ঢাকা, ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

মত-মতান্তর

পর্যালোচনা

টানা দশদিন ছুটি: রাষ্ট্র কোনো প্রাইমারি স্কুল নয়

শহীদুল্লাহ ফরায়জী

(৫ ঘন্টা আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ১:৫২ অপরাহ্ন

mzamin

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘ছুটির উৎসব’ সংস্কৃতি, অতীতের যে-কোনো সরকারের ছুটির সংস্কৃতিকে ছাপিয়ে গেছে। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছুটির সিদ্ধান্ত— এক ধরনের উৎসবে রূপ নিয়েছে। ছুটি যেনো তাদের কাছে সুশাসনের বিকল্প বন্দোবস্ত। যেকোনো অজুহাতে রাষ্ট্রকে দীর্ঘ ছুটির ঘুমে পাঠাতে পারা যেনো—সাফল্যের সোপান। টানা দশদিন ছুটি'র অত্যুৎসাহী এই আদেশ—অনৈতিক এবং কোনোভাবেই তা জনস্বার্থ রক্ষা করে না। দীর্ঘ ছুটি কখনোই প্রশাসনিক উদারতা নয় বরং এটি রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতি—আস্থা, দায়িত্ববোধ এবং সেবাদানের অঙ্গীকারে ঘাটতির প্রতীক।

বিশ্বের কোথাও কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রীয় ছুটি দেওয়ার নজির নেই। বাংলাদেশে ‘বিরল’ এই ছুটি দিয়ে সরকার মনে হয় মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাচ্ছে। সাধারণভাবে, ধর্মীয় বা জাতীয় উৎসব উপলক্ষ্যে উৎসবের আগের দিন, মূল দিন ও পরদিন—এই তিনদিনের ছুটি একটি প্রতিষ্ঠিত নীতি। তবে প্রশ্ন হলো, এই তিন দিনের ছুটি কীভাবে এক লাফে দশ দিনে পরিণত হলো? সরকার কি কোনো প্রচলিত আইন, প্রথা বা নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে?

অথচ এই সময়ের মধ্যেই শনিবার অফিস খোলা রাখা হয়েছে। তাহলে কি দেশে জরুরি অবস্থা চলছে কিংবা রাষ্ট্র কোনো জরুরি অবস্থার দ্বারপ্রান্তে? সরকার কি বছরের নির্ধারিত সাপ্তাহিক ছুটিগুলোকে ইচ্ছেমতো পুনর্বিন্যাস করে দীর্ঘমেয়াদি একটানা ছুটিতে নিয়ে যেতে পারে? সাপ্তাহিক ছুটির আগে-পিছের দিনগুলোতে অফিস খোলা রাখার মূল যুক্তি হলো—রাষ্ট্রের জনগণই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।

রাষ্ট্র কেবল কাগুজে ঘোষণা বা আনুষ্ঠানিকতার নাম নয়—এটি একটি বাস্তব ও জীবন্ত প্রতিষ্ঠান। যার অস্তিত্বের ভিত্তি জনগণের সেবা নিশ্চিত করার নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় নিহিত। রাষ্ট্র কারো ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান নয় যে, ইচ্ছেমতো তাকে বন্ধ করে দেওয়া যাবে বা ছুটি বাড়ানো যাবে।

সম্প্রতি দশ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে তা হলো—সরকার কি নিজ দায়িত্বে ছুটি নিতে পারে? কিংবা রাষ্ট্রকে ছুটির ফাঁদে ফেলা যায়? সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদে ছুটি ঘোষণা করে এবং তার ফলে জনজীবনে অনিশ্চয়তা, বিশৃঙ্খলা, আর্থিক লেনদেন বা জরুরি সেবাগুলো ভেঙে পড়ে, তাহলে তা রাষ্ট্রের নৈতিক ব্যর্থতার উদাহরণ হবে।

সরকারি কর্মচারীরা যদি নির্ধারিত ছুটির সঙ্গে ঐচ্ছিকছুটি এবং প্রাপ্যছুটি যোগ করে আরও দীর্ঘস্থায়ী ছুটি উপভোগ করতে চায়, তাহলে রাষ্ট্রের অবস্থা কী দাঁড়াবে?

