খেলা
বাংলাদেশ বনাম ভারত
প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:১৫ অপরাহ্ন

কিক অফের পরেই সুযোগ কড়া নাড়ল দরজায়, কিন্তু কী অবিশ্বাস্যভাবেই তা নষ্ট করল বাংলাদেশ। শাহরিয়ার ইমন কিক অফের শট নিলেন হামজার চৌধুরীর উদ্দেশ্যে। তিনি বল রিসিভ করেই লং পাস বাড়ালেন ডান দিকে। মজিবুর রহমান জনি যদিও প্রস্তুত ছিলেন না, তারপর ভারতীয় গোলকিপার বিশাল কাইথ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দিলেন জনির পায়েই। ভারতের বিপক্ষে আজ প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। তবে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে শুরু থেকে একাধিক সুযোগ পেল বাংলাদেশ। কাজে লাগাতে পারল না একটিও। চেনা মাঠে, দর্শকের সামনে আলো ছড়াতে পারলেন না অবসর ভেঙে ফেরা সুনিল ছেত্রি; ভারতও পেল না জালের দেখা। তাতে গোলশুন্যভাবে শেষ হলো প্রথমার্ধ।
জনির ওই মিস জলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। দশম মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে ইমনের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর রাকিব ও জনির মধ্যে থেকে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন এক ডিফেন্ডার। কর্নার নিতে আসেন হামজা। গ্যালারি থেকে এবার শুরু হয় দুয়ো! অথচ শেফিল্ড শিল্ডে খেলা এই বাংলাদেশি ফুটবলারকে কিক অফের আগে নাম ঘোষণার সময় উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছিল দর্শকরা! হামজার কর্নার গ্লাভসে নেওয়ার পর ইন্ডিয়ান সুপার লীগে রেকর্ড ৫০ ম্যাচ ক্লিনশিট রাখা কাইথের কল্যাণে সুযোগ আসে আবারও। তার গোল কিক শাকিল আহাদ তপুর পিঠে লেগে বল চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। এই মিডফিল্ডারের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান শুভাশিষ বোস।
অষ্টাদশ মিনিটে শেখ মোরসালিনের ক্রস ইমন ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। পোস্টে বল থাকলে খুলতে পারত ম্যাচের ডেডলক। এর একটু পরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু। তার বদলি নামেন রহমত মিয়া। ছেত্রিকে কড়া পাহারায় রাখার কাজটুকু শুরু থেকে দারুণভাবে করছিলেন কাজী তারিক রায়হান। তাতে পোস্টে মিতুলকে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল না। ২৮তম মিনিটে লিস্টন কোলাসোর কাছের পোস্টে নেওয়া শট অনায়াসে গ্লাভসে জমান তিনি। ৩১তম মিনিটে প্রথম কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হন মিতুল। বাম দিক থেকে লিস্টন কোলাসোর ক্রসে উদান্তা সিংয়ের হেড পাসে বল যায় ফারুক চৌধুরীর পায়ে। ছোট বক্সের ভেতর থেকে তার শট ঝাঁপিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আটকে সে পরীক্ষায় উতরে যান মিতুল।
দশ মিনিটে পর আবারও জনি নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে ইমনের হেড পাস করলে বল যায় জনির কাছে। এক ছুটে বক্সে ঢুকেও পড়েন তিনি। তখন সামনে কেবল ভারত গোলকিপার। অথচ না করলেন চিপ, না নিলেন শট, কাইথ ক্লিয়ার করলেন অনায়াসে।