ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

হাসনাত–সারজিসের ফেসবুক পোস্টে এনসিপিতে অস্বস্তি

অনলাইন ডেস্ক

(৪ সপ্তাহ আগে) ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:২৩ অপরাহ্ন

mzamin

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘হাসনাত–সারজিসের ফেসবুক পোস্টে এনসিপিতে অস্বস্তি’। খবরে বলা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট নিয়ে দলটির ভেতরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। তাঁদের পৃথক পোস্ট দেওয়ার বিষয়টিকে ‘ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনীতি’ বলছেন এনসিপির নেতাদের অনেকে।

দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এভাবে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়ে এনসিপির ভেতরে নানা আলোচনা–বিতর্ক চলছে। কেউ কেউ বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে এনসিপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ১১ মার্চ তিনিসহ দুজনকে ক্যান্টনমেন্টে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘পুনর্বাসনের’ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাসনাতের সেই পোস্টের পর বিষয়টি নিয়ে দুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা–বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই গতকাল রোববার এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে, এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি। বরং এর ফলে পরবর্তীতে যেকোনো স্টেকহোল্ডারের সাথে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।’

সারজিস লিখেছেন, ‘যে টোনে হাসনাতের ফেসবুকের লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে, আমি মনে করি কনভারসেশন ততটা এক্সট্রিম ছিল না। তবে অন্য কোনো একদিনের চেয়ে অবশ্যই স্ট্রেইট-ফরওয়ার্ড এবং সো-কনফিডেন্ট ছিল।’

সারজিসের এই পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘এসব কী ভাই! পাবলিকলিই বলছি, দুজনের একজন মিথ্যা বলছেন। এটা চলতে পারে না। মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করা কাদের এজেন্ডা!’

এর আগে গত শনিবার (২২ মার্চ) সিলেটে এক অনুষ্ঠানে হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টকে ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, হাসনাত ও সারজিসের ফেসবুক পোস্ট এবং হান্নানের মন্তব্য—এ বিষয়গুলো দলের অভ্যন্তরে ব্যাপক অস্বস্তি তৈরি করেছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে নেতাদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলীয় ফোরামে আলোচনা না করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করা, আবার সেই বৈঠকের আলোচনা দলকে না জানিয়েই জনসমক্ষে প্রকাশ করা—এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে প্রশ্ন তুলছেন।

হাসনাতের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের এক প্রতিবেদনে সেনা সদরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্টান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়’। এ ছাড়া তাঁর বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ হিসেবেও উল্লেখ করেছে সেনা সদর।

দলে অস্বস্তি, নানা প্রশ্ন

এনসিপি সূত্র জানায়, দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গতকাল দুপুরে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টের লিংক শেয়ার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতারা নানা প্রতিক্রিয়া দেখান। যেমন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ লিখেছেন, ‘গুটিকয়েক ব্যক্তি তাঁদের ব্যক্তিগত চিন্তাপ্রসূত কথাবার্তা কোনো ধরনের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ছাড়াই বাইরে প্রকাশ করছেন। ব্যক্তিগত রাজনীতি হাসিলের জন্য তাঁরা যখন যা ইচ্ছা বলে বেড়াচ্ছেন; সেগুলো যে স্ববিরোধী হয়ে যাচ্ছে, সেটি নিয়েও তাঁদের কোনো উদ্বেগ নেই। যদি সেলিব্রিটি ফেইস, কন্ট্রোভার্সি আর পপুলিজম দিয়েই রাজনীতি করতে চান, তাহলে আমাদের পার্টি থেকে বাদ দিয়ে টিকটকারদের এনে বসিয়ে দিন।’

আরেক কেন্দ্রীয় নেতা লিখেছেন, ‘একটি দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অর্জনের রাজনীতি করবেন না। দলের কথাও ভাবতে হবে।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘গত সাধারণ সভায় আলাপ উঠেছিল, ডেকোরামের কেউ যাতে হুটহাট ফেসবুকে পোস্ট না দেয় এবং নিজেরা আরও বেশি অ্যালাইন হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা!’