ঈদের আনন্দ যদি রাষ্ট্রীয় ছুটির দীর্ঘ উৎসবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, তবে খাদ্যসঙ্কটে থাকা অসংখ্য নাগরিকের খাদ্যঝুঁকিকে আরও প্রকট করে তুলবে। এ ছাড়াও অনাবশ্যক এই দীর্ঘছুটি— উৎপাদনশীলতা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল মানুষের বিপর্যয় হতে পারে এবং তা
জনজীবনে বিশৃঙ্খলা আনতে পারে—এসব প্রশ্ন সরকারের বিবেচনায় নেই কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। শুধু রাস্তাঘাট ঝামেলা মুক্ত হবে আর এতে সরকারের কৃতিত্ব বাড়বে—এটাই ছুটির মুখ্য উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। আশ্চর্যের বিষয় হলো—যে ছুটির মধ্যে রাষ্ট্র এবং জনগণের অধিকার ও সুরক্ষা প্রাধান্য পায়নি—সে ছুটিতে সরকার লজ্জিত হচ্ছে না বরং গর্ব অনুভব করছে!

সরকারি ছুটির তাৎপর্য বহুস্তরীয় এবং সমাজ ও রাষ্ট্র-কাঠামোর সঙ্গে তা গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। নিম্নে এ সম্পর্কে বিশ্লেষণসহ কয়েকটি বিষয়ের উপর দৃষ্টিপাত করা হলো:—

১. শ্রমিকের বিশ্রাম ও পুনর্জাগরণ: সরকারি ছুটি কর্মজীবী মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এটি কর্মীদের ক্লান্তি দূর করে, নতুন উদ্যমে কাজের জন্য প্রস্তুত করে।

২. সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনের সুযোগ: ছুটির দিনগুলো পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ এনে দেয়। এতে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং সামাজিক সম্প্রীতির বিকাশ ঘটে।

৩. ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ: ঈদ, পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমা ইত্যাদি উপলক্ষ্যে ছুটি দিয়ে রাষ্ট্র ধর্মীয় সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দেয়।

৪. জাতীয় ইতিহাস ও চেতনার স্মরণ: স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি স্মরণে জাতির ইতিহাস ও সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এতে জাতীয় চেতনা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়।

৫. রাষ্ট্রীয় নীতি ও নৈতিকতা: ছুটি কীভাবে নির্ধারিত হচ্ছে, তার মধ্যেই রাষ্ট্রের নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়।

একটি ধর্মীয় উৎসবে যদি দশদিনের ছুটি দেওয়া হয়, তবে বিভিন্ন পূজা, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্ণিমায়ও একই ছুটি দিতে হবে, না হলে তা বৈষম্য সৃষ্টি করবে। ছুটির সমতা নিশ্চিত না করলে এটি ধর্মীয় বা সামাজিক বিভেদের কারণও হতে পারে। সরকার এসব প্রশ্নে উদাসীন।

দার্শনিক বিশ্লেষণ:

অ্যারিস্টটলের মতে—প্রকৃত নেতার মধ্যে থাকা উচিত "Practical wisdom" (Phronesis)—যুক্তি, অভিজ্ঞতা ও নৈতিক বিবেচনার সমন্বয়।

হান্না আরেন্ট রাষ্ট্রের নিষ্ক্রিয়তা বা অতি-আমলাতান্ত্রিকতা বুঝাতে “Banality of irresponsibility” শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন। সিদ্ধান্তের মধ্যে নৈতিকতা না থাকলে তা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিষ্ঠুর ও দায়িত্বহীন করে তোলে।

মিশেল ফুকো শাসনক্ষমতাকে শুধু আইন বা শক্তির মাধ্যমে নয় বরং সময়, কাজ ও জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেও বিশ্লেষণ করেছেন। সরকার যদি দীর্ঘছুটির সিদ্ধান্ত নিয়ে নাগরিকের জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে, তবে তা একরকম কর্তৃত্ববাদী “Bio-politics”-এর প্রকাশ।

