অনলাইন
আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন এবং হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ১৭ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৩ অপরাহ্ন
হাসিনা এখন কী করবেন? আওয়ামী লীগের পুনর্গঠন ও তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই বা কেমন হবে? এই মুহূর্তে অস্তিত্ব সংকটে দলটি। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অবস্থায় পড়েছিল তারা। কিন্তু এবারের পরস্থিতি একেবারেই আলাদা, ভিন্ন বাস্তবতা। ৫ই আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর দলটির নেতৃস্থানীয় যারা দেশে ছিলেন তারা হয় জেলে নয়তো আত্মগোপনে।
এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগ কীভাবে পুনরুজ্জীবিত হবে। স্বৈরশাসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সব কায়দা-কানুন মেনে চলা হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও মূলত তার হাতেই দলটির চাবিকাঠি।
তিনি কি দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন? পরিবারের কাউকে বেছে নেবেন? নাকি নিজেই অন্য শক্তির সাহায্যে ফের দৃশ্যপটে হাজির হবেন। এসবই গুঞ্জন। কী হবে পরবর্তী কৌশল দলটির। নানা প্রশ্ন রাজনীতির ময়দান থেকে জনতার মঞ্চে। ভারতের ওপর নির্ভর করে কতোদিন বসে থাকবেন তিনি। হাসিনার বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা মামলা দেশে। তাকে ফিরিয়ে আনার চাপ বাড়ছে। চাওয়া হয়েছে সহযোগিতা ইন্টারপোলের কাছেও।
ওদিকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আলোচনায় নতুন হাওয়া। অঙ্ক কষছেন কেউ কেউ। কী সুবিধা পেতে পারে দলটি- এসব নিয়েও নানা মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বিস্তারিত পড়ুন মতিউর রহমান চৌধুরীর লেখায় জনপ্রিয় রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ।
বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে আওয়ামী লীগের মত মাফিয়া দলগুলো ও এদের সাঙ্গপাঙ্গদের চিন্হিত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে ।
একমাত্র আওয়ামী লীগের সুবিধাবাধী ও লোটপাটকারী ব্যক্তিরাই হাসিনার আশায় দিবা সপ্ন দেখতেছে।
শুধু জুলাই-আগস্ট কেন? সকল হত্যার বিচারই হতে হবে। যারা অপরাধী তাদের কাউকেই ছার দেওয়া উচিত হবে না। এমনকি কোন প্রকার দায় মুক্তির আদেশ চলবেনা।
শেখ হাসিনা এই বাংলার মাটিতে অবশ্যই ফিরে আসবে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের গলায় ফাঁসির দড়ি পরবে।
ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা যদি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থেকে যায় সেটা হবে বাংলাদেশের জন্য একটি চরম দুর্ভাগ্যের। বাংলাদেশ - ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সব সময়ই ভারতের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। বিনিময়ে ভারত তার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকাকে সমর্থন দিয়ে গেছে এবং তাকে এখন তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনভাবে টিকে থাকার স্বার্থে শেখ হাসিনার আবার ফিরে আসার পথ বন্ধ করাটা জরুরি।
হাসিনা শেষ পর্যন্ত দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে লোভী হয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছেন। আমার ধারণা ও বিশ্বাস ছিল ভিন্ন। শুধু দুর্নীতি করেন নি তার সিণ্ডিকেট কে অবাধ দুর্নীতির দোয়ার উন্মুক্ত করে ছিলেন। জনগণের কষ্টার্জিত ব্যাংক আমানত লুটপাট করিয়েছেন। আজ জনগণ ব্যাংকে গেলে টাকা পায় না। তাই তার ফিরে আসা কাম্য নয়।
সত্যি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপন এবং চমৎকার বিশ্লেষণ।
আওয়ামী লীগ এর পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন আর কোনটাই বাস্তব নয়। তাদের স্থান হবে যাদুঘরে, ডাইনোসর যেমন যাদুঘর ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না, আওয়ামী লীগ এর অবস্থাও তেমন হবে।
এখন কেন তারা ট্রাম্প এর হাতের দিকে চেয়ে আছে ওরা না বলল আমেরিকা তাদের দেখে শিখবে
প্রাজ্ঞ সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর অসাধারণ বিশ্লেষণ। বাংলাদেশের সামনে অনিশ্চয়তা আছে সত্য! তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারে বাংলাদেশ! এই সরকারের মেয়াদকে টেনে বড় না করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে এনে, জরুরি সংস্কার কাজ শেষ করে ১৮ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা। বাংলাদেশ এখন জটিল আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে, এটি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে! একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই গভীর সংকটময় পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবে কিনা ঐক্যমতের ভিত্তিতে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়াই উত্তম হবে! এই দলটিকে কে বা কারা পুনর্গঠন করবে তা বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন!