মত-মতান্তর
তাপসী তাবাসসুম, সেট-রিসেট বাটন
যুক্তরাজ্য থেকে ডাঃ আলী জাহান
(২ মাস আগে) ৮ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
১. ইউরোপের কোনো এক দেশে এক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের কাহিনী দিয়েই শুরু করি। দেশের অ্যাম্বাসি তো নয়, যেন দলীয় কার্যালয়। বিদেশের মাটিতে সরকারি দলবাজ বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে এমন কোনো দলীয় অনুষ্ঠান নেই যেখানে তিনি উপস্থিত হননি। সরকারি কর্মকর্তার চাইতে দলীয় পরিচয়টাকে তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যান। হঠাৎ একদিন দেখি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপের এদেশ সফরে ওনার শাড়ির সাথে ম্যাচ করে এই রাষ্ট্রদূত একই রঙের শাড়ি পড়েছেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পরের দিনেই দেখি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি নতুন সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। তবে তার সে আনুগত্য নতুন সরকার গ্রহণ করেনি। রাষ্ট্রদূতের চাকরি হারিয়েছেন। তাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের অফিসে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। সবকিছু সেট করা ছিল। হয়তো এই রাষ্ট্রদূত কখনো চিন্তাও করতে পারেননি যে একদিন রিসেট বাটনে ক্লিক পড়তে পারে।
২. বহুল আলোচিত নীলফামারীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং পরবর্তীতে দেয়া বক্তব্য শুনে সকলের মতো আমিও অবাক হয়েছি। সরকারি পদে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দেয়ার এ দুঃসাহস তিনি কোথায় পেলেন? গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে আসা বর্তমান সরকার প্রধানকে নিয়ে হাসি-মশকরা (কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে মহাশয়) করার দুঃসাহস এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কীভাবে পেলেন?
৩. তাপসীদের সংখ্যা অনেক। কেউ কেউ ঘাপটি মেরে বসে আছেন। কারো কারো উপর রিসেট বাটন ক্লিক করা হয়েছে। কেউ কেউ সেট বাটন নিয়ে রিসেট বাটনে ক্লিক পড়ার ভয়ে আছেন।
৪. নিকট অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেয়ার পর সেই রাজনৈতিক উপাচার্যরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক বক্তব্য এবং কার্যকলাপে অংশ নিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর অনেকেই দলীয় স্লোগান দিয়ে পার্টি দিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে আগের সরকার যেহেতু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, তাদেরকে থামানোর ব্যবস্থা করেনি, তাই তাপসীদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু উনাদের খেয়াল নেই যে দলীয় সরকারের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে থেকে দলবাজ লোকদের মতো কথা বললে তাদেরকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাদের অবস্থান যে রিসেট বাটনে পড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে পারে সেই হুঁশজ্ঞান সম্ভবত হারিয়ে ফেলেছেন।
তাপসী তাবাসসুম- অসংলগ্ন আচরণ
৫. কথা হচ্ছে যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মতো একটি পদে থেকে সরকারকে নিয়ে হাসি মশকরা করা এবং হুমকি-ধামকি দেয়া কি সরকারি চাকরির শর্তগুলো ভঙ্গ করেছে? অবশ্যই করেছে। সরকারের সমালোচনা করতে চাইলে, সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে যা ইচ্ছে বলুন। কিন্তু সরকারি চেয়ারে বসে সরকারের সমালোচনা করা শুধু অন্যায় নয় বরং অনৈতিকও বটে।
৬. তাপসী তাবাসসুমকে প্রথমে ওএসডি করা হয়েছে। পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অতীত ইতিহাস বলে এই তদন্ত হয়তোবা কখনো শেষ হবে না। সকলের অগোচরে হঠাৎ করেই তাকে কোথাও হয়তো পোস্টিং দেয়া হবে। অতীতে তাই হয়েছে। আবার কি তাই হবে? রিসেট বাটনে চাপ না দিলে তাপসীরা থামবেন না। এ বাটনে চাপ দেয়ার এখনই সময়। তা না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।
৭. ভালো কথা, কেউ কেউ বলছেন তাপসী তাবাসসুম ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার ভিত্তি তৈরি করছেন। আমি অবাক হবো না যদি হঠাৎ করে ইউরোপ বা আমেরিকার কোনো দেশে তাপসীকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে দেখি। পাসপোর্টের রিসেট বাটনে চাপ দিন। না হলে হঠাৎ করে দেখবেন উনি বিদেশে বসে স্ট্যাটাস লিখছেন- ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে। নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে।
লেখক- সাবেক সরকারি কর্মকর্তা (বিসিএস স্বাস্থ্য)
কনসালটেন্ট সাইক্রিয়াট্রিস্ট, যুক্তরাজ্য
সাবেক পুলিশ সার্জন, যুক্তরাজ্য পুলিশ
নীলফামারীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না হয়ে লালমনিরহাট হবে হয়ত।
বাংলাদেশের কিছু লোক যাদের কম্পিউটার, মোবাইল অথবা আধুনিক ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সম্পর্কে সঠিক ধারনা নেই তারাই ডঃ ইউনুস সাহেবের "রি সেট" বলা কথাটার ভুল ব্যাখা দিয়ে বাংলাদেশে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। Reset কথাটির পরিস্কার বাংলা অর্থ হল: কোন একটি ডিভাইস কারখানা থেকে বের হবার সময় যে অবস্থায় ছিল ঠিক সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দাশত্য থেকে বেড়িয়ে (কারখানা থেকে নতুন বের হওয়ার মত) আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম আমাদের সেই স্বাধীনতা ৫০ বছরে দিনে দিনে তার প্রতিভা হারিয়ে ফেলেছিল এবং তার চরম অধপতন হয়েছিল জুলাই অগষ্টের গনহত্যার মাধ্যমে। ডঃ ইউনূস সাহেবের মতে Reset করে আমরা আবার সেই ১৯৭১ স্বাধীনতা উত্তর অবস্থায় ফিরে গিয়েছি। Reset বলতে আমাদের ১৯৭১ য়ের স্বাধীনতাকে মুছে সেই পাকিস্তানের অবস্থায় ফিরে যাবার কথা যারা বলছেন বা ১৯৭১ সালের আগের অবস্থায় যাবার কথা বলছেন তারা বাংলার মানুষকে ভুল ব্যাখা দিচ্ছেন।
উনার শিক্ষাদীক্ষা সম্পর্কে সন্দেহ আছে
এই মহিলার পাসপোর্ট জব্দ করা উচিৎ যেন দেশে ছেড়ে হাসিনার মত টুপ করে পালাতে না পারে। অবিলম্বে গ্রেফতার করা হউক
চাকুরী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।
Agreed!!
You're such a garbage produced from Pakistan!! Shame on you.
তাপসী তাবাসসুমদের সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। কতদিন পরপর তাদেরকে তাল দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় এবং হবে। তাদের চাকরি খোয়ানোর ভয় নাই। চাকরি চেয়েও বেশী বেশী বেতন তাদের একাউন্টে মাসে মাসে পৌষে যাবে আজীবন।
Dalal
Jay lau say kodu apni dalali korlan
খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ভদ্রমহিলার পাসপোর্ট বাটনটি রিসেট করা প্রয়োজন।
লেখককে ধন্যবাদ
সময়ের কাজ সময়ে না করলে পস্তাতে হবে
কথা গুলো একদম সঠিক,, ধন্যবাদ স্যার
এসব অসৎ কর্মকর্তাদের মুখোশ খুলে দেয়ার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ স্যার।
চাকুরী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।
please take necessary action quickly, otherwise she leave country suddenly.
তাপসীরা এখনো প্রসাশনে ঘাপটি মেরে বসে আছে। এদের কে ধরে উপযুক্ত বিচার করুন।
তাপসী তাবাসসুমদের খুঁজে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। উনারা অন্ধ, বিগত সরকার বিতারিত হয়ে যাওয়ায় উনারা উন্মাদ হয়ে গেছেন। উনারা দেশের জন্য নয় দলের জন্য কাজ করতেন আর ঐটাই উনাদের পছন্দ। উনারা জনগণের সেবক নয় প্রভু হয়ে থাকতে পছন্দ করেন, আর সেই কারণেই বিগত সরকারের কোন অন্যায়, অপরাধ, খুন, গুম অর্থ পাচার, ভোটারবিহীন নির্বাচন উনাদের বিবেককে জাগ্রত করে নাই।
একজনে বলেছেন ভোটার বিহীন সরকার, ভোট হয়েছে কবে? আর এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কি ভাবে চাকুরি পেয়েছেন জানা দরকার। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার মুখের ভাষা একজন প্রধান মন্ত্রীর মত ছিলনা।
এরা দলবাজি করে, ছাত্রলীগ করে বিভিন্ন কোটায় চাকুরী পেয়েছেন । তাইতো তারা এত দু:সাহস পাচ্ছেন । এদের নিয়োগ প্রক্রিয়াটাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার ।
অনেকেই প্রশ্ন করে এটাকি সংবিধানিক সরকার? আমার প্রশ্ন এর আগে জালিয়াতি করে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কি সংবিধানিক ছিল? বা সংবিধান কি সাপোর্ট করে?
