান্তভাবে সফল করেছেন। জয় বাংলা, জয় জননেত্রী শেখ হাসিনা।

Zulfiquar Ali
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:২১ পূর্বাহ্ন

নিজে আকাম করে দেশটারে শেষ করে দিয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়।

Arshad Ali
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ৩:৩০ পূর্বাহ্ন

স্বৈরাচার খেদানোর একমাত্র দাবীদার ছাত্রজনতা। আর কোনো দেশী বিদেশী কারও কৃতিত্ব দাবী করার সুযোগ নেই।

Kala
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:২২ অপরাহ্ন

আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী এবং ছাত্র ছাত্রী জনতা এবং অভিবাবক( ছাত্র / ছাত্রীদের মা,বাবা) সহযোগিতা ও আন্দোলন এর ফসল।কেউর দান নয়।

মোহাম্মদ আরিফ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

Anwarul Azam
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৩১ অপরাহ্ন

হযবরল লেখা

SAYEDUR
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:২২ অপরাহ্ন

পদত্যাগ আর পতন এক জিনিস নয়। পদত্যাগের জন্য পত্র/লেটার লাগে, পতনের জন্য নয়।

আমিন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৯:১৬ অপরাহ্ন

আমাদের ছাত্র জনতার অর্জনকে কিভাবে কৌশলে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এই ভারত।

Arifur rahman
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

ফ্যাসিস্ট উৎখাতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ থাকলে সাধুবাদ যোগ্য।

বীর বাংগালী
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৮:০৭ অপরাহ্ন

ফাও আলাপ।

Md. Shaheen Mia
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:৫৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে একমাত্র ছাত্র জনতার ইমানী শক্তি ও ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহ তায়ালার গায়বী মদদ সাহায্যে।

আবু ফাত্তাহ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:৫১ অপরাহ্ন

কোন দলের কৃতিত্ব নেই, ছাত্র ছাত্রী দের আছে।

মোঃ জাকির হোসেন
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:৩০ অপরাহ্ন

People fought , No others country contributed here.

Jahangir Alam
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৭:২৪ অপরাহ্ন

আমেরিকা কী করেছে সব মনে আছে।এইসব হাবিজাবি বলে লাভ নাই দাদা বাবুরা!

Md Sujon Akon
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৫১ অপরাহ্ন

এটা হাস্যকর, এখানে কোন বাইরের শক্তির সংশ্লিষ্টতা নেই।

করিম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৩৬ অপরাহ্ন

হাসিনা পতনের একমাত্র কারন সৈরাচারিতা

harun hasan
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:৩১ অপরাহ্ন

সব মাথামোটা লোকজনের মন্তন্য।

সোমেশ দেবনাথ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:১৬ অপরাহ্ন

ইউএস এর এখন সময় নাই। নভেম্বরে ইলেকশন। কমলা হারিস নাকি ট্রাম্প। ভেরি বিজি নাউ। ওকে ডু ইউ আন্ডারস্ট্যান্ড।

Anwarul Azam
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:১২ অপরাহ্ন

একটা গল্প লিখলে কেমন হয়। মজা পাইলাম। ❤️

Anwarul Azam
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:০৬ অপরাহ্ন

এটা সম্পূর্ণ ছাত্র-জনতার আন্দোলন বিদেশীদের কৃতিত্ব খুবই নগণ্য হয়তো তারা ঐক্য পোষণ করেছিল

Javed Hossain
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:৫৩ অপরাহ্ন

এখানে আমাদের দেশের মানুষের আবেগ ছিলো তীব্র ক্ষোভ ছিলো আপামর জনসাধারণের চাপেই ফ্যাসিস্ট বিদায় নিয়েছে, ভারত কখনো ই আমাদের মানুষ মনে করে না।

মাসুদ রানা
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:৩৪ অপরাহ্ন

আফগানিস্তানে পপির চাষ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু ভারতে আবার তার উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গাজা ছেড়ে এখন আফিম!!

সাজ্জাদুর রহমান
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:২৮ অপরাহ্ন

এ আন্দোলন সম্পুর্ণ ছাত্র জনতার অংশগ্রহণের ফলে হয়েছে। এখানে বিদেশি দের কৃতিত্ব দেয়ার কিছু নাই।

Chotlu
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:১১ অপরাহ্ন

কেউ কিছু করে নাই, বাংলাদেশের অকুতোভয় ছাত্র জনতার সফল ফসল বাংলাদেশের এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আলহামদুলিল্লাহ।

নিয়াজ মোহাম্মদ খান
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৫:০০ অপরাহ্ন

আমেরিকা তুষের আগুন।তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় তা ৫০ বছর পর হলেও বাস্তবায়ন করবে।

ইকবাল কবির
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:৪৯ অপরাহ্ন

রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি। . . হাসেন অর্ন্তজামি

M Salim Ullah Enayet
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৪:২৬ অপরাহ্ন

ভূয়া,ভূয়া,ভূয়া, হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, স্বাধীনতার অভ্যুদয় হয়েছে, শুধু মাএ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের চরমতম সৈরাচারী কাজ ও সকল ক্ষেএে ব্যথতার জন্য, হত্যা,গুম, মিথ্যা মামলায় জনগণকে কারাগারে পাঠানোর জন্য.... ১৫/১৬ বছরের ক্ষত, বিক্ষত জনগণ অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শত,শত ছাএ জনতার রক্ত এর বিনিময়ে বিজয়গাঁথার সৃষ্টি করেছে....

no name
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৩:১৭ অপরাহ্ন

I am pretty much sure that US will have look at it and..........

আরিফ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৩:০৮ অপরাহ্ন

স্বৈরাচারী হাসিনাকে জনগণ সরিয়েছে নিজ ক্ষমতায়, কারো সহযোগিতা নয়।

ফরিদুল ইসলাম
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

মার্কিন নির্বাচন: ইলেকটোরাল কলেজ ভোট/ ট্রাম্প ২৭৭, কমালা ২২৬

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status