প্রথম পাতা
বিএনপিকে আওয়ামী শিবিরে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার
বিএনপিকে আওয়ামী শিবিরের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য
মির্জা আব্বাস। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বিএনপি’র উদ্যোগে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপিকে নিয়ে চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হঠাৎ করে যেমন নতুন মুখে কথা ফুটলে বাচ্চারা যেভাবে কথা বলেন না, আবোল-তাবোল প্রলাপ বকতে থাকে, অনেক দল, অনেক ব্যক্তি যারা আজকে কথা-বার্তা বলছেন, এমনভাবে কথা-বার্তা বলছেন যে, আমি মাঝে মাঝে হঠাৎ যখন সুযোগ হয় টেলিভিশনে দেখি উনাদের কথা-বার্তায় মনে হয় বিএনপি যেন আওয়ামী লীগের দোসর। বিএনপিকে আওয়ামী শিবিরের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের ঠেলে দিতে চাচ্ছেন অন্য শিবিরে। উদ্দেশ্যটা কি? আওয়ামী লীগের সিল মারতে চান। আমাদের তাড়াতে চান, এই কথা কখনো চিন্তা করবেন না। এদেশের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, এদেশের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, এদেশের অতন্দ্র প্রহরী আমার এই দলের নেতাকর্মী ভাইয়েরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য।
আব্বাস বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ভারতের দোসর আওয়ামী লীগ তাদের দিকে যারা বিএনপিকে ঠেলে দিতে চায় আমি বলবো, নিজের চেহারা আয়না দিয়ে দেখুন, নিজের অন্তরটা আয়না দিয়ে দেখুন, দেশবাসীকে আর ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করবেন না।
তিনি বলেন, আজকে বহুমত, বহু পথ, বহু টেলিভিশন, বহু সংবাদপত্র আর ইদানীং কথা বলার সুযোগ পেয়ে বহু কথা বিএনপি’র বিরুদ্ধে, আমাদের দলের বিরুদ্ধে বলছে। আমাদের দুই-একজন নেতা তার নিজ দায়িত্বে দুই-একটা কথা বলে থাকতে পারেন হয়তো কোথাও, আমি ঠিক শুনি নাই, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। ইদানীং দেখলাম, বহু লোক বহুভাবে কথা বলছেন, কি বলছে? কেউ বলছে, বিএনপি নাকি ওয়ান ইলেভেন আনার পাঁয়তারা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ২০০৭ সালের এক এগারোর ভয়াবহ পরিণতি এটা বিএনপি’র চাইতে কেউ বেশি ভোগ করে নাই। বিএনপি’র প্রতিটি নেতাকর্মী, সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পর্যন্ত ওই এক এগারোর ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পায় নাই। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপিকে যারা ভিন্ন শিবিরে ঠেলে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, এর পরিণতি ভালো হবে না। এক এগারো নয়, যদি আপনারা এই ৫ই আগস্টের পরে এই ধরনের কথা-বার্তা, সংঘাত-বিভেদ সৃষ্টির কথা আজকে যদি বলতে থাকেন তাহলে কিন্তু গণতন্ত্রের কোনো দিন চেহারা দেখবেন না। আমি বলবো, এই বিভেদ-বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন। এ ধরনের পরিকল্পনা ‘গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের’ বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনো ভাবেই তা মেনে নেবে না। আমি মনে করি এটা বিএনপি’র বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, একটা দল আছে যেটার নাম বলবো না। ওই যে বলে না, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। তারা এমন ভাব করছে যে, তারা যেন কিছুই জানেন না, ভাঁজা মাছটিও উল্টিয়ে খেতে জানে না। না জেনে পুট করে বিএনপি’র সম্বন্ধে দুই-একটা কথা বলে ফেলেন। যাই হোক, আমি কারও সমালোচনা করবো না।
এ সময় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আসাদুল করীম শাহিন, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
জামাতিরা ফেসবুকে খুবই একটিভ।১০০ জন জামাত শিবির থাকলে ১০০ জনই এক্টিভ।সমর্থন ৫%, ভাবখানা ৮০%।
আপনারা আওয়ামী শিবিরে না হোক, ভারতীয় শিবিরে তো প্রায় ঢুকেই গেছেন স্যার।
স্যার,আপাতত ১৫০+১৫০ খেলেন।দুই দলেরই লাভ।পরে না হয় আবার ঝগড়া শুরু হবে।