সরকারি ছুটি শুধুই বিশ্রামের সুযোগ নয়—এটি রাষ্ট্রীয় নীতি, জাতীয় ইতিহাস, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও মানবিক মর্যাদার বহুমাত্রিক প্রতিফলন।

রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব হলো নাগরিকের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা—এই দায়িত্ব অস্থায়ী নয়, ধারাবাহিক ও বিরতিহীন।

স্বাস্থ্যখাত, আদালত, প্রশাসন—সব ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি ছুটি দিলে রাষ্ট্র কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই নিষ্ক্রিয়তা কেবল অব্যবস্থার জন্ম দেয় না, নাগরিক অধিকারও হুমকির মুখে পড়ে। কোনো অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিন পেলেও ছুটির কারণে যদি তাকে অতিরিক্ত সাতদিন জেলখানায় থাকতে হয়—এই অন্যায়ের দায় কে নেবে?

প্রাইমারি স্কুলে দীর্ঘছুটির যুক্তি—শিশুর মানসিক বিকাশ কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য এই যুক্তি প্রযোজ্য নয়। রাষ্ট্র একটি চিরসচল, সক্রিয় ও দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান।

জন রলস বলেছেন— “ন্যায়বিচার হলো সমাজের প্রথম গুণ।”  হান্না আরেন্ট রাষ্ট্রে জনগণের অংশগ্রহণ ও দায়বদ্ধতাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করতেন। যদি রাষ্ট্র নিজেই দায়িত্ব পালন থেকে ছুটি নিতে চায়, তবে নাগরিকগণ জবাবদিহিতা চাইবে কার কাছে?

এ ধরনের ছুটি কেবল প্রশাসনিক স্থবিরতা সৃষ্টি করে না বরং রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের আস্থাও দুর্বল করে। যে-রাষ্ট্র নাগরিকের জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে পারে না, সে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিক কেন আনুগত্য পোষণ করবে?

সরকারের উচিত—অপরিণামদর্শী ছুটির সংস্কৃতি পুনর্মূল্যায়ন করা। উৎসব উদযাপিত হবে, ছুটিও থাকবে কিন্তু তা যেনো  দীর্ঘমেয়াদি হয়ে রাষ্ট্রকে ক্লান্ত করে না ফেলে। রাষ্ট্র একটি নাগরিক চুক্তিভিত্তিক সত্তা, যা নাগরিকের জীবনযাত্রা ও অধিকার রক্ষায় প্রতিমুহূর্তে সক্রিয় থাকবে।

অতিরিক্ত ছুটির প্রতিটি দিন যেনো কারো না কারো জন্য ন্যায়, সেবা ও মর্যাদাবোধ থেকে বঞ্চিত হবার প্রতীক না হয়ে দাঁড়ায়—এই সতর্কতা রাষ্ট্রের গ্রহণ করা উচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায়, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং জনদুর্ভোগের প্রেক্ষিতে এই দীর্ঘছুটি রাষ্ট্রকে সচল না রেখে—ছুটির নামে স্থবির করে দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই নয়।

লেখক: গীতিকবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ই-মেইল: [email protected]

পাঠকের মতামত

আমি মনে করি টানা দশদি ছুটি মোটেই গ্রহন যোগ্য নয় এমনিতেই সপ্তাহে দুই ছুটি রয়েছে ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেন করবো কিভাবে ।

Md Ataur Rahman
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:৪৯ অপরাহ্ন

সমালোচনা থাকবেই একটা স্বাধীন দেশে কিন্তু সমালোচনা টা গঠনমূলক হতে হবে। আমার মতামত হচ্ছে, বর্তমান সরকারের এই দীর্ঘ ছুটি এতে দেশে জনগণের মনের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী করা হয়েছে কারণ এটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোরবানি ঈদে এই রকম লম্বা ছুটি একান্তই প্রয়োজন আমি মনে করি তাহলে, সকলে ঈদের আনন্দ এবং আত্মীয়-স্বজন এবং সামাজিক বৃষ্টি কালচার উপভোগের জন্য একান্ত প্রয়োজন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সঙ্গে তুলনা করার কথা বলা হয়েছে আমরা যদি চীন জাপানে এর দিকেও খেয়াল করি তাহলেও দেখা যাবে সে দেশেও বাৎসরিক এরকম লম্বা ছুটি দেওয়া হয় যা দ্বারা উপভোগ করে। এতে দেশের অর্থনৈতিক দিকের কোন ক্ষতি হবে না বরং ছুটির কারণে মানুষ পুনরায় কাজে যোগদান করে প্রফুল্ল ভাবে কাজ কাজে মনোনিবেশ হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিবিষ্ট থাকবে।

