অনলাইন
আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস বললেন
বীভৎস
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ২:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

দেশি-বিদেশী গণমাধ্যমকর্মী, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটা বীভৎস দৃশ্য। গ্রামের মুরগির খাঁচাও এর থেকে বড় হয়। নড়াচড়ার জায়গা পায়। যারা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। এগুলো সিলগালা করে রাখা হবে যাতে কেউ নষ্ট না করতে পারে।
তিনি বলেন, যা দেখলাম, শুনলাম অবিশ্বাস্য মনে হলো। যারা নিগৃহীত হয়েছে তাদের মুখ থেকেই শুনলাম। বিনা দোষে তাদের ধরে আনা হতো। ধরে এনে বলা হতো সন্ত্রাসী। এরকম টর্চারসেল সারা দেশে জুড়েই আছে। কেউ বলে ৭০০ কেউ বলে ৮০০। সংখ্যাও জানা যায়নি। আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কমিশনকে ধন্যবাদ তারা অনেক কষ্ট করেছে। দেশের অবনতির যে রুপ তার একটা চিত্র। মানুষের সামান্যতম অধিকার সেটাও বঞ্চিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর সংখ্যা সাড়ে ১৭০০। অজানা কতো আমরা জানি না। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অনেকে, কেউ তাদের খোঁজ জানে না। এক মেয়ে বলল, নয় বছর হয়েছে তার মা কোথায় কেউ জানে না।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ন্যায় বিচারটা যাতে তাড়াতাড়ি হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমরা একটা নতুন পরিবেশ, নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রিজওয়ানা, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটনসহ ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন। এসময় দেখা যায় নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাদের যে কক্ষে রাখা হয়েছিল সেটি চিহ্নিত করেন।
পাঠকের মতামত
তবে আরও আগে ৫ আগস্টের পরপরই পরিদর্শন করলে বিশ্বাসযোগ্য হতো আর কি।
খুব ভাল কাজ হয়েছে,তবে দায়িত্ব নেয়ার কিছুদিন পর দেশি বিদেশি সাংবাদিক নিয়ে গেলে বেশি ভাল হত।
আয়না ঘর কোথায় অবস্থিত
Who was involved with this rab, police, db,dgif ask them & arrest them immediately