মত-মতান্তর
বেকারত্বের মনস্তত্ত্ব ও আত্মনির্ভরতার বিকল্প পথ
তৌফিক সুলতান
(১ দিন আগে) ২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৩:০২ অপরাহ্ন

বেকারত্ব—এই শব্দটি আমাদের সমাজে যেন একটি ছায়ামানবের মতো বিরাজ করছে। অদৃশ্য অথচ সর্বগ্রাসী। আমরা যখন বেকারত্বের কথা বলি, তখন চোখে ভেসে ওঠে সরকারি চাকরির মেধা তালিকায় পড়ে থাকা হাজার হাজার তরুণ-তরুণীর নাম। তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম, আর হতাশার দীর্ঘ ছায়া। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি, আমাদের এই বেকারত্ব আসলেই চাকরির সংকট, নাকি এটা একটি মনস্তাত্ত্বিক ব্যর্থতা?
"শিক্ষা তোমাকে চিন্তা করতে শেখায়, আর প্রশিক্ষণ শেখায় সেই চিন্তাকে কাজে রূপ দিতে।” বিশ্বের উন্নত কিংবা মধ্যম আয়ের অনেক দেশেই বেকারত্বের হার তুলনামূলক কম। কারণ সেসব দেশে তরুণেরা কেবল চাকরির পেছনে ছোটে না, বরং ছোট উদ্যোগ নিয়ে স্বপ্ন গড়ে। “চলো একটা দোকান দিই”—এই বাক্যটা তাদের কাছে অর্থহীন নয়, বরং সম্ভাবনার সূচনা। সেখানে দুই বন্ধু মিলে কফি শপ খোলে, বাবা-ছেলে মিলে হোটেল দেয়, কিংবা চাচা-ভাতিজা মিলে মুদি দোকান গড়ে তোলে। ছোট্ট ব্যবসা, বড় স্বপ্ন।
কিন্তু আমাদের দেশে? এক তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তেই হোটেল ব্যবসার স্বপ্ন দেখে, তখন সমাজ তাকে শুধুমাত্র প্রশ্নবাণেই জর্জরিত করে না, তার শিক্ষাগত ও সামাজিক মর্যাদাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। বলা হয়, “তুই এত পড়াশোনা করে হোটেল দিবি?” এই ‘লজ্জা’র সংস্কৃতি আমাদের সামাজিক বিকাশকে থামিয়ে দেয়। আত্মনির্ভরতার স্বপ্নকে চেপে ধরে ‘চাকরি না পাওয়া মানেই ব্যর্থ’ এই ধারণা।
আমাদের দেশের তরুণরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে বিসিএস, ব্যাংক, কর্পোরেট চাকরি—এই ত্রিভুজেই আটকে থাকে। কিন্তু ‘চাকরি’ নয়, ‘কাজ’—এই মানসিকতার পরিবর্তনটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। পাশের দেশগুলোর তরুণরা ২০ বছর বয়সেই স্টার্টআপ শুরু করে, অনলাইন বেইজড বিজনেস গড়ে তোলে, এবং সন্ধ্যায় দোকানে বসে লুঙ্গি পরে ইনভয়েস পাঠায়। আত্মমর্যাদার সাথে উপার্জন—এই দৃষ্টিভঙ্গিটা তাদের এগিয়ে রাখে।
অন্যদিকে, আমাদের তরুণ চাকরি খুঁজতে খুঁজতে বাবার কাছ থেকে ‘সিভি বানানোর’ জন্যও টাকা নেয়। অথচ তার সামান্য একটা উদ্যোগও হতে পারত একদিনের সফল কোম্পানির সূচনা। শুধু প্রয়োজন মানসিক পরিবর্তনের।
বেকারত্ব এখন শুধুই সংখ্যার খেলা নয়, এটা মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক এক চেতনার সংকট। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে চাই স্বপ্নের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। চায়ের দোকান, মুদি দোকান, ছোট হোটেল—এসব কিছুর মাঝেই আছে স্বপ্নের বীজ। শুধু দরকার সেই বীজ বপনের সাহস।
বন্ধুরা, সময় এসেছে নিজেদের সম্ভাবনাকে পুনরাবিষ্কার করার। সময় এসেছে “চাকরি না পাওয়া” নয়, “নিজে কিছু শুরু করার” লজ্জাহীন সংস্কৃতি গড়ে তোলার। মনে রাখতে হবে, একটি চায়ের দোকান লজ্জা নয়—এটি হতে পারে এক উদ্যোক্তার প্রথম স্বাক্ষর, যার গল্প একদিন অনুপ্রেরণা হবে শত শত তরুণের জন্য।