Mohammad Naeem
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:৪৭ অপরাহ্ন

শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য সমালোচনা করলে চলবে না। ঈদের ছুটির ক্ষেত্রে যে দুইদিন অতিরিক্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে তা ১৭ এবং ২৪ মে, ২০২৬ তারিখ শনিবারে বন্ধের দিনেও কর্মদিবস বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল কিছু চলমান রেখে ছুটির সমন্বয় করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা খুব বেশি ব্যাহত হবে বলে মনে হয়না। বরং ঈদের ছুটির মাঝখানের কর্ম দিবসে বিভিন্ন অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম থাকায় উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ঈদের ছুটির মাঝখানের কর্ম দিবসগুলোকে ছুটি হিসেবে বিবেচনা করে তার পূর্বের বন্ধের দিনগুলো কর্মদিবস হিসেবে বিবেচনা করে স্বাভাবিক উৎপাদনশীলতা বজায় রাখাই শ্রেয় বলে মনে হয়। আমার মনে হয় এইভাবে ছুটির সমন্বয় করে সরকার উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সালাহ উদ্দিন
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:৪৬ অপরাহ্ন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাইতে অনেক বেশি ছুটি থাকে, ছুটির সময় কম হলে দুর্ঘটনা বেশি, বাংলাদেশে এর অসংখ্য নজির আছে, তাই অযথা ফালতু মন্তব্য করে জাতিকে বিভ্রান্তিতে ফেলবেন না। বর্তমান সরকারের ছুটিতে আমি ১০০% সমর্থন করি। ছুটি বেশি হওয়ার কারণে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। বিশ্রামের পরে মানুষ আবার নতুন উদ্যদমে পরিশ্রম করতে পারে। অনেক দেশেই এখন সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনের পরিবর্তে তিন দিন করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাই আমরা এই ছুটি নিয়ে সমালোচনা না করে, সমগ্র দেশের মানুষের কথা চিন্তা করা উচিত আগে। দুই চার দিন বেশি ছুটির কারণে যদি মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমে তাহলে আমাদের সেটাই করা উচিত। আশা করি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মোঃ কামরুল ইসলাম
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:৪১ অপরাহ্ন

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, যারা সমালোচনা করে অভ্যাস, তারা সকল ভাল কাজের ও সমালোচনা করে, করুনার সময় মাসের পর মাস অফিস বন্ধ ছিল, তখন সমালোচনা কোথায় ছিল, মাঝখানে দুদিন শুধু বন্ধ, এই জন্য এত সমালোচনা কেন, আশা করা যায় এতে রাস্তা অনেক প্রাণ কম ঝরবে।মানুষ একটু স্বস্তিতে আসা যাওয়া করতে পারবে। এজন্য সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মাহবুবুর রহমান
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন

সপ্তাহে ৪ দিন সকল অফিসের কর্ম দিবস করা হোক। সরকারি অফিস গুলুতে কোন কাজ নাই। মিটিং আর মিটিং। ফাইল বাণিজ্য তদবির। পৃথ্বীবির আর কত উন্নয়ন প্রয়োজন ! এবার মানব চরিত্র উন্নয়ন- এ কাজ করুন। The world is enough Development ....

mohammed
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:১০ অপরাহ্ন

সুন্দর ও গঠনমূলক পর্যালোচনা। এতো লম্বা ছুটি মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, অপ্রয়োজন, কর্মঘন্টার বিরাট অপচয়, আর্থিক ক্ষতি, কর্মবিমুখতা সৃষ্টি করবে। দিনমজুর, রিকশা ও সিএনজি চালকদের জন্য দুর্দিন যাবে। জনস্বার্থে আদেশ বিবেচনা করা দরকার।

Mohammad Yousuf
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৬:০২ অপরাহ্ন

জাপানিরা যেখানে দৌড় মেরে কাজ করে বাঙালি জাতিরা তখন ঘুম পাড়ে !!!

