প্রথম পাতা
ভোটে কী পরিবর্তন আসছে?
স্টাফ রিপোর্টার
৩১ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবারনির্বাচনের যাত্রা শুরু হচ্ছে দেশে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি চূড়ান্ত হয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে
গঠিত হবে নির্বাচন কমিশন। যে কমিশনের সামনে দেশের মানুষের ১৬ বছরের ভোট দিতে না পারার আক্ষেপ ঘোচানোর দায়িত্ব পড়বে। বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি হচ্ছে। এই কমিটি যে সুপারিশ দেবে তার ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট কমিশন গঠন করে দেবেন। নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন নির্বাচন আয়োজন করবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটি কেমন হবে, দেশের সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের দাবি কমিশন গঠন হলে এ সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের কার্যপরিধি ঠিক করবে। এছাড়া সব দলকে নির্বাচনে আনাসহ আরও কিছু বিষয় নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মানবজমিনকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশন গঠিত হোক সৎ, সাহসী ও যোগ্য মানুষ দ্বারা। যারা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে তাদের দায়িত্বটা সুচারুভাবে পালন করবেন। যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা কার্যকর হয়। একই সঙ্গে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যথাযথ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। বুধবার মন্ত্রী পরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
এর আগে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করতে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে মনোনীত করেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া সদস্য হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের এই দুই বিচারপতির নাম সুপারিশ করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনানুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে ৬ (ছয়) জন সদস্যের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন প্রেসিডেন্ট। সদস্যের মধ্যে থাকবেন- প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক, যিনি অনুসন্ধান কমিটির সভাপতিও হবেন। এছাড়া, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন বিশিষ্ট নাগরিক, যাদের একজন হবেন নারী। এই দুই সদস্যের মধ্যে পিএসসি’র সাবেক একজন নারী চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষকের নাম তালিকায় আছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে নানা বিতর্কের মধ্য দিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনটি ছিল অনেকটা বিনা ভোটের। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিরোধী দলবিহীন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে সংস্কৃতি বাংলাদেশে গড়ে উঠেছিল, তা এই কমিশন ধ্বংস করে দেয়। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ না থাকলেও বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজন করে রকিবউদ্দীন কমিশন। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট ও তাদের শরিক দলের প্রার্থীরা ভোটের আগেই ৩০০ আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এতে ভোটের আগেই সরকার গঠনের আসন পেয়ে যায় আওয়ামী লীগ। এছাড়া এতে পাঁচ কোটির বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ হারায়। এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়। আর জাতীয় পার্টি ৩৪টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬টি, জাসদ (ইনু) ৫টি, তরীকত ফেডারেশন ২টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২টি, বিএনএফ ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসনে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে (১৪৭টি আসনে) ভোট প্রদানের হার দেখানো হয় ৪০ দশমিক ০৪ ভাগ। নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে সংসদে বিরোধী দল বানানো হয়। একই সঙ্গে দলটি থেকে মন্ত্রীও করা হয় এবং এরশাদকে বানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত। জাতীয় পার্টি আসলে সরকারের অংশ নাকি বিরোধী দল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান সংকটের পেছনে এই কমিশনের দায় সবচেয়ে বেশি।
২০১৪ সালের মতো ২০১৮ সালেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ-সংশয় ছিল। নির্বাচনের আগে বিএনপি’র সঙ্গে আরও কিছু দল যুক্ত হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ আরও কিছু দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ করেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৫৮টি আসন পায়। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ২২টি এবং মহাজোটভুক্ত অন্য দলগুলো ৮টি আসনে জয়ী হয়। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত বিএনপি পায় মাত্র ৬টি আসন। এ ছাড়া গণফোরাম ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হন। এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয় ৮০ দশমিক ২০ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় মোট ভোটের ৭৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। বিএনপি পায় মাত্র ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ ভোট। