খেলা
ইউরোপে টাইব্রেকারময় রাত
সেমিতে ফ্রান্স ও স্পেন
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবারউয়েফা নেশনস লীগের ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিল ফ্রান্স। তবে আগের লেগের ২-০ গোলের জয়ে সে বন্যায় বাধ দিতে পারলো ক্রোয়েশিয়া। রোববার দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ গড়লো অতিরিক্ত সময়ে। গোলের দেখা না মেলায় টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দু’দলকে। প্রথম শটই ঠেকিয়ে দিলেন মাইক মেইনিয়। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে ফ্রান্সই। অন্য ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দু’বার ও অতিরিক্ত সময়ে আরও একবার এগিয়ে যায় স্পেন। প্রতিবারই ম্যাচে ফিরলো নেদারল্যান্ডস। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গিয়ে আর পারলো না ডাচরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৫ গোলে সমতার পর ৫-৪ গোলে টাইব্রেকারে জিতল স্প্যানিশরা। আরেক ম্যাচে ইতালিকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মানি। স্তাদে দে ফ্রান্সে ক্রোয়াটদের জালে এদিন গুনে গুনে ২৮টি শট নেয় স্বাগতিকরা, তার মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ৮টি। অন্যদিকে সফরকারীদের ৫টির মধ্যে সবগুলো শটই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। বিরতির বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত গোলশুন্য ছিল ম্যাচ। এর মধ্যে দারুণ কিছু সেভ করেন ক্রোয়াট গোলকিপার ডোমিনিক লিভাকোভিচ। মাঠে ফিরে ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। ডি বক্সের কাছ থেকেই দারুণ এক ফ্রি কিকে জালে বল জড়ান মাইকেল ওলিসে। শুধু তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করারে ছিল না লিভাকোভিচের।
৮০তম দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে দলকে সমতা এনে দেন উসমান দেম্বেলে। অতিরিক্ত সময়েও হতাশায় মিলিয়ে যায় এমবাপ্পের কয়েকটি শট। এরপরই শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকার। প্রথম তিনটির মধ্যে দু’টি শটই মিস করে সফরকারীরা। মার্তিন বাতুরিনার শট ঠেকিয়ে দেন মেইনিয় আর ফ্রানিয়ো ইভানোভিচের দ্রুতগতির শট চলে যায় বাইরে। গোল করেন নিকোলো মোরো। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রথম দু’টি পেনাল্টি থেকে গোল করেন ওরেলিয়া চুয়েমিনি ও এমবাপ্পে। জুল কুন্দে বল পাঠান বাইরে। ক্রোয়েশিয়ার পরের তিন শটে জাল খুঁজে নেন মারিও পাসালিচ, ক্রিস্তিয়ান ইয়াকিচ ও দুয়ে চালাতা সার। সাডেন ডেথে স্তানিসিচের শট ঠেকিয়ে দেন মেইনিয়। রান্দাল কোলো মুয়ানি গোল করলে জয়ের আনন্দে ভাসে স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের মাঠে প্রথম লেগ ড্র হয় ২-২ গোলে। ফিরতি লেগে অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্পেনকে এগিয়ে নেন মিকেল ওয়ারসাবাল। বিরতির আগে দারুণ সব আক্রমন-পাল্টা আক্রমণেও জাল খুঁজে পায়নি দু’দল। মাঠে ফিরে ৫৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরান মেম্ফিস ডিপাই। জাতীয় দলের হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৪৭টি। আর ৩ গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন নেদারল্যান্ডসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবিন ভ্যান পার্সিকে। ৬৭তম মিনিটে ফের স্পেনকে লিড এনে ওয়ারসাবাল। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি শোধ করেন অভিষিক্ত ডিফেন্ডার ইয়ান মাতসেন। ২-২ গোলের সমতায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৩তম মিনিটে দূরপ্রান্তের শটে স্প্যানিশদের আরেকবার এগিয়ে নেন তরুণ তুর্কি লামিন ইয়ামাল। ছয় মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৫-৫ করেন জাভি সিমন্স। টাইব্রেকারে দুই গোল মিস করে সফরকারীরা। আর স্বাগতিকরা মিস করে একটি। শেষ শটে পেদ্রির বল জাল ছুঁয়ে দিতেই উল্লাসে মাতে স্প্যানিশরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলবে স্পেন। কোয়ার্টার ফাইনালের আরেক ম্যাচে ইতালিকে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে হারিয়েছে জার্মানি। প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয়ের পর জার্মানদের মাঠে গিয়ে ৩-৩ গোলে ড্র করে ইতালিয়ানরা।