Mithu
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:৫৮ অপরাহ্ন

"বিশ্বের কোথাও কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রীয় ছুটি দেওয়ার নজির নেই"- এ কথাটি মোটেই ঠিক নয়। এমন অনেক নজিরই বিশ্বে রয়েছে।

Shafiq Ahmed
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:৪৮ অপরাহ্ন

অন্য দেশের সাথে তুলনা করে এটা প্রকাশ করা উচিত ছিলো।

Samiran Arku Tapas
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:৪৫ অপরাহ্ন

বিভিন্ন দেশের ছুটি সম্পর্কে আরো জেনে তারপরে ব্যাখ্যা দেয়া উচিৎ ছিলো!! ঢালাও ভাবে বিরোধিতা করা উচিৎ না!!

রনি
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:৩৭ অপরাহ্ন

এতো দিন ধরে বন্ধ নিশ্চয়ই একটি দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়বে

মুহাম্মদ আবুল কালাম
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৫:১৭ অপরাহ্ন

উনার এতো জ্বলে কেন?

নাম প্রকাশের ইচ্ছে ন
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৫৮ অপরাহ্ন

দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরে, দেশে বিশাল বুদ্ধিজীবীর আবির্ভাব । আমার তো মনে হয় আপনার হিংস হয়

Faruk
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৫৮ অপরাহ্ন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে লম্বা ছুটি থাকে বছরে অন্তত দুইবার এই সম্বন্ধে এই লেখকের কোনো স্টাডি নাই। আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন যারা সেকালের দেনধারণা নিয়ে চলেন, বর্তমানে বিশ্বের কোথায় কি হচ্ছে সেই সম্পর্কে কোন স্টাডি নাই।

Mohammed
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৫৪ অপরাহ্ন

ছুটি নিয়ে যে সমালোচনা করেছেন তার পক্ষে আমি। আসলেই এত লম্বা ছুটি রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই লম্বা ছুটির সমালোচনা করতে গিয়ে কেন প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নেতিবাচক ভাবে টেনে নিয়ে আসলেন সেটা বুঝতে পারলাম না। সবাই এমন ভাবে কথা বলে যেন সব দোষ প্রাথমিক বিদ্যালয় আর এর শিক্ষকদের! বিষয়টা খুবই আপত্তিজনক!

বিসমিল্লাহ্ খান
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৫০ অপরাহ্ন

সরকারি বেসরকারি ছুটি সম্পর্কে মতামত: ১। ঈদের ছুটি পাঁচ/ছয়দিনের মধ্যে অন্য কোনো ছুটি একীভূত হয়ে গেলে সমপরিমাণ ছুটি যোগ করতে হবে। যেমন - শুক্রবার, থেকে মঙ্গলবার ছুটি হলে আগে একদিন এবং পরে একদিন অথবা আগে দুই দিন অথবা পরে দুই দিন বাড়াতে হবে এবং এটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন রকম অথবা এক‌ই প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন করা যেতে পারে যাতে সকলের ভ্রমণ এক‌ই সময়ে না হয়। কিন্তু সকলে যেন ছুটি ভোগ করতে পারেন। আবার জনসেবা চালু থাকে। এক‌ইভাবে সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ চাহিদা অনুযায়ী ছুটি সমন্বয় করতে হবে। ২। সকল ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার দূরত্ব এবং ভ্রমণের সময়ের ভিত্তিতে ভাতাসহ ভ্রমণ ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে, ঈদ বা উৎসবসহ যেকোনো সময়। যেমন - যিনি রংপুর সদর থেকে দিনাজপুর সদর যাবেন তাঁর জন্য অথবা যিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যাবেন তাঁর জন্য ভ্রমণের আলাদা আলাদা ছুটির ব্যবস্থা রাখতে হবে। অন্যথায় বৈষম্য দূর হবে না। বর্তমানে বৈষম্যমূলক পদায়নের কারণে অনেকেই বাড়িতে থেকে অফিস করতে পারেন আবার অনেকের কর্মস্থল থেকে বাড়িতে যেতে একদিন আসতে একদিন মোট দুই দিন লাগে। এতে প্রচুর অর্থ‌ও ব্যয় হয়।

