খেলা
খেলতে খেলতে প্রেম, অতঃপর...
সামন হোসেন
(২ দিন আগে) ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৪৯ অপরাহ্ন

আখি খাতুন ও শরিফুল ইসলাম টিংকু
কারও দেখা ব্যাডমিন্টন কোর্টে। কারও দেখা হয়েছিল সাঁতারের পুলে। আবার কোনো কোনো জুটির যুগল যাত্রা শুরু হয়েছিল তির-ধনুকের লক্ষ্যভেদের খেলায়। পছন্দ থেকে প্রণয়, প্রণয় থেকে পরিণয়। হৃদয়ের লেনদেনের সফল পরিণতিতে খেলার মাঠ থেকে জীবনের জুটি হয়েছেন অনেকেই। ক্রীড়াবিদদের প্রেম-পরিণয় এবং ঘর বাঁধা নতুন কিছু নয়। তবে বিষয়টা যে খুব হরহামেশা দেখা যায় তা-ও কিন্তু নয়। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এমন কিছু জুটির গল্প নিয়ে এই প্রতিবেদন।
আবুল হাশেম ও কামরুন নাহার ডানা (ব্যাডমিন্টন)
ক্রীড়াবিদদের প্রেম ও বিয়ের কথা বললে প্রথমেই আসবে ব্যাডমিন্টন তারকা কামরুন নাহার ডানা ও আবুল হাশেম জুটির কথা। ১৯৭৯ সালে ব্যাডমিন্টনে প্রথম জাতীয় শিরোপা জেতেন ১৯৬০ সালে জন্ম নেয়া ডানা। তিনি মনোয়ার উল আলম বাবুলের সঙ্গে মিশ্র দ্বৈতে এই শিরোপা জিতেছিলেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি আরও ১২টি শিরোপা জেতেন। নারী এককে তিনবার, দ্বৈতে চারবার এবং মিশ্র দ্বৈতে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হন ডানা। ১৯৮৫ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন আরেক সাবেক জাতীয় তারকা শাটলার আবুল হাশেমকে। দুই সন্তান নিয়ে দিব্বি সংসার করে চলেছেন রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া সাবেক দুই শাটলার। ডানা হাশেমের পর গত দশকে জুটি বাঁধেন এনায়েত খান উল্লাহ-এলিনা সুলতানা দু’জনই ব্যাডমিন্টনের সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। এনায়েত খেলা ছেড়ে এখন পুরোদস্তুর কোচ-সংগঠক। এলিনাও মনোনিবেশ করেছেন কোচিংয়ে। ২০১১ সালে দু’জন ঘর বাঁধেন। এরপর একে একে ১৪টি বসন্ত পাড়ি দিয়েছেন। দু’জন থেকে তারকা দম্পতির সংসার এখন পাঁচজনের। তাদের ঘর আলো করে রেখেছে তিন সন্তান। এনায়েত এলিনার পর বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছেন বহু বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাপলা আক্তার-ওয়াহিদুজ্জামান রাজু। রাজু শাপলার ঘরেও এক সন্তান। তারা দু’জনেও খেলা ছেলে পুরোদমে কোচিংয়ে ব্যস্ত।
সাইফুল আলম রিংকি ও সাবরিনা সুলতানা (শুটিং)
ক্রীড়াঙ্গনে আরও একটি জুটি বেশ পরিচিত। শুটিং জগতের দুই তারকা সাইফুল আলম রিংকি ও সাবরিনা সুলতানা। ২০০৩ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন এই দুই শুটার। দেশ ছেড়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের আগাসির শহর লাস ভেগাসে ছিলেন অনেকদিন। এখন অবশ্য ফিরে এসেছেন দেশে। দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। শুটিং রেঞ্জেই হৃদয়ের লেনদেন সেরেছিলেন ফিরোজ আহমেদ পাখি ও লাভলী চৌধুরী আঁখিও। সেই ভালোবাসা পরিণয় পায় ২০০০ সালে। ভালোবাসার সংসারে একটি মেয়েও ছিল তাদের। কিন্তু ২০১২ সালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইমাড়ি ব্রিজ এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ফিরোজ আহমেদ পাখি ও তার মেয়ে পুষ্পিতা। সৌভাগ্যক্রমে লাভলী বেঁচে যান। শুটিং এরা ছাড়াও বাস্তব জীবনে জুটি হয়েছে শাকিল আহমেদ-নাজিফা নাতাশা, আবদুল্লা হেল বাকি ও সাফারিয়া আক্তার।