যুগান্তর

গণভোট ও গণপরিষদে ‘না’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে গণভোট, গণপরিষদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে একমত পোষণ করেনি বিএনপি। সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে উল্লেখ করে দলটি বলেছে, এক্ষেত্রে মূলনীতি পরিবর্তন করা যাবে না। এছাড়া সংস্কার প্রস্তাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে একই কাতারে আনা সমুচিত হবে না। বিএনপি বলছে, গণপরিষদ কিংবা গণভোটের নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

রোববার জাতীয় সংসদের এলডি ভবনে পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে লিখিতভাবে মতামত জমা দেয় বিএনপি। এতে দলটি আরও জানিয়েছে, দুদক সংস্কারের ২০ প্রস্তাবে একমত, প্রশাসন সংস্কারের ২৬ প্রস্তাবের অর্ধেকে একমত রয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে লোয়ার জুডিশিয়ারি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে ২৭টির মধ্যে অধিকাংশ প্রস্তাব সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে মত দিয়েছে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নির্বাচনে ইসির স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে উল্লেখ করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে উচ্চকক্ষে আসন ও মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে দলটি। তবে একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় এবং নারীদের সংসদীয় আসন সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ করার প্রস্তাবেও একমত রয়েছে।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণাত্মক কথা না বলার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, ‘একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো। কিন্তু কী কারণে, আজ পর্যন্ত আমি এটা খুঁজে পাইনি।’

সেনাপ্রধান আরো বলেন, ‘আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফরমে। অবকোর্স নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স। নেভি, এয়ারফোর্স উই অল। আমাদের সাহায্য করেন, আমাদের আক্রমণ করবেন না। আমাদের অনুপ্রাণিত করেন, আমাদের উপদেশ দেন। আমাদের প্রতি আক্রমণ করবেন না। উপদেশ দেন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

কিন্তু সেনাপ্রধানের সেই অনুরোধেও ঐক্য বিনষ্টকারীদের অপচেষ্টা থামেনি। কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট বেশ কিছু দিন ধরেই সেনাপ্রধান সম্পর্কে কটূক্তি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বিস্ময়করভাবে নিজের ফেসবুক পোস্টে  ‘ক্যান্টনমেন্টের চাপ’-এর কথা বলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন। তবে হাসনাতের এই বক্তব্য তাঁর দলের অনেকেই সমর্থন করতে পারেননি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীবিরোধী আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেশে বিভাজন তৈরি করতে পারে এবং কৌশলগতভাবে রাষ্ট্রকেই দুর্বল করতে পারে।  দেশ এখন একটি কঠিন ও জটিল সময় পার করছে। এমন পরিস্থিতিতে সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও বিষোদগার অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত ঘটনা।

সমকাল

‘বিদ্রোহী নাকি পরিশোধিত আ’লীগ’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে চলছে টানাপোড়েন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে আওয়ামী লীগ নিয়ে দুটি বিকল্প ভাবনার কথা জানা গেছে। একটি পক্ষ চায়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সবাইকে বাদ দিয়ে 'রেভেল' তথা বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ গঠন করানো। আরেকটি বিকল্প হলো, শেখ হাসিনার সম্মতিতে তাঁর পরিবর্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নেতৃত্বে 'রিফাইন্ড' তথা পরিশোধিত আওয়ামী লীগকে ভোটে রাখা।

রাজনৈতিক সূত্রগুলো সমকালকে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সরকারকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছে। এ চাওয়া পূরণে 'শেখ হাসিনাবিরোধী নেতাদের আওয়ামী লীগ'কে নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যায় কিনা- এ ভাবনা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের মধ্যে। তবে এ সুযোগ পেতে 'হাসিনাবিরোধী' নেতাদের জুলাই গণহত্যা, তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন, গুম-খুন, ব্যাংক লুট, টাকা পাচারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে 'রিকনসিলিয়েশন' বলতে চাচ্ছেন কেউ কেউ। একজন উপদেষ্টাসহ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের কয়েকজনের এতে সায় ছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সমকালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে গত তিন দিনে আওয়ামী লীগ নিয়ে দ্বিতীয় বিকল্প ভাবনাটি সামনে আসে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নিয়ে নতুন আওয়ামী লীগ গঠনের চিন্তাকে 'রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ' বলছেন ছাত্রনেতারা। তাদের বড় অংশই জুলাই গণহত্যার দায়ে বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার ঘোর বিরোধী। এনসিপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে মাঠেও নেমেছে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘প্রার্থীর বয়স ন্যূনতম ২৩ বছর, ৭০ থেকে ৭৫ দিনমেয়াদি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৩টিতে একমত হয়েছে তরুণদের নেতৃত্বে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৯টি প্রস্তাবের বিষয়ে ‘আংশিকভাবে একমত’ এবং ২২টি প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে দলটি। দলটি আগামীতে ‘নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার’ ব্যবস্থার প্রস্তাব করে বলেছে, যেটির মেয়াদ হতে পারে ৭০ থেকে ৭৫ দিন। এছাড়া, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৩ বছর হওয়া উচিত বলে মনে করে নতুন এই দল।