ইরফান
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৩৭ অপরাহ্ন

প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমি জরুরি বিভাগে কর্মরত বিধায় এই ছুটি আমি পাব না। এমনকি ঈদের দিনও না। তারপরও এই ছুটিকে আমি স্বাগত জানাই। সবার আগে মানুষের জীবন। শুধু ঈদে বাড়ি আসতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রান হারায় সড়ক দুর্ঘটনায়। এক সাথে যখন দুই কোটির অধিক মানুষ ঢাকা ত্যাগ করে ৩ দিনের মধ্য যাওয়া আসা তখন একদিকে রাস্তায় বাপক জ্যাম অন্যদিকে জীবনহানি। তাই ছুটি বাড়িয়ে সেই আশংকা দূর করা হয়েছে। আপনি বলেছেন বিশ্বের কোনো দেশে এরকম ছুটি দেয়া হয়না। কথা সত্যি কিন্তু আপনি সব দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করতে পারেন কি? ১। বাংলাদেশের মত সর্বাধিক জনঘনত্বের দেশ আর আছে এই বিশ্বে? ২। রাস্তায় বিশৃঙ্খলা আছে এই দেশের মত অন্য কোনো দেশে? ৩ । জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তা কম আছে? ৪। ঈদ উৎসবে পৃথিবীর অন্য কোন দেশের মানুষ এত আবেগপ্রবন হয় আমাদের দেশের মত? ৪। রাস্তা দখল করে প্রতিদিন মিটিং মিছিল আছে? তাই উপরোক্ত সমস্যাগুলি বিশেষ করে সড়কে অনিয়ম বিশৃঙ্খলা দূর করা গেলে ৩ দিন ছুটি যথেষ্ট মনে করা যায় কিন্তু এই সমস্যা বাংলাদেশের কান্সার এগুলো কোনোদিন দূর হবে বলে মনে হয় না। তাই ১০ দিন ছুটি এই মুহূর্তে যুক্তিযুক্ত। ৫। আরেকটা ব্যাপার হল জনগোষ্ঠীর খুব অল্প মানুষ সরকারি বেসরকারি চাকুরি তথা প্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিযুক্ত আর সিংহ ভাগ অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিযুক্ত। মানে এই সিংহ ভাগ মানুষ কিন্তু ছুটি কাটাবে না। পরিবহণ , হোটেল মোটেল, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর সরবরাহ, সব স্বাভাবিক থাকবে তাছাড়া ব্যাংক এর কার্ড সার্ভিস চালু মোবাইল ফিনাঞ্চিয়াল সার্ভিস চালু থাকবে এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতির কারন হবে না।

masud rana
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৩৬ অপরাহ্ন

১. প্রাপ্য ছুটি ও নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়া খুব জটিল একটি বিষয়, তাছাড়া একই শাখার সবাইকে তো একসাথে এসব ছুটি দেবেনা। ২. সেবাখাতে জনবল বাড়ানোর বেলায় কারো কথা নেই, নতুন নিয়োগের গতি নেই, শুধু চিন্তা যারা আছে তাদেরকে বেশি বেশি খাটানো, শুক্রবার কাজ করাতে পারলে যেন আরও ভাল হয়। দেশ শীর্ষ ধনী দেশ হয়ে যাবে। ৩. মানুষ যন্ত্র নয় যে নিরবচ্ছিন্ন সেবার নামে একজন সেবাপ্রদানকারী মানুষ নামকা ওয়াস্তে ছুটি কাটিয়ে অবিরামভাবে কাজ করে যাবে। ৪. উৎসবের ছুটিগুলো ৫-৭ দিনই হওয়া উত্তম।