শাহজাহান আলী রনি ও মাহফুজা আক্তার শীলা (সাঁতার)
সাঁতারে সম্ভাবনা জাগিয়েও ইনজুরির কারণে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি শাহজাহান আলী রনি। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে স্বর্ণ জিতেছিলেন তিনি। অন্যদিকে মাহফুজা আক্তার শীলা ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের আসামের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে জেতেন দু’টি স্বর্ণপদক। ২০১৬ সালে পুলের সঙ্গী থেকে জীবনসঙ্গী হন এই দুই সাঁতারু। সাঁতারে কামাল হোসেন ও লাবনী আক্তার জুঁই জুটি বেঁধেছেন।
হাসান উল্লাহ রানা ও রাশিদা আফজালুন নেসা (হ্যান্ডবল)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন থেকেই তাদের চেনাজানা। তবে তা ঋদ্ধ হয় হ্যান্ডবল কোর্টে এসে। সাবেক দুই হ্যান্ডবল খেলোয়াড় সংসার পেতে এখনো নটআউট। এক ছেলেকে নিয়ে দিব্বি কেটে যাচ্ছে বর্তমানে এই দুই খেলোয়াড়ের জীবন। হ্যান্ডবলে তারকা দম্পতি আছে আরও একটি তারা হলেন ইশরাত দিনা ও কামরুল ইসলাম কিরণ। কিরণ খেলেছেন আশি ও নব্বইয়ের দশকে। পরে কোচিং পেশা বেছে নেন। তারই কোচিংয়ে খেলতে আসা ইশরাত জাহান দিনাকে ভালো লেগে যায়। দু’জন বিয়ে করেন ২০০৪ সালে। তাদের সংসারে দুই ছেলে।
মিলজার হোসেন ও রেহেনা পারভীন (অ্যাথলেটিক্স)
দু’জনই ছিলেন দেশের তারকা অ্যাথলেট। মিলজার হোসেন ৪০০, ৮০০ মিটার স্প্রিন্টে ছিলেন গতির রাজা। ১৯৮৫ ঢাকা সাউথ এশিয়ান গেমসে ৪০০ মিটারে রুপা জেতেন। ১৯৮৯ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ৮০০ মিটারে রুপা ও ৪০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জেতেন। এশিয়ান গেমসের ৮০০ মিটারে সেরা পাঁচে ছিলেন মিলজার। আর এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে জেতেন একটি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ। রেহেনা পারভীন তখন ১০০ ও ২০০ মিটারে অন্যতম দেশসেরা অ্যাথলেট। অ্যাথলেটিক্সের এই জুটি ১৯৯৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। অ্যাথলেটিক্সে আরেকটি জুটি আছে মো. ইসমাইল ও তামান্না আক্তারের। ট্র্যাকেই পরিচয়। চার বছরের ভালো লাগার সম্পর্কের পরিণতিতে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০২৩ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। ইসমাইল দেশের চারবারের দ্রুততম মানব। বাংলাদেশ গেমসেও সোনা জিতেছেন। লংজাম্পে ইসমাইল নয়বারের সোনাজয়ী। তামান্না নিয়মিত অংশ নেন ১০০ মিটার ও ৪০০ মিটার হার্ডলসে। জাতীয় ও সামার মিট মিলিয়ে ১০০ মিটার হার্ডলসে টানা ছয়বার সোনা জিতেছেন তামান্না। অ্যাথলেটিক্সের ট্রাক থেকে জীবনে জুটি গড়েছেন মুজিবর রহমান মল্লিক ও তাসলিমা রহমান, শাহ আলম ও হোসনে আরা খানম হাসি।
মোহাম্মদ আলী ও সোমা (টেবিল টেনিস)
আশির দশকের তুখোড় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন মোহাম্মদ আলী। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। খেলা ও কোচিং সমানতালে চালাতেন। আলীর কাছে টেবিল টেনিস শিখতে আসতেন সোনম সুলতানা সোমা। নড়াইলের মিষ্টি মেয়েকে দেখেই প্রেমে পড়ে যান মোহাম্মদ আলী। সেই পছন্দ বিয়েতে রূপ নেয় ২০০৪ সালে। এখন দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসার। আলী এখনো কোচিং করাচ্ছেন। আার সোমা দিব্বি খেলে চলছেন। টেবিল টেনিসে আরেকটি জুটি হলো মাহবুব বিল্লাহ ও মৌমিতা রুমির। সাবেক দুই জাতীয় টিটি চ্যাম্পিয়ন খন্দকার মাহবুব বিল্লাহ ও মৌমিতা আলম রুমি বেশ ক’বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। তবে তা টেকেনি বেশিদিন। দু’জনের মনের মিল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আলাদা হয়ে যান তারা।
