বাংলারজমিন
সরাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিয়নই ইংরেজি শিক্ষক
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৭ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের ৩নং ধামাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় পিয়ন পারভেজ মোশাররফই এখন ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মঙ্গলবার সকালে সরজমিন বিদ্যালয়ে গেলে এই চিত্র ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. কপিল মিয়া। তবে বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. নজরূল ইসলাম বলছেন, একজন পিয়ন তো শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কোনো বিধান নেই। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এভাবেই চলছে আমাদের এখানের প্রাথমিক শিক্ষা।
সরজমিন অনুসন্ধান, বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বিদ্যালয়টিতে প্রাথমিকের পাশাপাশি চালু রয়েছে ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ক্লাস। প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে একই সময়ে চলে দুইটি শিফ্ট। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের পদ রয়েছে ১০টি। বর্তমানে শিক্ষক আছেন মাত্র ৬ জন। এরমধ্যে রমজান আলী নামের এক সহকারী শিক্ষক রয়েছেন ছুটিতে। এতে বিদ্যালয়ে আছেন ৫জন শিক্ষক। শিফ্ট ৬টি। তাই সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে দেখা যায় প্রথম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদানে ব্যস্ত রয়েছেন পিয়ন পারভেজ মোশাররফ। শ্রেণির কক্ষের সামনে দাঁড়াতেই মোশাররফ হতকচিতভাবে বাহিরে তাকান। কোন বিষয় পড়াচ্ছেন? তিনি উত্তর দেন- স্যার আমি স্কুলের পিয়ন পারভেজ মোশাররফ। প্রথম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে এলাম আর কি। কোনো স্যার নেই তাই আমিই...।
প্রধান শিক্ষক মো. কপিল মিয়া বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে পিয়নকে ক্লাসে পাঠিয়েছি। তার বাড়ি ধামাউড়া গ্রামেই। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, গ্রামের বাসিন্দা হয়েও ২/১ জন শিক্ষক ক্লাস ফাঁকি দেন। সামান্য অযুহাতে ছুটি নেন। এমনিতেই শিক্ষক সংকট তারপর ছুটি নিলে তো এমন পরিস্থিতি হবেই। এভাবেই চলছে আমাদের শিশুদের পড়ালেখা। শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হতে হবে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ওই বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই স্কুলের পিয়নকে শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের জন্য পাঠানো ঠিক না। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
পিয়নের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করলে ভালো হতো। আমাদের স্কুলের পিয়ন অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স ( ফাস্ট ক্লাস)। শিক্ষক স্বল্পতার সময়ে এ-ই পিয়নকে ক্লাসে পাঠালে সমস্যা কোথায়? তারা কি মানুষ না। ভালোকে প্রশংসা করতে শিখুন জনাব প্রতিবেদক। সমাজে অনেক সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়েতো লেখার কলিজা নেই।
A pion should have B.A degree. Then no question will be arisen.
একজন শিক্ষক তাঁর প্রয়োজনে ছুটি নিতে পারেন। আর ঐ পিয়নকে ধন্যবাদ বিদ্যালয়কে সহযোগিতা করার জন্য। ডিপার্টমেন্টে অনেক পিয়ন আছে যারা এইচ এস সি/ বি এ পাস।
শিরোনাম হওয়ার দরকার ছিল শিক্ষক স্বল্পতা। তা না করে, যিনি ভালো কাজ করলেন, তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। শিক্ষক কি তার পাওনা ছুটির অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছেন? তাহলে কি অই শ্রেণি ছুটি দিয়ে দিবে? নাকি বাচ্চারা বসেবসে দুস্টোমি করবে?
শিক্ষকের অভাবে পিয়ন দিয়ে ক্লাস পরিচালনা, দায় কার?
Something is better than nothing
প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকলে কীভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব এব্যাপারে বিজ্ঞজনদের সুচিন্তিত মতামত কামনা করছি।
শিক্ষক নেই বা কম ,এর জন্য দায়ী শিক্ষা মন্ত্রনালয় ,পিয়ন পারভেজের প্রাথমিকের ইংরেজি ক্লাশ করার অপরাধ না ।