বেকারত্ব কমাতে হলে শুধু চাকরি সৃষ্টি নয়, প্রয়োজন মানসিকতা সৃষ্টি। ‘যে জাতি তরুণদের হাতে দক্ষতার অস্ত্র দেয়, সেই জাতি কখনো বেকার থাকে না’।
বেকারত্ব—শুধু একটি অর্থনৈতিক পরিভাষা নয়, বরং একটি জাতির সম্ভাবনা ও বাস্তবতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন বাস্তবতা। আমাদের দেশের কোটি কোটি তরুণ উচ্চশিক্ষিত, কিন্তু তারা দিনের পর দিন সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় সময় পার করে। অনেকেই হতাশায় আত্মবিশ্বাস হারায়, অনেকেই আবার সমাজের কটূ দৃষ্টির শিকার হয়ে মুখ লুকিয়ে চলে। অথচ এই তরুণরাই হতে পারত দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ—যদি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হতো দক্ষতার অস্ত্র। "চাকরি না পাওয়া ব্যর্থতা নয়, কিছু না করে বসে থাকাই প্রকৃত ব্যর্থতা।”
শুধু ডিগ্রি নয়, দরকার দক্ষতা
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও অনেকাংশেই বইনির্ভর। একজন ছাত্র কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে বের হয়, কিন্তু বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য কোনও কাজ জানে না। অথচ আজকের দুনিয়ায় কাজের জগতে প্রতিযোগিতা শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে চলে না—দরকার স্কিল বা দক্ষতা। হোক তা ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ইলেকট্রিক কাজ, কৃষি প্রযুক্তি, ফুড প্রসেসিং কিংবা কন্টেন্ট ক্রিয়েশন—সবই আজ অর্থনীতির নতুন ভিত্তি।
একটি জাতি যদি চায় বেকারত্ব থেকে মুক্তি, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত তরুণদের হাতে এই বাস্তবধর্মী দক্ষতা তুলে দেওয়া।
বেকারত্বের চক্র ও তরুণের হাহাকার
বাংলাদেশের বেশিরভাগ তরুণের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা একটাই: “ভালো একটা সরকারি চাকরি।” এর বাইরে চিন্তা করলে সমাজ তাকে নিয়ে হাসে, পরিবার চাপে ফেলে, বন্ধুরা প্রশ্ন তোলে। অথচ পাশের দেশগুলোতে দেখা যায়—একজন তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই কোডিং শিখে ছোটখাটো অ্যাপ বানাচ্ছে, ফুড ডেলিভারি সার্ভিস চালু করছে, ইউটিউবে নিজের চ্যানেল চালাচ্ছে, ই-কমার্সে নিজের পণ্য বিক্রি করছে।
তারা বেকার নয়, তারা নিজেই নিজের চাকরি সৃষ্টি করছে। এর একটাই কারণ—তাদের হাতে রয়েছে দক্ষতার অস্ত্র।
রাষ্ট্র যদি দক্ষতা দেয়, জাতি পায় আত্মনির্ভরতা
সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানির মতো দেশগুলো তাদের তরুণদের হাতে শুধু ডিগ্রি দেয়নি—দিয়েছে স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ভোকেশনাল ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, ইন্ডাস্ট্রি লিংকড প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা। এর ফলে তারা বিশ্বের বাজারে প্রতিযোগী, আর আমরা এখনও বেকার তরুণদের তালিকা লম্বা করছি।
আমাদের দেশেও কারিগরি ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তা এখনো পর্যাপ্ত নয়। তা যেন হয় বাধ্যতামূলক ও যুগোপযোগী। যেমন—হাইস্কুলের পর ৩ মাসের স্কিল প্রশিক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির সময় ৬ মাসের প্রফেশনাল কোর্স, এবং শিক্ষার পাশাপাশি “ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, ডিজিটাল কর্মসংস্থান”—এই বিষয়গুলোকে যুক্ত করতে হবে।