হোসেন খান ও হুমায়রা অন্তরা (কারাতে)
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ওস্তাদ কারাতেকারা। ২০১০ সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন হোসেন খান মুন। এখন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপির) একজন প্রশিক্ষক। অন্যদিকে ২০১৯ সালে নেপাল এসএ গেমসে স্বর্ণ জেতেন আরেক কারাতেকা হুমায়রা আক্তার অন্তরা। এই দুই কারাতেকার চার হাত এক হয় ২০২০ সালে।
মাবিয়া আক্তার সীমান্ত-সাখাওয়াত হোসেন প্রান্ত (ভারোত্তোলন)
খেলতে এসেই তাদের পরিচয়। সেখান থেকেই শুরু হয় ভালোবাসা। বিয়ের মাধ্যমে তা সফল পরিণতি পেয়েছে পারিবারিকভাবেই। এদের একজন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত দেশসেরা তো বটেই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ পরিচিত। ২০১৬ সালে গুয়াহাটি এসএ গেমসে ভারোত্তোলনে সোনা জিতেছেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে নেপালের পোখারাতে আরও একবার সোনা জেতেন মাবিয়া। সেবার এসএ গেমসে সাখাওয়াত হোসেন প্রান্ত জেতেন রুপা। মাবিয়া যেমন বাংলাদেশ আনসারের ভারোত্তোলক, প্রান্তও তেমনি একই সংস্থার খেলোয়াড়। মাবিয়া-প্রান্ত একই ভুবনের বাসিন্দা। চেনা-জানা তাদের আগে থেকেই। তবে বিয়েটিকে প্রেমের বিয়ে নয় বলেই দাবি দু’জনের। মাবিয়া বলেন, বছর দুই আগে প্রান্ত তাকে নিজের মনের অনুভূতির কথা জানিয়েছিলেন। মাবিয়া বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের ওপর। এরপর পারিবারিকভাবেই গত ৭ই ফেব্রুয়ারি তাদের চার হাত এক হয়েছে। প্রান্ত বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে প্র্যাকটিস করতাম। ওকে আমার ভালো লাগতো। এক দিন প্রকাশও করি। পরে ওদের পরিবারকেও জানাই। ওরা আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে কথাবার্তা বলতে বলেন। এভাবেই আসলে সবকিছু এগিয়েছে।’ ভারোত্তোলনে এর আগে জুটি গড়েছেন মোল্লা সাবিরা ও কাজল দত্ত।
রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী (আরচারি)
বাংলাদেশের আরচারির পোস্টার বয় রোমান সানা। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি যোগ্যতা অর্জন করে খেলেছেন অলিম্পিক গেমসে। দিয়া সিদ্দিকীও এক জন অলিম্পিয়ান। টোকিও অলিম্পিকে দিয়া খেলেছেন ওয়াইর্ল্ড কার্ডে। আন্তর্জাতিক আরচারিতে নিয়মিত জুটি গড়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী। ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডে আরচারি বিশ্বকাপে জুটি বেঁধে রুপাও জিতেছেন দু’জনে। রোমান-দিয়ার এই রসায়ন খেলার মাঠেই সীমাবদ্ধ নেই। তারা এখন জীবনসঙ্গী। এক তিরে বিঁধেছে নিজেদের জীবনরেখা। ২০২৩ সালের ৫ই জুলাই তাদের ভালোবাসার সফল পরিণয় হয়েছে। বর্তমানে মার্কিন মুল্লুকে বসবাস করেছেন এই দম্পতি।
মাহবুবুর রহমান লিটু ও মাহমুদা আক্তার অনন্যা (ফুটবল)
