ঢাকা, ২৬ মে ২০২৫, সোমবার, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

মত-মতান্তর

পারমাণবিক শক্তি: মিথ ও বাস্তবতা রূপপুরের আলোয় সম্ভাবনার মূল্যায়ন

ফরিদুর রহমান

(৬ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৮:৩১ অপরাহ্ন

বৈশ্বিক উৎপাদন, উন্নয়ন গ্রাফ কিংবা বাণিজ্য বিবেচনায় জ্বালানির গুরুত্ব সবার জানা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ সেই ‘জ্বালানি বিশ্ব’ বর্তমান সময়ে বেশ অস্থিতিশীল। যুদ্ধের মাঠ। কারণও অজানা নয়। মানুষ বিবেচনায় এক দিকে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা, অন্যদিকে কমছে জীবাশ্ম-জ্বালানির মজুদ। তার ওপর আবার এই জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবহার গোটা পৃথিবীকে করে তুলছে উত্তপ্ত। সে কারণেই সব দেশ এখন জ্বালানির বিকল্প উৎসগুলো খুঁজতে শুরু করেছে।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে রিনিউএ্যবল এনার্জি বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টি। বলা চলে ‘এনার্জি-হাংরি’ দেশগুলো এখন জ্বালানির নতুন উৎস খুঁজতে মরিয়া। এতে আলোচনায় আসছে পারমাণবিক শক্তি উৎসটি। 
উন্নয়নের গতিশীলতায় বাংলাদেশ এ যাত্রার বাইরে থাকতে পারে না; নেইও। সে কারণেই চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই যাত্রার অংশ। যার কাজ প্রায় শেষের দিকে। যতটা জানা গেছে, আগামী বছর নাগাদ রূপপুর গ্রিডে বিদ্যুৎ দিতে পারবে।
সর্বশেষ তথ্য যা বলছে তাতে রূপপুর প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ আশা করছে ২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। 
প্রকল্প যখন প্রায় শেষ তখনও কিন্তু এ নিয়ে গল্প-ধারণা, মিথ আর বিতর্কের শেষ নেই। ‘মিথ আর মিথ্যা’য় ভর করে চলছে রূপপুর নিয়ে কাটাছেঁড়া। 
এটুকু বোঝা খুব কঠিন নয় যে; পেছনে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ভূ-রাজনীতি যুক্ত। কিন্তু ভুলের ওপর ভর করে ভয়ের মধ্যে থাকাটাও কি যৌক্তিক?
২.
মনে রাখা উচিত; বাংলাদেশের জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কেবল একটি প্রকল্প নয় বরং ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের অংশ। ফলে এর ভালো-খারাপ আলোচনা হলেও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ কম। তাই বলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভালো খারাপ নিয়ে আলোচনা না করেও উপায় নেই। তর্ক-বিতর্ক হওয়া জরুরি। যেমনটা ছিলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ নিয়ে। তবে বরাবরের মতোই সেই বিতর্ক হওয়া উচিত তথ্যভিত্তিক ও বাস্তবতা বিচারে; কোন মতেই সেই আলোচনা মিথের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত নয়।
বরং এ নিয়ে একটু ঘেঁটে দেখা যাক। জেনে নেওয়া যাক রূপপুর নিয়ে আদতে কী ভুল তথ্য আমাদের সামনে আসছে এবং তার পেছনের আসল তথ্য বা গল্পটা কী?
বলা হয়ে থাকে যে কোন পারমাণবিক জ্বালানি বা শক্তি ভয়ংকর এবং মানব সমাজের জন্য অনিরাপদ। এক্ষেত্রে মানুষের মনে এঁকে দেওয়া হয় চেরনোবিল বা ফুকুশিমা দুর্ঘটনা স্মৃতি। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এই মিথ আরও শক্তপোক্ত করে তোলে। কিন্তু ইন্টারনেটের উন্মুক্ত জগতে সামান্য ঘাঁটাঘাঁটি করে যতটা তথ্য মেলে তার সঙ্গে যত-সামান্য প্রযুক্তি জ্ঞান যুক্ত করলে দেখবেন চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিমার সঙ্গে রূপপুর বা বর্তমান বিশ্বের আধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিস্তর ফারাক। সেই সময়ের প্রযুক্তির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের প্রযুক্তির তফাত আকাশ-পাতাল।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ না হয়েও সামান্য খোঁজ খবর নিলে জানবেন যে, রূপপুরে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিকতম প্রযুক্তি। কেতাবি ঢঙে বললে অত্যাধুনিক ‘ভিভিইআর-১২০০ রি-অ্যাক্টর’ প্রযুক্তি হচ্ছে রূপপুরে। এই প্রযুক্তিই এখনও পর্যন্ত লেটেস্ট বা সর্বশেষ প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তি গোটা দুনিয়াজুড়ে নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বের আর যে ক’টা দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অপারেশনে আছে তাদের এখনও পর্যন্ত এ প্রযুক্তি নিয়ে কোন কমপ্লেইন নেই। কারণ হিসেবে জানা গেলো, এটি তাপমাত্রা বা চাপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না। অর্থাৎ বিক্রিয়া করে না বরং তাপ-চাপ বেড়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বোঝার জন্য বিষয়টিকে বাসা-বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগের সার্কিট-ব্রেকারের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন; অস্বাভাবিক সংযোগ বা তড়িৎ প্রবাহ হলে যেটি নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়।
চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিমায় যখন দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই সময় আর এই সময়েও  বিস্তর ফারাক। এত সময়ে প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে অন্য উচ্চতায়। ইতিহাস তার প্রমাণ। খুব সহজ করে বললে, ওই দুই দুর্ঘটনার পর আর কোন দুর্ঘটনার কথা জানা যায়নি।
তার ওপর বাংলাদেশ আর রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ প্রকল্প নিয়ে বাড়কি সতর্কতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

