খেলা
ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটা ব্যতিক্রম
সামন হোসেন শিলং (ভারত) থেকে
(১ মাস আগে) ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার, ৭:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৭ অপরাহ্ন

ভারতের সঙ্গে এযাবৎকালে ৩১টা ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে তিন জয়ের বিপরীতে জামাল-তপুরা হেরেছে ১৬ ম্যাচে। বাকি ১২ ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছেড়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশ সবশেষ জিতেছে ২০০৩ সালে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফিফা র্যাঙ্কিংকে ভুল প্রমান করে ভারতের সঙ্গে চোখ চোখ রেখেই লড়াই করছে বাংলাদেশ। সবশেষ পাঁচ সাক্ষাতে তার প্রমাণ মিলিছে। এই পাঁচ ম্যাচে জয় না পেলেও তপুরা হেরেছে মাত্র এক ম্যাচে। বাকি চার ম্যাচ ড্র হয়েছে। এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জহুরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে আবারো ভারতকে হারানোর হুমকি দিয়েছেন তপু বর্মন।
আজ রবিবার শিলং স্পোর্টস এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে তপু বলেন,‘ আমরা অনেকগুলো ম্যাচই খেলেছি ভারতের সঙ্গে। এবারের ম্যাচ ব্যতিক্রম। এই ম্যাচ নিয়ে একটা হাইপ উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ ইতিবাচক, আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা জিততে চাই।’ হামজা যোগ দেয়াতে বাংলাদেশ দলের শক্তি যেমন বেড়েছে, তেমনি ভারত অবসর থেকে ফিরিয়েছে সুনীল ছেত্রীকে। যে সুনীল ছেত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া ভারতের সবশেষ জয়ে জোড়া গোল করেছেন। অনেক ম্যাচে বাংলাদেশের মুখ থেকে জয়ও কেড়ে নিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তাকে আটকাতে হবে ডিফেন্ডারদের। সেটা জানিয়েই তপু বলেন,‘ বড় দয়িত্ব থাকবে আমার। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল গোল কনসিড না করা। সেই সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করা। আমার সঙ্গে (রক্ষণে) যে তিনজন থাকবে, তাদের নিয়ে ভাল একটা ফাউট দেওয়ার চেষ্টা করব।’ ভারত দল নিয়ে এই ডিফেন্ডার বলেন,‘ভারত দল সবসময় ভাল হয়। তাদের সকল খেলোয়াড় আইএসএল খেলে এসেছে। যারা ইনজুরড, তাদের পরিবর্তে যারা এসেছেন, তারাও ভাল। তারা ভাল দল, ভাল প্রতিপক্ষ। সুনীল ছেত্রীর কথা বলি সে অবসরে যাওয়ার পর কিন্তু ভারত ম্যাচ জিতেনি। সে দলের জন্য অনুপ্রেরণা। সে ফেরার পর কিন্তু ভারত ম্যাচ জিতেছে। তার ওপর বাড়তি নজর দিতে হবে।’ হামজা চৌধুরীকে নিয়ে তপু বলেন,‘ হামজা আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভালভাবে মিশেছে। তার কাছ থেকে সবসময় অনেক কিছু শেখার আছে। তার সঙ্গে সবসময় ফুটবল নিয়ে কথা হয় না, পরিবার নিয়েও কথা হয়। খাবার-দাবার নিয়েও কথা হয়। সেও আমাদের সঙ্গে কথা বলে যে কিভাবে আরও উন্নতি করা যায়।’ দলের অনতম দূর্বলতা সেটপিসে। বহুম্যাচে শেষ সময়ে সেটপিস থেকে গোল হজম করে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। এবার সেটপিস নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে জানিয়ে তপু বলেন,‘একমাস সময় পেয়েছি এ ম্যাচ খেলার আগে। সেটপিস নিয়ে অনেক কাজ করেছি, অনেক মনোযোগি। ভারত মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে তিন গোলই করেছে সেট পিসø থেকে। তাদের একাধিক খেলোয়াড় রয়েছে সেটপিসে ভাল। জিঙ্গান, সুনীল রাহুল ভেকের মত খেলোয়াড় আছে। এ নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’ জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ গোল করেছেন তপু। ঘরোয়া ফুটবলেও নিয়মিত গোল করছেন এই ডিফেন্ডার। এখানেও গোল করার জন্য তৈরী আছেন জানিয়ে বলেন,‘ ঘরোয়া ফুটবলে গোল পাচ্ছি। যা আমাকে উজ্জীবিত করছে। চেষ্টা থাকবে দেশের হয়ে গোল করার।’