বিশ্বজমিন
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংকট সমাধান কতদূর!
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য পরোক্ষ আলোচনার পথ খোলা আছে বলে জানিয়েছে ইরান। তবে সরাসরি আলোচনার বিষয়ে মেলেনি কোনো ইতিবাচক উত্তর। দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি না বদলানো পর্যন্ত সরাসরি আলোচনা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যতদিন তার ‘সর্বোচ্চ চাপ নীতি’ বজায় রাখবেন ততদিন ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনায় বসবে না। ২০১৫ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে তেহরান ও ৬টি পশ্চিমা শক্তিধর দেশের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। এতে বলা হয়, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে, বিনিময়ে ইরানকে তার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসতে হবে। শর্ত অনুযায়ী স্বাক্ষরকারী দেশগুলো চুক্তি মেনে চলে। ফলে, ইরান অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে থাকে। তবে বাধ সাধে ২০১৮ সালে যখন ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। শুধু প্রত্যাহার করেই ক্ষান্ত হননি, ইরানের ওপর জারি করেন একাধিক নিষেধাজ্ঞা। এরপর ইরানও ওই চুক্তি থেকে সরে আসে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বহুদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক কর্মসূচি চালানো অভিযোগ এনেছে। ইরান যদিও তা প্রত্যাখান করেছে। দেশটির তরফ থেকে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। ৭ই মার্চ ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছেন। ইরান যদি তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে তাহলে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেন। ওই চিঠি ১২ই মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশে’র মাধ্যমে তেহরানে পাঠানো হয়।
শুক্রবার খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি তাদেরকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারবে না। ওই সময় তিনি ট্রাম্পের আলোচনার বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ট্রাম্প বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাচ্ছে যে- যুক্তরাষ্ট্র ওই কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী এবং ইরান আগ্রহী না।