তবে দুর্ঘনটা তো দুর্ঘটনাই। কিন্তু আদতে প্রযুক্তি যেখানে পৌঁছেছে, তাতে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একটু কম বলেই মনে হয়।
৩.
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আরেকটি শঙ্কা আছে পরিবেশবিদদের। এই প্রকল্পের শুরুর দিকে পারমাণবিক রি-অ্যাক্টর বিশেষজ্ঞ, গবেষক আর পরিবেশবিদরা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন; পারমাণবিক বর্জ্য নিয়ে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর যে উপাদান বর্জ্য হিসেবে থেকে যাবে, তার কী হবে? এ নিয়ে অনেক কথা, আলোচনা, ফাইল চালাচালিও হয়েছে। অনেকেই দাবি তুলেছিলেন, পারবামনিক বিদ্যুৎ উপাদানের পর সৃষ্টি হওয়া বর্জ্য যেন রাশিয়া ফেরত নিয়ে যায়।
ভয় এবং ভয়ের আবহ তৈরি হওয়া এই বিষয়টি নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনার শেষ হয়েছে কিছু সিদ্ধান্তে। 
সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন, রূপপুর প্রকল্পে পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ব্যবহৃত জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে নিয়ে যাবে রাশিয়া। ফলে দেশে এমন ‘ভয়ংকর বর্জ্য’ জমিয়ে রাখার ভয় থাকছে না। 
সেই সঙ্গে নৈতিক ও আইনি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে; এই প্রযুক্তি বুঝিয়ে দেওয়ার আগে যোগ্য জনবল তৈরি করবে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। ফলে প্রকল্প হ্যান্ডওভারের পরও হঠাৎ উদ্ভব হওয়া কোন সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে বাংলাদেশ।
৪.
রূপপুর আর এর প্রযুক্তি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক যখন প্রায় সমাধানযোগ্য অবস্থায় এসেছে তখন আরেক বিতর্ক উঠছে সুশীল সমাজের একটা অংশ থেকে। তাদের কথা; বিশ্বের সবাই যখন নবায়নযোগ্য শক্তির পেছনে ছুটছে তখন কেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ? এই বিদ্যুৎ প্রকল্প কী খুব প্রয়োজন ছিলো?
মজার ব্যাপার হলো, এই তর্ক অযৌক্তিক নয়। বিশ্বের অনেক দেশই এখন জীবাষ্ম-জ্বালানি ছেড়ে নবায়নযোগ্য শক্তির পেছনে ছুঁটছে। অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগত কারণে সেটি অযৌক্তিকও নয়। ফলে একে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না।

