বাংলারজমিন
ক্ষমা চাইলেন প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করানো সেই নেতা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
(১ মাস আগে) ১৩ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৩০ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে খাবার হোটেলে আহার করার সময় রোজা না থাকা কয়েকজনকে বের করে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করানো বণিক সমিতির সেই নেতা ক্ষমা চেয়েছেন। বুধবার রাত ১২টার দিকে জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে সদর থানা এলাকায় এক ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমা চান লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ।
ভিডিও বার্তায় আজিজ বলেন, কয়েকজন হোটেলে খাবারের জন্য ঢুকেছেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় তাৎক্ষণিক আমি গিয়ে উনাদেরকে বলেছি আপনারা কেন খাচ্ছেন। আপনারাতো মুসলমান। সেক্ষেত্রে তারা বলেছে রোজা রাখেনি। আমি বলেছি আপনারা রোজা রাখিয়েন। আমি আসলে যে কাজটি করেছি, এটি অন্যায়, অপরাধ। এটা ধর্মীয় অনুভূতি, সেজন্য এটা আমার করা ঠিক হয়নি। এজন্য আমি উনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আমি এ ধরনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো করবো না।
সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আজিজকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী কেউ তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। এছাড়া আজিজ এঘটনায় নিজেও ক্ষমা চেয়েছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে ‘রোজার পবিত্রতা রক্ষায়’ শহরের থানা রোড এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি পর্দা লাগানো খাবার হোটেলে লাঠি হাতে অভিযান চালায় আজিজ। এসময় রোজাহীন কয়েকজন যুবক-বৃদ্ধকে হোটেল থেকে বের করে রাস্তায় প্রকাশ্যে তিনি কানে ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন। পরে ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা সমালোচনা। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ঘটনায় সংবাদ পরিবেশন হয়। এতে রাতে সদর থানা পুলিশ তাকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়।
পাঠকের মতামত
যারা রোজা রাখবে না তারা স্বাভাবিক ভাবেই খাবার খাবে সেটাই উচিৎ তবে খাবারের দোকানে যে পর্দা টাঙ্গিয়ে রাখা হচ্ছে এটাই করা উচিৎ । আর যারা অতি উৎসাহী হয়ে ধর্মের নামে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে এতে ইসলাম ধর্মের জন্য খারাপ । ওদেরকে আইনের আওতায়ে আনা উচিৎ যাতে আর কোন ঘটনা এমনটা না ঘটে বাংলাদেশের কোথাও । আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এটা একা মুসলমানের দেশ না এখানে হিন্দু বুদ্ধ খৃস্টান আমরা সবাই মিলেমিশে এক সাথে বসবাস করে আসছি ৫০০/৬০০ বৎসর ধরেই । যার যার ধর্ম তার তার কাছে সন্মানিও এবং আমাদের ধর্ম সেটাই বলে আসছে ।
Islam does not force anyone to practice Islam, anyone think otherwise must read the Quran and Sunnah first before opening their big mouth.
এই বদমাশটাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক, ধর্ম জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়।
রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় আজিজ এখন লাঠি হাতে হিন্দু হোটেলে অভিযান চালায়। সাবাস আজিজ! লাঠি দিয়ে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।
He has done the right thing as a pious muslim.
ওর জামায়াত নেতা পরিচয়টা আপনারা চাইপা গেলেন, নাকি ভুল?
বণিক সমিতির ঐ নেতা কি কান ধরে ক্ষমা চেয়েছে?
ভুক্তভোগী কোন অভিযোগ দেয়নি তার পরও চেতনা এত খাড়া হলো কেন?
সমস্যা হলো মোল্লাদের মাঠের বয়ানে বিভ্রান্ত হয়ে এ সব কুরআন বর্জিত অশিক্ষিত লোক এমন জুলুমও করতে পারে। ক্ষুধাক্লিষ্ট পথচারী বা ভ্রমনরত পথিকের জন্য সিয়ামের শর্ত শিথিল আছে। ফলে তারা হালাল খাদ্য দিনের বেলতেই খাবেন।।
এই বণিক সমিতিই দ্রব্যমূল্য গুদামজাত করে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে নিয়ে এসে অধিক মুনাফা অর্জন করে আর সে বণিক সমিতির নেতাই অন্যকে ইসলাম ধর্মের বানি দিচ্ছে ? ওকে শ্রীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হোক। এখানে ক্ষমার কোন প্রশ্নই উঠেনা। বিনা অধিকারে অন্যের উপর জুলুম যেমন ইসলাম অনুমোদন করে না, তেমনি দেশের আইনও সমাজে বিশৃঙ্খলতার কারণে সেটা মেনে নেয়না।