গতকাল রবিবার সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত জমা দেয় এনসিপি। পরে দলটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, যে সুপারিশগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর সংবিধানসম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। এ সময় দলটির সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মুনিরা শারমিন, জাবেদ রাশিম, আরমান হোসাইন ও সালেউদ্দিন সিফাত উপস্থিত ছিলেন।

নয়া দিগন্ত

‘পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্প অর্থনীতির বিষফোঁড়া’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিষফোঁড়া। পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এই বন্দর করা হচ্ছে। এটাকে সমুদ্রবন্দর তো দূরের কথা, নদীবন্দরও বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এটি বাদ দিয়ে প্লেনে কয়লা আনা যায়।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভাশেষে আনুষ্ঠানিক এক ব্রিফিংয়ে প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও পরিকল্পনা সচিব। উপদেষ্টা জানান, ১৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ছয় হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যা হোক, ভুল প্রকল্প হলেও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষ করতে হবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা তো বলেছিলেন নদীর নাব্য হিসেবে এটাকে ঘাট বলা যায়।

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রবৃদ্ধির গড় হার ১.৫%, কর্মসংস্থানে ০.২ শতাংশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, যেকোনো দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয় ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, নতুন কর্মসংস্থান বেড়েছে তার তুলনায় একেবারেই সামান্য। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংকের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এক দশকে দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে গড়ে দেড় শতাংশ হারে। যদিও একই সময়ে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ২ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছর দেশে বিপুলসংখ্যক তরুণ কর্মক্ষম হয়ে উঠলেও তাদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করা যায়নি। এমনকি বিভিন্ন খাতের সবচেয়ে উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান বা ফ্রন্টিয়ার ফার্মগুলোও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নানা দুর্বিপাকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। এতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ও নতুন কর্মসংস্থানের গড় প্রবৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে গেছে কর্মহীনতা বৃদ্ধির গড় হার।

বিশ্বব্যাংকের ভাষ্যমতে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রকৃত জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে (৬ দশমিক ৪ শতাংশ) বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি। এমনকি দারিদ্র্যের হার নব্বইয়ের দশকের ৩০ শতাংশের বেশি হার থেকে কমিয়ে এনে ২০২২ সালে ৫ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এসব পরিসংখ্যান কাজে লাগিয়ে ২০২৬ সালে বাংলাদেশকে অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু এসব পরিসংখ্যানের প্রতিফলন দেশে নতুন কর্মসৃজনের তথ্যে দেখা যাচ্ছে না।

আজকের পত্রিকা

‘নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে ‘বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স’ (বিএএসএফ) নামে একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে ১০,৬৩২ জন। প্রস্তাব অনুযায়ী, এই জনবলের ৭০ শতাংশ নেওয়া হবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) নতুন এই বাহিনী গঠনসংক্রান্ত প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে বেবিচকের ভেতরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রস্তাবটি বাতিল এবং বেবিচকের এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবিতে বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেবিচককে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।