আব্দুল্লাহ
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৩৩ অপরাহ্ন

দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এ জাতীয় একটানা দীর্ঘমেয়াদি ছুটি কোনক্রমেই যুক্তিসংগত নয়। এর ফলে দেশে এবং বিদেশে খারাপ নজির স্থাপিত হয়।

Aktaruzzaman Bhuiya
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৪:৩২ অপরাহ্ন

সম্প্রতি সরকার ঘোষিত টানা দশ দিনের ছুটি দেশের জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই দীর্ঘ ছুটিকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ এটি পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়। এছাড়া, অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি ইউটিলিটি খরচে সাশ্রয় হয়েছে, যা রাষ্ট্রের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক।দীর্ঘ ছুটির সময় জরুরি সেবাগুলো কার্যকর রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সুশৃঙ্খল রাখবে।

জিলানী
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩:১২ অপরাহ্ন

ধন্যবাদ লেখককে। এই কথাটা এতদিন কোনো বিদ্বানের মুখে আসলোনা এটাই হতাশার বিষয়।

Mushfiqul
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৫৬ অপরাহ্ন

নিউজ হেড দেখেই এক মত পোষণ করছি।

Hedayet Ullah
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৪৯ অপরাহ্ন

You are absolutely right. Ten day's leave is a big fun.

mamun
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৪৩ অপরাহ্ন

দেশের জনগণকে নব উদ্বোমে জাগিয়ে তোলার পরিবর্তে অলসতার সাগরে ডুবিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বলে মনে হচ্ছে। একজন কর্মঠ মানুষ ১০ দিনের বেকার হয়ে যাবে। যেখানে দেশের স্বার্থে সপ্তাহের দুই দিন ছুটি একদিনে নিয়ে এসে কর্মঘন্টা বাড়ানো উচিত। সেখানে সরকার মনে হয় পিছনের দিকে হাটতেই বেশী উতসাহী।

জামশেদ পাটোয়ারী
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৩৯ অপরাহ্ন

চমৎকার বিশ্লেষণ। রাষ্ট্র ও ধরনের ছুটির উৎসব পালন করতে পারে না। ঈদ উৎসবের ক্ষেত্রে এমন ছুটি হলে বড়দিন, ইস্টার, দুর্গাপূজা, বুদ্ধপূর্ণিমাসহ সকল ধর্মের সকল পার্বণে এমন ছুটি দিতে হবে। যাহোক রাষ্ট্রীয় সেবা খাট সচল রাখতে এই ধরনের ছুটির উৎসব বাদ দেন।

Domenic Sikder
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৩৯ অপরাহ্ন

সরকার যদি তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জনসাধারণকে কোন সুবিধা দিতে পারে সেটাই সফলতা। আপনার অলস সময় কাটতে পারে, কিন্তু অধিকাংশের এই ঈদে ভালো সময় কাটবে। সমালোচনার অনেক টপিক আছে, শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করাই ভালো। অন্যান্য উৎসবে 10 দিন ছুটি দিলেই এই 10 দিনের ছুটি বৈধতা পাবে? তাদের জন্যও কিভাবে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া যায়, সেটা নিয়ে ভাবা যায়।

এইচ, এম, মাসুদুর রহম
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:৩৮ অপরাহ্ন

shomot poson kori

Alfu Miah
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:২৩ অপরাহ্ন

Rest karar dorkar asee .10 days ok.

Masud rana
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:২২ অপরাহ্ন

কোন পদে কোন লোক তিন দিন অনুপস্থিত থাকা মানে ওই পদে কোন লোক না থাকলেও এ প্রতিষ্ঠান চলবে।

রফিকুল
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:২১ অপরাহ্ন

Absolutely right.

Saiful
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:২১ অপরাহ্ন

not agreed

a k m waridul haque
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:১৭ অপরাহ্ন

দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এজাতীয় একটানা দীর্ঘমেয়াদি ছুটি কোনক্রমেই যুক্তিসংগত নয়। এর ফলে দেশে এবং বিদেশে খারাপ নজির স্থাপিত হয়।

Iqbal
১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ২:০৫ অপরাহ্ন

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status