ফুটবল ভালোবাসতেন। মাঠে খেলতেনও। নামজাদা ফুটবলার হয়তো ছিলেন না। তবে সবুজ ঘাসের মাঠ রোমাঞ্চকর হয়ে উঠতো তাদের ভালোলাগা, ভালোবাসায়। ২০১১ সালে দু’জনের বিয়ে হয়। সংসারে দুই মেয়ে। ঘর-সংসার সামলে এখনো জাতীয় নারী দলে কোচিংয়ের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এই দুই সাবেক ফুটবলার।
এদের বাইরে উশুতে জিয়াউল হক ও শিখা খাতুন, হকিতে ফজলে হোসেন ও রিতু খানম, সোহানুর রহমান সবুজ ও তাসনিন আক্তার মিম ব্যক্তি জীবনে জুটি গড়েছেন। একই খেলায় না হলেও ভিন্ন খেলায় স্বামী-স্ত্রীর উদাহরণ বাংলাদেশে আছে ভূরি ভূরি। দেশের অ্যাথলেটিক্স অঙ্গনে সুপরিচিত নাম সুলতানা পারভীন লাভলী। একসময় ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতে ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। সাতবার দেশের দ্রুততম মানবীও হয়েছিলেন লাভলী। ঠিক ওই সময়ে কামরুজ্জামান সেলিম ছিলেন দেশের ফুটবলের অন্যতম বড় নাম। অগ্রণী ব্যাংক ক্লাবে খেলেছেন। পরে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের সাদা-কালো জার্সিতেও খেলেন। শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে প্রায়ই যেতেন লাভলী। সেখানেই দেখা হয় দু’জনের। এরপর ভালোবাসা। ২০০০ সালে বিয়ে করেন তারা। এখন এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার তাদের। এই তালিকায় আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাকের আলী অনিকের নাম। জাকেরের স্ত্রী নাফিসা তাবাসসুম বছর চারেক আগে জাতীয় শুটিং দলে নাম লিখিয়েছেন। এয়ার রাইফেল ইভেন্টে নারী বিভাগে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা নাফিসা তাবাসসুম। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গ্র্যা প্রি আইএসএসএফে ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। মিশ্র ইভেন্টে জয় করেছিলেন রৌপ্য। ২০২৩ সালে চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমসেও খেলেছেন। শুটার-ক্রিকেটারের মেলবন্ধনের ক্ষেত্র বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাকের নাফিসার চেয়ে তিন বছরের সিনিয়র। একইসময় বিকেএসপি ক্যাম্পাসে থাকায় মন দেয়া-নেয়া। পাঁচ বছর সম্পর্কের পর ২০২০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুই ক্রীড়াবিদ। মাঠের বাইরে সমর্থকদের মধ্যে যতই বিরোধ থাকুক, ক্রিকেট আর ফুটবল যে হাত ধরাধরি করেই এগিয়ে চলছে তার আরেকটি দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের এক সময়ের নিয়মিত মুখ মাহবুবুর রহমান সুফিল এবং মোহামেডান নারী দলের ক্রিকেটার জিন্নাত আছিয়া অর্থি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই দুই ক্রীড়াবিদ। এই তালিকায় সবশেষ যোগ দিয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ২০২৩ সালে অভিমানে বাফুফের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়া সিরাজগঞ্জের মেয়ে আঁখি নতুন জীবন শুরু করেছেন। বর তারই একজন ভক্ত। নাম শরিফুল ইসলাম টিংকু। টিংকুও আঁখির মতো বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী। তবে ওই সময় তাদের পরিচয় ছিল না। ছেলেদের ‘কায়সার হামিদ’ খেতাব পাওয়া আঁখির খেলা দেখে ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন টিংকু। বর্তমানে কাজ করছেন চীনে একটি একাডেমির টেনিসের কোচ হিসেবে।