খেলা
নির্বাচনের আগে সম্ভব নয়, ভারতের বাংলাদেশ সফরের কী হবে!
স্পোর্টস রিপোর্টার
২ জুলাই ২০২৫, বুধবার
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফর করার কথা ভারত ক্রিকেট দলের। তবে গেলো কয়েক মাস ধরেই এই সফরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কানাঘুষো হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগস্টে নয় চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসতে চায় ভারত। কিন্তু ডিসেম্বরে বিপিএল ও ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন থাকায় কোনো স্লটেই ভারতের বাংলাদেশ সফর সম্ভব নয়। আইসিসি’র ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী বাংলাদেশ সফরে ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ভারতের। এফটিপি’র সিরিজ হওয়াতে ভারতকে এই সফর করতেই হবে। তারা না খেললে ওয়ানডে সিরিজের ৩ ম্যাচের সব পয়েন্ট পাবে বাংলাদেশ। কারণ সিরিজটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের অন্তর্ভুক্ত।
এ কারণেই সিরিজটি বাতিল করতে চায় না কোনো বোর্ড। তবে নিজেদের অভ্যন্তরীন সমস্যার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) সফরটি পেছানোর অনুরোধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বোর্ডের একজন শীর্ষ পরিচালক এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ ভারত আগস্টে আসতে চায় না। তবে সিরিজ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেই আলোচনাও হয়নি। তারা আমাদের সিরিজটা পেছানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তারা যে দুটো স্লটের কথা বলেছে কোনোটাতেই সিরিজ আয়োজন সম্ভব না। চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসতে চায় ভারত। কিন্তু আমাদের বিপিএল তো ডিসেম্বরেই শুরু হবে। আর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আগামী বছরের মার্চের আগে অন্তত ভারত সিরিজ হওয়ার সুযোগ নেই।’
এর আগে সোমবার বিসিবি’র সভায় অন্যান্য আলোচনার মধ্যে ছিল এই ভারতের সফর প্রসঙ্গও। পরে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চলমান। বুলবুল বলেন, ‘বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। খুব শীঘ্রই হয়তো আমরা জানাতে পারব (সিরিজটি নিয়ে) কী হচ্ছে। ইতিবাচক আলোচনাই হচ্ছে।’ বিসিবি সভাপতির কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় দল বাংলাদেশ সফরে সংকোচবোধ করছে কি না। পরিষ্কারভাবে কিছু না জানালেও সফরের অনিশ্চয়তার দিকটি উঠে আসে সভাপতির কন্ঠে। তিনি বলেন, ‘আগস্ট বা সেপ্টেম্বর বলে কিছু নয়। আলোচনা চলছে কীভাবে সিরিজটা আমরা করতে পারি। যদি কোনো কারণে তারা এই মুহূর্তে (আগস্টে) আসতে না পারে, কোনো কারণে.. আলোচনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাহলে সম্ভাব্য পরবর্তী উইন্ডোতে সিরিজটি হবে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সফর নিয়ে নিরাপত্তার বিষয়টিই বেশি ভাবছে বিসিসিআই। এজন্য সরকারের সবুজ সংকেত ছাড়া তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না। আগস্ট ছাড়া এ বছর এমনিতেও বাংলাদেশের হাতে ফাঁকা সময় নেই সিরিজটি আয়োজন করার। সেপ্টেম্বর মাসে এশিয়া কাপের জন্য উইন্ডো করে রাখা আছে। অক্টোবরে বাংলাদেশে খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল, নভেম্বরে আসবে আয়ারল্যান্ড। এছাড়া ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে চলতি বছর পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফর আছে, যেখানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচও আছে, এরপর নিউজিল্যান্ড সফর করবে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের জুন মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে মে মাসে বাংলাদেশের খেলা নেই। তবে ওই সময় আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন ভারতের ক্রিকেটাররা