অনলাইন
সহযোগীদের খবর
গ্যাস-সংকটে শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন
ইত্তেফাকের শিরোনাম 'গ্যাস-সংকটে শিল্পে উৎপাদন অর্ধেকে'। খবরে বলা হয়, দেশে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে ইতিমধ্যে অনেক শিল্পকারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বা স্থগিত রয়েছে। চালু থাকা কারখানাগুলোও চাহিদামতো চাপে গ্যাস না পেয়ে বহুমাত্রিক সমস্যায় ভুগছে। গত দুই বছরের মধ্যে বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ তুলনামূলক বেশি হলেও স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন ক্রমে কমে যাওয়ায় শিল্পে জ্বালানি সংকট দূর হচ্ছে না। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং পেট্রোবাংলার সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে দৈনিক ৪১০ থেকে ৪২০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না এক দশকের বেশি সময় ধরে। তবে ৩৫০-৩৬০ কোটি গ্যাস সরবরাহ করা গেলে পরিস্থিতি মোটামুটি সামলে নেওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ২৭০ কোটি ঘনফুট বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বুধবার ২৮২ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এ দিন প্রায় সাড়ে ৯৮ কোটি ঘনফুট পরিমাণ গ্যাস এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হয়। পেট্রোবাংলার এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা জানান, আর্থিক ও প্রকৌশলগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক ২০০ কোটি ঘনফুটের বেশি গ্যাস উৎপাদন সম্ভব নয়। কক্সবাজারে থাকা ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেও দৈনিক ১০৮ কোটি ঘনফুটের বেশি এলএনজি সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব। অর্থসংস্থান কম থাকায় এবং উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের বিল বকেয়া থাকায় সক্ষমতার এই ৩০৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
“আগে আসবেন খালেদা পরে তারেক” এটি বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আগামী এপ্রিলে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেটা এপ্রিল মাসের যেকোনো সময় হতে পারে। জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের বাসায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। লন্ডন হাসপাতালের চিকিৎসকরা ‘হোম ভিজিট’-এর মাধ্যমে প্রতিদিনই তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা যখন পরিষ্কারভাবে ছাড়পত্র দেবেন তখনই তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডন থেকে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম দেশে ফেরার পর হয়তো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশে ফিরে যাবেন।’প্রফেসর জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শরীরের অবস্থা আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটাই স্ট্যাবল আছে। তাঁর পুত্র তারেক রহমানের বাসায় থেকে লন্ডন হসপিটালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁরা (চিকিৎসকরা) হোম ভিজিটের মাধ্যমে এই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দেশীয় ডাক্তাররাও তাদের সঙ্গে সব সময়ই সমন্বয় করছি। আমরা আশাবাদী যে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার ইনশা আল্লাহ আরও উন্নতি হবে এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দেশে ফেরার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারবেন। সবকিছু মিলে আশা করছি তিনি আগামী এপ্রিল মাসের যেকোনো সময়ই বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন।’ ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ম্যাডাম এখন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একসঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন। মানসিকভাবেও তিনি এখন অনেকটাই উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে পুত্র তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান ম্যাডামকে ঘিরে আছেন সব সময়। তাঁদেরও ম্যাডামের ওপর একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা অধিকার আছে। চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি সব মিলিয়েই তিনি এখন তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। এখন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা যখন বলবেন যে তিনি দেশে যেতে পারবেন, তখনই তিনি ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরবেন। আমরা আশা করছি তিনি এপ্রিলেই দেশে ফিরতে পারবেন। এরপর ক্রমান্বয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশে ফিরে যাবেন।’ ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং দেশের সকল স্তরের মানুষকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’ অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন। গতকাল লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ইউকে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিল শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এম এ মালেক বলেন, ‘আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেছিলাম লন্ডনে ঈদ উদযাপন করে দেশে যেতে। তিনি আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখন তিনি ঈদের পরে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররাও সে হিসেবে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাডামকে সেভাবেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে এখানে ফ্লাইটেরও একটি বিষয় আছে। ফ্লাইট যদি নির্ধারিত সময়ে না পাওয়া যায়, তাহলে দুই-এক দিন এদিক সেদিক হতে পারে। তবে ম্যাডাম দেশে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন।’ তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লিডারের (তারেক রহমান) দেশে যাওয়ার সময় নিয়ে এখনো নিশ্চিত বলতে পারছি না। ম্যাডাম খালেদা জিয়া যাওয়ার কিছু দিন পরে হয়তো তিনি দেশে ফিরবেন। একসঙ্গে দুজন অবশ্যই যাবেন না এটা আমি বিশ্বাস করি।’ লন্ডন মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আবুল হোসেন জসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ। আরও ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফেন্দী লিটন, জিয়া পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
'ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা' এটি কালের কণ্ঠের শিরোনাম। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের আনন্দ উদযাপনে রাজধানীবাসী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছেড়ে প্রিয়জনের কাছে যেতে পারে। তবে এবারের ঈদ যাত্রায়ও সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার একদিকে রয়েছে যানজটের ভোগান্তি, অন্যদিকে নিরাপত্তাঝুঁকি তো আছেই। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ১৫৯টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড়ে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপে রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে তীব্র যানজটে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। তবে যানজট নিরসনে জননিরাপত্তা বিভাগ ঈদের আগে ও পরে চিহ্নিত স্পটগুলোয় বিশেষ নজরদারি রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ করিডরগুলোর সড়ক ঈদের সাত দিন আগেই মেরামত কিংবা সংস্কার করতে বলা হয়েছে।
'রাজনৈতিক ব্যাংক ভেঙে পড়ছে' এটি যুগান্তরের শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাসের ঘরের মতো একের পর এক ভেঙে পড়ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকগুলো। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ইতিমধ্যে ৯টির মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এসব ব্যাংকের কোনোটির খেলাপি ঋণ ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ব্যাংক অনুমোদনের আগেই বিরোধিতা করেন ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সরকার তখন তা আমলে নেয়নি। প্রসঙ্গত, নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় স্বৈরাচার হিসাবে চিহ্নিত শেখ হাসিনা সরকার। ব্যাংকগুলো হলো-পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক), এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি ব্যাংক) ও মিডল্যান্ড ব্যাংক। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখন এসব ব্যাংকে লুটপাটের প্রকৃত চিত্র ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। ওই সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথমে লুটপাট শুরু হয় ফারমার্স ব্যাংক দিয়ে (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক)। আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বে এই লুটপাট সংঘটিত হয়। এই ব্যাংকটি লাইসেন্স পেয়েছিল ফারমার্স ব্যাংক নামে।
সমকালের শিরোনাম 'বনের জমি বনে ফিরছে'। খবরে বলা হয়, বনের ৮৭৫ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আরও ১৩ হাজার ৫৬৭ একরের বরাদ্দ শিগগির বাতিল হচ্ছে। গত তিন দশকে সারাদেশে সরকারি ৪৫টি সংস্থাকে ১ লাখ ৬১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এসব জমির বড় অংশে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার সরকারি-বেসরকারিভাবে বিশ্ব বন দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য- 'বন-বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন'। পরিবেশবিদরা বলছেন, স্থাপনাকে উন্নয়নের 'হাতিয়ার' দেখাতে সরকারই বনভূমি দখলে মদদ দিয়েছে। এতে কমছে বনভূমি; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র। বনের জমি দখলমুক্ত করতে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ চান তারা। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে হাজার হাজার একর বনভূমি সরকারি সংস্থার কবজায় রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের অধীনে সারাদেশে রয়েছে ৫৩ হাজার ৫৭৯ একর ভূমি। প্রতিষ্ঠানটি শুধু কক্সবাজারেই দখলে নিয়েছে ৪৩ হাজার ৯৫ একর। জেলাটিতে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী এবং র্যাব ও বিজিবির অধীনে রয়েছে ৯৩ হাজার ৯২৩ একর।
