শেষের পাতা
মামলামুক্ত বাবর
স্টাফ রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
হত্যা মামলা থেকে দায়মুক্তির উদ্দেশ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে করা মামলা থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৮ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় তারেক রহমানের সঙ্গে লুৎফুজ্জামান বাবরও মামলামুক্ত হলেন।
আইনজীবী আমিনুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্য লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করেছিল দুদক। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বাবরসহ অন্য আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। ফলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সব আদালত থেকেই মামলামুক্ত হলেন। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই।
নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির হত্যার ঘটনায় ২০০৬ সালের ৪ঠা জুলাই মামলা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর মামলা করে দুদক। মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৩শে এপ্রিল দুদক অভিযোগপত্র দেয়। একই বছরের ১৪ই জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গতকাল আদালত খালাস দিলেন সবাইকে।
দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগের পর গত ১৬ই জানুয়ারি কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্ত হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
২০০৭ সালের ৩০শে অক্টোবর অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইবুন্যাল-৯ বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই বছরের ২৭শে মে দুপুরে যৌথবাহিনী লুৎফুজ্জামান বাবরকে তার বাসা থেকে আটক করে। গ্রেপ্তারের ৭ দিন পর অর্থাৎ ৩রা জুন উনার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয় গ্রেপ্তারের দিন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে যৌথবাহিনী ও গুলশান থানা পুলিশ তার বাসায় তল্লাশি চালায়। অভিযানে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র (রিভলভার, পিস্তল, রাইফেল ও শটগান) জব্দ করা হয়।