বিক্ষোভের পর বেবিচক বলেছে, এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। সূত্র জানায়, বিএএসএফ গঠনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে এই বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এটি থাকবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাহিনীটি পরিচালিত হবে বেবিচকের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে। নতুন এই বাহিনী গঠনের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছে ৩৯৭ কোটি ২ লাখ টাকা।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘সম্পদ বিবরণী শুধু নামেই’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের লোকদেখানো অনেক কাজ আছে; এসবের একটা হচ্ছে সম্পদবিবরণী। বিবরণীগুলো বিশ্লেষণ করা হয় না। সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিশ্লেষণ করার সক্ষমতাও গড়ে তোলা হয়নি। তারপরও সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সরকারিভাবেই নেওয়া হয়। সতর্ক করাই বিবরণী দাখিলের উদ্দেশ্য। যদিও কার্যত এ কাজের উদ্দেশ্য হাঁকডাক করা, কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা নয়। এখন সংস্কারের পালে তুমুল হাওয়া বইছে। তারপরও সম্পদের হিসাব যাচাই করার কার্যকর উপায় খোঁজায় কারও মন নেই।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দেশব্যাপী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদবিবরণী সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ। তারপরও বিবরণী গ্রহণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে অসৎ পথে, জনসেবা ব্যাহত করে কারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তার নজরদারি করা। পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা থাকায় এ বিষয়ে খুব বেশি নজর রাখা যায় না। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেলেই দাখিল করা হিসাবের সত্যতা নিরূপণ করা হয়। শাস্তির বিষয়টি বিভাগীয় কর্র্তৃপক্ষ দেখে।’

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী সরকারের কতটা কাজে আসে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সরকার শৃঙ্খলার স্বার্থে এ বিবরণী জমা নেয়। সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীরাও নিয়মানুযায়ী তাদের সম্পদের বিবরণ দেন। কিন্তু তাতে আয়-ব্যয়ে তারতম্য দেখা গেলে সেটি দেখার তেমন সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেই; এটি কষ্টসাধ্যও বটে। তবে বেতনস্কেল অনুযায়ী আয়-ব্যয়ে ভারসাম্য থাকুক সরকার তা চায়।’

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইল স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Reform proposals: BNP opposes two-term cap on prime minister’ অর্থাৎ ‘সংস্কার প্রস্তাব: প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদে সীমার বিপক্ষে বিএনপি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না-এমন সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত নয়।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে দেয়া স্প্রেডশিটের মন্তব্য বিভাগে দলটি লিখেছে, ‘আমরা একমত নই। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সম্পর্কে এমন একটি নিয়ম থাকবে, যেখানে বলা থাকবে যে একজন ব্যক্তি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।’

কমিশনের পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দু’বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। পরপর বা অন্য কোনো উপায়ে কোনো ব্যক্তি দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না।’

বিএনপির প্রস্তাব অনুসারে, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারেন, যদি পরপর দুই মেয়াদের পর বিরতি থাকে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর ‘রাষ্ট্রের নাম বদলে আপত্তি, গণভোট নয় সংসদ আগে চায় বিএনপি’। খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনায় আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে একই কাতারে ২০২৪-এর গণ অভ্যুত্থানকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও তারা একমত নয়।

সংবিধান সংশোধন নিয়ে গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিতভাবে দলীয় মতামত জমা দেয় বিএনপি। পরে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মতামত জমা দেওয়ার সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান ছিলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের গণ অভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনা হয়েছে। এটা সমীচীন নয়। সংবিধানের আগের প্রস্তাবনাই থাকা উচিত। ’২৪-এর গণ অভ্যুত্থানকে সংবিধানের অন্য জায়গায় বা তফসিল অংশে রাখা যেতে পারে। সেটা আলোচনা করে করা যাবে। সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা কমানোর কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, গণভোট নয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে হওয়া উচিত। সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে, সব আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

পাঠকের মতামত

পরিশুদ্ধ আওয়ামী লীগ করার জন্য যাঁদের নাম আসছে, গত তিন তিনটি ভুয়া নির্বাচনে তাঁরাও তো সুবিধাভোগী। ফলে তাঁরা কীভাবে আওয়ামী লীগকে পরিশুদ্ধ করবেন। সবচেয়ে বড় কথা, পরিশুদ্ধ করার আলোচনাটা আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে আসতে হবে। বাইরে থেকে এই দাবি বা আলোচনা তুলে কোনো লাভ নেই।

Babar-e-Azam
২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ১:৫৫ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status