যুব সমাজের শক্তিকে কাজে লাগাতে হলে চাই চারটি পদক্ষেপ:
স্কিল ভিত্তিক শিক্ষার প্রসার – বইয়ের জ্ঞান নয়, বাস্তব দক্ষতা শেখানো
স্কিল ও স্টার্টআপ বান্ধব অর্থনীতি – ব্যাংক ঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা
নাগরিক সেনা/দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি – জাতীয় পর্যায়ে বাধ্যতামূলক দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ
সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন – ছোট কাজকে সম্মান জানানো এবং উদ্যোক্তাকে উৎসাহ দেওয়া
বেকারত্ব হ্রাসে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে দক্ষতা। সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে বসে থাকা নয়, বরং হাতে যদি থাকে প্রোগ্রামিং, ফুড প্রসেসিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ই-কমার্স কিংবা হ্যান্ডি ক্রাফটের দক্ষতা—তাহলে সে কেবল নিজের জন্য নয়, আরও পাঁচজনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
তাই সময় এসেছে রাষ্ট্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারকে একযোগে ভাবার:
“তরুণদের হাতে শুধু ডিগ্রি নয়, দক্ষতা দিন—তাহলেই বদলে যাবে দেশ। কারণ যে জাতি তরুণদের হাতে দক্ষতার অস্ত্র দেয়, সেই জাতি কখনো বেকার থাকে না।”
বেকারত্ব কমাতে হলে শুধু চাকরি সৃষ্টি নয়, প্রয়োজন মানসিকতা সৃষ্টি: নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বেকারত্ব কেবল অর্থনৈতিক নয়; এটি একটি মানসিক, সামাজিক ও কাঠামোগত সমস্যা। আমরা যখন "চাকরি সৃষ্টি" বলি, তখন কেবল সরকার বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কথা ভাবি। অথচ অধিকাংশ দেশ যেখানে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বা জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মুখে, সেখানে সবার জন্য চাকরি নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তাই এই সংকট নিরসনে দরকার ‘চাকরি খোঁজা’ নয়, ‘কাজ খোঁজার’ মনোভাব তৈরি। আর এই মানসিকতার জাগরণে অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে “নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ”।
নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ কী?
নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ (Civil or National Service Training) হলো একটি কাঠামোবদ্ধ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম যেখানে তরুণরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শৃঙ্খলা, আত্মনির্ভরতা, পারস্পরিক সহযোগিতা, টেকনিক্যাল ও মানবিক দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণ পায়। এটি বাধ্যতামূলকও হতে পারে, ঐচ্ছিকও—দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী। "নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ শুধু শৃঙ্খলা শেখায় না, শেখায় দায়িত্ব, নেতৃত্ব ও দেশপ্রেম।”
বাংলাদেশে এর প্রাসঙ্গিকতা কেন?
