প্রথম পাতা
ঢাকায় হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবারবাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় একটি কার্যালয় করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্কের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার বৈঠকের পর এই তথ্য জানান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। সরকারের আমন্ত্রণে দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, একটা খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। অফিসটা চালু হলে যে সুবিধাটা আমাদের সবচেয়ে বেশি, সেটা হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, ওরা সরাসরি তদন্ত করতে পারবে। ঢাকায় মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ। তিনি বলেন, ওরা তদন্ত করলে, আমাদের যে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসে, চলে যায়, তারা যদি নিজেদের অপরাধের তদন্ত করে, সে তদন্ত তো হয় না। আমরা নাগরিক সমাজ থেকে যখন তদন্ত করি অথবা সত্যটা যখন তুলে ধরি, তখন আমাদের ওপর নির্যাতন আসে এবং আমরা নানা চাপের ভেতরে থাকি। এবং সেই কথাগুলো ব্যক্ত করা যায় না, রিপোর্টও করা যায় না। শিগগিরই এই কার্যালয় চালুর উদ্যোগ নেয়ার কথা তুলে ধরে শারমীন মুরশিদ বলেন, মানবাধিকারের জাতিসংঘ কার্যালয় থাকা মানে, এখানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে একটা বড় শক্তি আমাদের বাড়লো। বৈঠকে আলোচনার অন্যান্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, ওরা যেটা জানতে চাইলো আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে, সেটা হচ্ছে যে, আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো কী দেখছি এবং আমরা কীভাবে বর্তমান অবস্থাটা দেখছি। এবং আমরা প্রত্যেকে যার যার ক্ষেত্র থেকে আমরা বলেছি, চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং কোথায় তারা আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে- এটাই হচ্ছে মূল কথা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এমন কার্যালয় হতে যাচ্ছে।
এই বৈঠকে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
এরা মানবাধিকার নামে সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার এগুলোর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।।
আমি এটার ভবিষ্যত খুব ভালো মনে করি না। জাতিসংঘ মানে আমেরিকা, আমেরিকা মানে জাতিসংঘ। ইসরাইল- ফিলিস্থিন, ইউক্রেন-রাশিয়া, ইরাক, আপগানিস্থান, জাতিসংঘের কোন ভুমিকাই কাজে লাগেনি, যুক্তরাষ্ট্র যা চায় জাতিসংঘও তাই। ভয় হলো ভারত-চিনের মধ্যে লাগিয়ে দিয়ে আবার বাংলাদেশকে ধংস করে কিনা সেটা।
ভারতের ফড়িয়াপনা বন্ধ হলেই ভালো ফল পাব আমরা। মনে হয় বন্ধ হবে!
এই কমিশন নাকি সমকামিতার পক্ষে ! তাই বাংলাদেশে আপ্রাণীদের অফিস খুলতে দেওয়া যাবে না
হঠাৎ কি প্রয়োজন হল যে মানবাধিকার কমিশনের অফিস ঢাকায় খুলতে হবে?
এই মানবাধিকার রক্ষা কমিশন গাজায় এই কিছুদিন জোরপূর্বক বন্ধ করেছে ইসরাইল কারণ তারা সেখানে যুদ্ধাপরাধ এবং দুর্ভিক্ষের কথা বলছিল; এখন আপনারাই বলেন গাজাতে কী সমকামীতা ছেয়ে গ্যাছে? .........
এরা যদি মানবাধিকার নামে ব্রুন হত্যা।। ছেলে-মেয়ে সমান সমান এগুলো প্রতিষ্ঠা।। সমকামিতা। ট্রান্সজেন্ডার এগুলোর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।। চিন্তায় আছি।। টেনশনে আছি।। এইরকম কোন আছ পেলে গাড় ধরে নিয়ে আসবো।। ইনশাআল্লাহ
সমকামিতা সমর্থন করলে। ছড়ালে গনভবনের মত অবস্থা হবে।। ওরা কি মানবাধিকার জ্ঞান দিবে।। এরা শক্তের ভক্ত।। যেটা আমরা ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে দেখছি।।
অন্য কলামে পড়িলাম, এতে নাকি সমকামিতা ছড়ানোর আস;খ্যা থাকতে পারে।।
বাংলাদেশে তাহলে সমগামীতা বৈধতা পাবে!!!
আওয়ামীলীগ বেচে গেল তাহলে!!! বর্তমান সরকার এবং ভবিষ্যৎ সরকারের জন্য দেশ পরিচালনা করা খুবই কঠিন হবে,
কোনো চুক্তি আবার সাইন করা হয়নি তো?
এইখানে তাদের কাজ কি নিশ্চয়ই ইন্ডিয়ার চাঁপা চাপিতে এসেছে তারা কি কাজ করতে পারে সেটা ফিলিস্তিনে বিশ্ববাসী দেখেছে আমি এদের গণায় ধরা পছন্দ করি না
এই কমিশন নাকি সমকামিতার পক্ষে !তাই বাংলাদেশে আ প্রাণীদের অফিস খুলতে না দেওয়া উচিত
খুব ভালো উদ্যোগ,