Please take quick action against her.
মনে রাখতে হবে খুন, গণহত্যা, ভোট চুরি, লগি বৈঠা, মানুষ পিটিয়ে মারার রাজনীতি বাংলাদেশে আর চলবে না। ছাত্র জনতা জেগেছে। স্বপ্ন আর চেতনার নামে জনগণকে জিম্মি করার দিন শেষ। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার দিন শেষ। যারা এসবের হোতা তাদের বাংলার জমিনে আর পুনর্বাসন হবে না। যারা তাবাসসুমদের মতো এখনো সেই স্বপ্ন দেখছেন তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে সেটা পূরণ হবে না।
ওনি বিদেশে চলে তার পর ব্যাবস্থা নিবেন?
ভোটারবিহীন সরকার অসাংবিধানিক নয় কি?
মানবজমিনের আপডেট হোক tabasumer গ্রেফতার।
ফ্যাসিস্ট এর দোসর গণহত্যার সমর্থনকারী এই মহিলাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। প্রশাসনে এই রকম আরো ফ্যাসিস্টের সমর্থনকারী উৎ পেতে রয়েছে। বিগত ১৬বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশে তান্ডব চালিয়েছে। এ রিসেট বাটন কি বুঝে না। রিসেট তো একটা মেটাফোর। যেটা ওবামা প্রশাসন রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যবহার করেছিলো। এই মহিলা সেটা না বুঝে, না জেনে লাফাচ্ছে। কতটুকু নির্লজ্জ হলে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরও আপনি আবার দেশের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেন। প্রশাসনের উচিত জুলাই অভ্যুত্থানে এই মহিলার কি ভূমিকা ছিল এবং ওই সময়ে তিনি কিভাবে তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন তা তদন্ত করা। এছাড়াও প্রশাসনে থেকে গত দুই বছরে তার দুর্নীতির কোন রেকর্ড আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত।
যথার্থ বলেছেন। আপনার সাথে একমত।
তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এতো কম বয়সে এগুলো কোন কাজে আসে না। শুধু শুধু ক্যারিয়ার নষ্ট করা। এ পৃথিবীতে ক্ষতি ছাড়া কিছুই পাবেন না। বাকিটা আপনার উপর।
আমি জনাব ডাঃ আলী জাহান এর লেখা মানবজমিনে আরো পড়েছি, কিন্তু এই লেখাটি অবিশ্বাস্য সত্য। এই তাপসীরা এখনো প্রসাশনে ঘাপটি মেরে বসে আছে। এরা শুধু সুযোগ খুজছে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলার এবং এরা সোস্যাল মিডিয়ায় চরম একটিভ। এরা সৈরাচার হাসিনার সময়ে অবৈধ উপায়ে নয়তো কৌটার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে, তাদের কাছে হাসিনার পলায়ন এখনো ঘোরের মত বা কাল্পনিক এবং এই তাপসীরা একটা সীমাহীন ভয়ের মধ্যে আছে যে কখন ১৪ শিকের ঘরে যেতে হয়। তাদের সহযোগিতায় হাসিনা আয়না ঘর বানিয়ে ছিল। এদের কে ধরে উপযুক্ত বিচার না করলে, ছাএ জনতা বিপ্লবে পাওয়া সাধীনতা বিপন্ন হবে। জনাব নাহিদ ইসলাম সাহেবের উচিৎ সোস্যাল মিডিয়ায় এদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবসথ নেয়া। এরা প্রতি বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।এদের কে এখনই খুজে বের করতে হবে। আর লেখক সাহেবের কতায় যে রাষ্ট্রদূতের পরিচয় দিয়েছেন, আমরা তাকে চিনি, তিনা লন্ডনের দূতাবাসের মুনা। এই মহিলা এত নিললজ মিথ্যা বলতে পারেন তা আমি আল জাজিরার হেড টু হেড নামক একটি অনুষ্ঠানে দেখেছি। তিনি গহর রিজভীর চেয়ে হাসিনার বড় দালাল সাজার চেষ্টা করেছিলেন ঐ অনুষ্ঠানে।
আপনার বক্তব্য যথার্থ
কথা ঠিক, ওরে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে- তদন্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।