মনে রাখা ভালো; সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে ভরসা করতে হবে এ দুটি প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর। 
কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা তো ২৪ ঘণ্টার, যা সৌর ও বায়ু থেকে বাংলাদেশে পাওয়া একটু জটিল। বিদ্যুৎ প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেই চ্যালেঞ্জ প্রাকৃতিক। কেননা বাংলাদেশে টারবাইন ঘোরানোর মতো পর্যাপ্ত বায়ু পাওয়া কঠিন। অর্থাৎ চ্যালেঞ্জটা কিছুটা প্রাকৃতিক। এ নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হলেও খুব আশাবাদী নন প্রযুক্তিবিদরা। সৌর-বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রায় একই রকম চ্যালেঞ্জের। যদিও এখনও পর্যন্ত সৌর-বিদ্যুৎ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা। তবে সৌরভিত্তিক বিদ্যুতে বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো এক কথায় অসম্ভব। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে। যদিও আজ পর্যন্ত কেবল ১ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এর মধ্যে ২৩০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং ১ হাজার ৮০ দশমিক ৩৬ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ।
ফলে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টার পাশাপাশি চাহিদার বিপরীতে যোগানের চ্যালেঞ্জ নিতে ভিন্ন উৎস খুঁজতেই হতো বাংলাদেশকে। সেই বিকল্প বাংলাদেশ খুঁজে নিয়েছে পারমাণবিক বিদ্যুতে।
তাছাড়া ভবিষ্যতে কয়লা বা গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ ও পরিবেশগত ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। সেই হিসেবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ নির্মল, কার্বনমুক্ত এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হিসেবে সামনে আসবে।
রূপপুর কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য একটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নের সুযোগ। ইতোমধ্যেই পারমাণবিক প্রকৌশল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সুরক্ষা প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা শুরু হয়েছে। পরমাণু প্রযুক্তির প্রয়োগ কেবল বিদ্যুতে সীমাবদ্ধ নয় স্বাস্থ্য, কৃষি, চিকিৎসা, এমনকি গবেষণার ক্ষেত্রেও এটি নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হলেও বড় পরিমাণে কার্বন নিঃসরণ করে না। তবু শিল্পায়নের জন্য বিদ্যুৎ দরকার, আর সেটা যদি কয়লা বা গ্যাস দিয়ে হয়, তাহলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক চাপ ও পরিবেশগত ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ একটি নির্মল, কার্বনমুক্ত এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে।
ভয় নয়, বিজ্ঞান; সন্দেহ নয়, স্বচ্ছতা—এই নীতিতেই পারমাণবিক শক্তির মূল্যায়ন হওয়া উচিত। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদের সামনে একটি সুযোগ খুলে দিয়েছে  শক্তি নিরাপত্তা, কার্বনমুক্ত উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতার। সময় এসেছে এ প্রকল্পকে কেবল রাজনৈতিক নয়, বৈজ্ঞানিক ও বাস্তবতার চোখে দেখার।
যদি নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়, তবে রূপপুর হতে পারে বাংলাদেশের শক্তি খাতে এক যুগান্তকারী মাইলফলক।
এ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। চাহিদা বাড়ছে তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এ নিয়ে নতুন নতুন বিষয় পড়ানোর তাগিদ অনুভব করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পারমাণবিক প্রকৌশল ও প্রযুক্তি পড়ানো হচ্ছে। তাতে দেশে তৈরি হচ্ছে প্রযুক্তি-শিক্ষিত জনবল, যা দেশের পাশাপাশি ভবিষ্যতে জনসম্পদ হিসেবে দেশের বাইরেও কাজ করতে পারবে।
এই পরমাণু প্রযুক্তি কেবল বিদ্যুতে সীমাবদ্ধ নয় স্বাস্থ্য, কৃষি, চিকিৎসা, এমনকি গবেষণার ক্ষেত্রেও এর বহুল ব্যবহার আছে। সেই খাতগুলো খুঁজে দেখা এবং সেইমতো সম্ভাবনা যাচাই করার সুযোগও তৈরি হবে এই দক্ষ জনশক্তির হাত দিয়ে।
আর সব মিলিয়ে— ভয় নয় বরং বিজ্ঞান এবং সন্দেহ নয় বরং স্বচ্ছতাকে ভিত্তি করে পারমাণবিক শক্তির মূল্যায়ন করা উচিত বলে মনে করি।
এক দিকে শক্তি নিরাপত্তা, কার্বনমুক্ত উন্নয়ন; এবং অন্যদিকে প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা— এ সব নিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ইতিবাচক ফল দেবে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।
নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সাপেক্ষে এ প্রকল্পকে রাজনৈতিক নয়, বৈজ্ঞানিক ও বাস্তবতার চোখে দেখা উচিত।

লেখক: সাংবাদিক

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status