'ঐকমত্য গঠনে সংলাপ শুরু' আজকের পত্রিকার শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন । গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো । কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন । আগে সংস্কার না নির্বাচন — এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই । ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড . মুহাম্মদ ইউনূস । ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন , ' সংলাপ শুরু করলাম । ঈদের আগে আরও দু- একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে । ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব । সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব । ' এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী । দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে । কমিশন সূত্র জানায় , শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে । ঐকমত্য গঠনে সংলাপ শুরু শেষের দিকে বিএনপি , জামায়াত , এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে ।
'গাজায় নির্বিচার শিশু হত্যা' এটি প্রথম আলোর শিরোনাম। খবরে বলা হয়, কয়েক দিন পরেই প্রথম জন্মদিন ছিল ফুটফুটে শিশু বানান আল-সালোউতের। আরেক শিশু হুর আল- সালোউতের বয়স এক বছর হয়েছে। কবে সে গুটি গুটি পায়ে হাঁটা শুরু করবে, সে অপেক্ষায় ছিলেন মা-বাবা। আর ঈদ কবে আসবে, কী কেনাকাটা করবে-তা নিয়ে ছোট্ট সালমাহ এসলিয়েহ যেন আরও চঞ্চল হয়ে উঠেছিল। সালমাহের ঈদ আর আসবে না। হুর আল- সালোউতের প্রথম হাঁটা, আধো আধো বুলিতে কথা শোনার অপেক্ষা শেষ হবে না কোনো দিন। ইসরায়েলের নির্মম হামলা মা-বাবার কোল থেকে কেড়ে নিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার এই শিশুদের। শুধু এই তিনজন নয়, ১৭ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনের উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৮ হাজার শিশু। গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুদ্ধবিরতি। এরপর সেখানকার শিশুদের দুর্দশা কিছুটা কমেছিল। তবে গত মঙ্গলবার ভোররাতে (সাহরির আগে) গাজায় আবার নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই হামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৫৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ২০০। যদিও বার্তা সংস্থা এএফপি প্রথম দুই দিনে ৯৭০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল। নতুন করে হামলা শুরু করার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেছিলেন, গাজায় নৃশংসতা 'কেবল শুরু' হয়েছে। বাস্তবেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। বিগত তিন দিনে নিহতের পাশাপাশি আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২ জন।
'এডিস মশা প্রতিরোধে কার্যকর প্রস্তুতি নেই সরকারের' এটি বণিক বার্তার শিরোনাম। খবরে বলা হয়, প্রতি বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে প্রাক-বর্ষা জরিপটি বছরের এ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সরকার এখনো ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাক-বর্ষা জরিপ শুরুই করেনি। আবার ২০২৪ সালের বর্ষা-পরবর্তী জরিপের প্রতিবেদন তৈরির কাজও এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশে প্রতি বছরই বর্ষার আগে থেকে বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু সংক্রমণ। বৃষ্টিপাত শুরুর পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের অনুকূলে হওয়ায় সাধারণত এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে হিসাবে এবারো আসন্ন এপ্রিলে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না এখনো। গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে সাময়িক সময়ের জন্য স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম থমকে যায়। একই সঙ্গে স্থবিরতা নেমে আসে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমেও। এর মধ্যে শীত মৌসুম চলে আসায় এডিসের বিস্তার প্রতিরোধে নেয়া কার্যক্রম আরো ধীর হয়ে আসে। বর্তমানে শীত শেষে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ অবস্থায় পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম 'BNP infighting claims 43 lives in 7 months' অর্থাৎ '৭ মাসে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ৪৩ জন নিহত'। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির উপদলের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৩ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। দলটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের বারবার সতর্ক করা এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান সত্ত্বেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৭শে ফেব্রুয়ারি এক ভার্চ্যুয়াল সভায় তৃণমূল নেতাদের এক সভায় ভাষণ দিয়ে তাদের অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তবে এরপর থেকে রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় সংঘর্ষে বিএনপির পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে ১৯ মার্চ। ওইদিন নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও ভোলায় দুজন ছাত্রদল নেতা ও এক যুবদল সমর্থক নিহত হন।