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ এবং ১ হাজার ৪১৮টি কেন্দ্রে ৯৬ শতাংশের ওপর ভোট পড়ে। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৫টি আসনের ৫৮৬টি কেন্দ্রে যতগুলো বৈধ ভোট পড়ে তার সবগুলোই পেয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থীরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় ছিল রাতের ভোট। বিএনপি এবং তাদের জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অনেক প্রার্থী ভোটের আগের রাতেই ভোটকেন্দ্র নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের অভিযোগ ছিল, রাতেই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরেন। আগের রাতে সিল মারার সত্যতা গণমাধ্যমেও উঠে আসে। পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় বিতর্কিত এই নির্বাচন হয়।
২০২২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক আমলা কাজী হাবিবুল আউয়াল। নিয়োগ পাওয়ার পরই তিনি জানান, তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ বিএনপি’র মতো বড় রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য দলকে নির্বাচনে আনা। যদিও শেষ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পরই বিভিন্ন সিটি ও উপ-নির্বাচনের আয়োজন করে। সেই নির্বাচনগুলোও নানাভাবে বিতর্কিত হয়। এসব নির্বাচনে ভোটের হারও ছিল অনেক কম। পরবর্তীতে আরওপিও সংশোধন করে নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে আউয়াল কমিশন। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করার আইন কঠিন করা হয়। শুরু থেকেই সিইসি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়। যোগ্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন না দিয়ে ভুঁইফোঁড় কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নানা ইস্যুতে সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়। এমন বাস্তবতায় ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি একতরফাভাবে এই নির্বাচন আয়োজন করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করায় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক দেখাতে বিভিন্ন আসনে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে ডামি প্রার্থী (নকল) দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য ডামি ও একতরফা নির্বাচন হিসেবে খেতাব পায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নির্বাচন কমিশনে যাঁরাই আসুক নির্বাচনকালীন সরকার যে ভাবে চাইবেন, সেই ভাবেই নির্বাচন হবে। স্মর্তব্য যে, ২০০১ সালের নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগ কর্তৃক গঠিত জনাব আবু হেনা কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করেছিলেন।
আগের ক্ষমতাসীন দলের লোক যারা এখনও বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে আছে তাদের সকলকে না সরিয়ে তাদেরকে নিয়ে সার্চ কমিটি করা হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন হবে না। বিগত সরকারের লোক যারা এখনও সাংবিধানিক পদে বহাল আছে, আগে তাদের সরানোর ব্যবস্থা করা জরুরী।
ফ্যাসিজমের সাথে জড়িত প্রত্যেকটা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান কে জবাবদিহিতা এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে যারা বিগত খুনী হাছিনাকে সহায়তা করেছে এদের ফাঁসী দেয়া হোক।
ফ্যাসিবাদের হালুয়ারুটিভোগী ও প্রধান সহযোগী জিএম কাদের ও চুন্নুকে গ্রেপ্তার না করার পিছনে কী কারণ নিহিত, সেটা শত কোটি টাকার প্রশ্ন। প্রতিটি নির্বাচনে এরা অংশ নিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদের প্রয়োজন মতো যখন যে সার্ভিস প্রয়োজন তখন সেই সার্ভিস দিয়েছে। কখনো বিরোধী দল হিসেবে, কখনো সরকারি দল হিসেবে, কখনো বিরোধী ও সরকারি উভয় দল হিসেবে। এদেরকে কেন গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে না তা জাতির কাছে বোধগম্য নয়। রাশেদ খান মেনন ও ইনু ইচ্ছে করলেও আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে পারতো না, কিন্তু জাতীয় পার্টি সেটা পারতো এবং পেরেছে। এরা ফ্যাসিবাদের সহযোগী, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার রসদ যোগানদাতা এবং ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী। রাশেদ খান মেনন ও ইনু যদি কারাগারে থাকতে পারে তাহলে জিএম কাদের ও চুন্নু কেন কারাগারে থাকবে না? অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করে কারাগার নয় বরং আয়নাঘরে রাখার দাবি জানাচ্ছি।
রকিবুল, হুদা, আউয়াল কে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।
দেশের আইনের কি শেষ আছে ? শেখ মজিব করেছে, খোন্দকার মুশতাক, জিয়া, সাত্তার,এরশাদ, খালেদা, শেখ মুজিবুর রহমানের কুখ্যাত মেয়ে হাসিনাসহ আরও। হয়তো আরোও বাদ পড়া দুই একজন ছিল সবাই আইনটাকে ব্যাক্তি স্বার্থেই করেছে। এমন কোন নেতা হয়নি যে জনগনের জন্য আইন পাশ করে আব্রাহাম লিঙ্কন হয়েছেন ? ব্যাক্তি স্বার্থের আইন ব্যাক্তির কাজেই লেগেছে, নুতন সরকার আসছে ধরপাক শুরু, ধরো মারো কাট, গুম কর,বন্দী করো এবং নিজের সিংহাসন শক্ত করো। কাদের বাহিনী রাখো, ওসমানকে লাঠি দাও, আরো কতো কি ? কোন ক্রমে সরকারের পা ফসকে গেলে নুতন সরকার এসে আবার খা লা স গণ হারে কে লা স !! সে হত্যা হোক, ধর্ষণ হোক, ব্যাংক লুট হোক, শুধু সব হোক কিন্তু সবাই মুক্ত । আইন, নুতন আইন !।