১. মানসিকতা গঠনে সহায়ক:
আমাদের সমাজে শ্রমকে এখনো শ্রেণিভিত্তিক দৃষ্টিতে দেখা হয়। ‘মালিক’ ও ‘কাজের লোক’—এই বিভাজন তরুণদের হাতে-কলমে কিছু শিখতে নিরুৎসাহিত করে। নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা বুঝতে পারে, “কোন কাজই ছোট নয়।” এতে করে কাজকে সম্মান করার এবং নিজের হাতের কাজ দিয়েই শুরু করার মানসিকতা গড়ে ওঠে।
২. শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ তৈরিতে:
শুধু ডিগ্রি নয়, চাকরিদাতারা খোঁজেন দক্ষ, শৃঙ্খলিত এবং আত্মবিশ্বাসী কর্মী। নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ তরুণদের ভেতরে এই তিনটি গুণাবলি তৈরি করে। তারা সময়ানুবর্তিতা শেখে, দলবদ্ধভাবে কাজ করতে শেখে, এবং নিজেদের দায়িত্ব বোঝে।
৩. কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে:
এই প্রশিক্ষণে কারিগরি, কৃষি, প্রযুক্তি, জরুরি চিকিৎসা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক নিরাপত্তা, সামাজিক নেতৃত্ব ইত্যাদি নানা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ থাকে। এর ফলে তরুণরা সরকারি চাকরি না পেলেও নিজেদের দক্ষতা দিয়ে কিছু করতে পারে—উদ্যোক্তা হতে পারে, নিজস্ব পেশা গড়ে তুলতে পারে।
৪. জাতীয় ঐক্য ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে:
বিভিন্ন অঞ্চল, ধর্ম, ভাষা ও শ্রেণির তরুণরা যখন একসাথে প্রশিক্ষণ নেয়, তখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহনশীলতা ও জাতীয়তাবোধ তৈরি হয়। এতে করে সামাজিক বিভাজন হ্রাস পায়।
৫. বেকারত্বের বিকল্প সমাধান:
সব তরুণকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সকলকে যদি দক্ষতা, সাহস ও উদ্যোগী মানসিকতা দেওয়া যায়, তাহলে তারা নিজেরাই কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করবে। নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ এই বিকল্প চিন্তার বীজ বপন করে।
উন্নত বিশ্বে উদাহরণ:
সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া: এই দেশগুলোতে সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক এবং একইসঙ্গে প্রযুক্তি, দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এতে বেকারত্ব কমে এবং তরুণদের কর্মদক্ষতা বাড়ে।
বাংলাদেশে নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ চালুর সম্ভাব্য রূপরেখা:
সময়সীমা: ৩ থেকে ৬ মাস (বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে বা এইচএসসি পর)
বিষয়বস্তু:
শারীরিক শিক্ষা
প্রযুক্তিগত/কারিগরি প্রশিক্ষণ
জরুরি চিকিৎসা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
দলবদ্ধ কাজ ও নেতৃত্ব
আত্মনির্ভরশীল উদ্যোগ গড়ার শিক্ষা
বৃত্তি/প্রণোদনা: অংশগ্রহণকারীদের জন্য ভাতা বা ক্রেডিট সুবিধা
সনদ: চাকরি ও উচ্চশিক্ষায় বাড়তি মূল্যায়নের সুবিধা
আমাদের সমাজে এখন সময় এসেছে শুধু চাকরির জন্য ছুটে বেড়ানো নয়, কাজ খোঁজার সাহসিকতা গড়ে তোলার। বেকারত্ব কমাতে চাইলে শুধু কর্মসংস্থান নয়, প্রয়োজন মাইন্ডসেট বদলানো। নাগরিক সেনা প্রশিক্ষণ কেবল তরুণদের বেকারত্বের চক্র থেকে বের করে আনবে না, বরং দেশকে একটি আত্মনির্ভর জাতিতে রূপান্তরেও সহায়ক হবে।
বেকারত্বের সমাধান মানেই শুধু চাকরি দেওয়া নয়—তাদের এমন করে গড়ে তোলা, যেন তারা নিজেরাই কাজ তৈরি করতে পারে।
"প্রশিক্ষণ এমন একটি অস্ত্র, যা তোমাকে শুধু চাকরি নয়, নেতৃত্বের জায়গায় দাঁড়াতে শেখায়।”
লেখক –
ব্যবস্থাপনা পরিচালক & সহকারী প্রধান শিক্ষক, ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমি,কাপাসিয়া,গাজীপুর।
প্রভাষক - বি.জে.এস এম মডেল কলেজ, মনোহরদী, নরসিংদী।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা - ওয়েল্ফশন লাভ অফ ওয়েলফেয়ার।