ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহে বাঁওড়ের ১০০ বিঘা জমি প্রভাবশালীদের দখলে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
mzamin

ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না বাঁওড়ের প্রায় ১০০ বিঘা সরকারি জমি দখল করে নিচ্ছে একটি মহল। দখলদাররা বাঁওড়ের জমি নিজেদের দাবি করে এক সপ্তাহ ধরে ভেকু মেশিন দিয়ে সমান করে চাষযোগ্য করার চেষ্টা করলেও প্রশাসন থেকে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না বলে বাঁওড়ের সাধারণ মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেছেন। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মৎসজীবীরা তাদের কেউ বাধা দিতে সাহস পাচ্ছে না। ফলে বিশাল বাঁওড়টির নাব্যতা হারানোর আশংকা দেখা দিয়েছে। 
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে বাঁওড়ের শতাধিক মৎস্যজীবী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বকুল চন্দ্র কবিরাজের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে বাঁওড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য লাল্টু মণ্ডল উল্লেখ করেন, বাঁওড়ের ১২৬.৪৫ একর জমি আছে। এর মধ্যে হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী গ্রামের ৭৯ জন ব্যক্তি ২৯.৯০ একর জমি নিজেদের দাবি করে আদালতে ২০০০ সালে মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪শে নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলা যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মাদ জাকারিয়া বাঁওড়ের জমিতে বাদীপক্ষের স্বার্থ ও স্বত্ব না থাকায় খারিজ করে সরকারের স্বত্ব বহাল রাখেন। এদিকে মামলায় হেরেও বাঁওড়ের জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন বেড়াদী গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেন, বেড়াদী গ্রামের হবিবার রহমান, মুনছুর আলী মাস্টার, খোকন, আকবর আলী, ঠাণ্ডু মিয়া ও বিশারত আলী ভেকু মেশিন লাগিয়ে বাঁওড়ের পাড়ের মাটি কেটে বাঁওড়ের মধ্যে ফেলে সমান করছেন। এতে বাঁওড়ের নাব্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। হবিবার রহমান বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ৬২ ও ২৬ সালে তাদের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু তঞ্চকতার মাধ্যমে তাদের হারিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। বাঁওড়ের মৎস্যজীবী আলমাস হোসেন জানান, ১৯৭২ সাল থেকে বাঁওড় নিয়ে অযথা মামলা করে দখলদাররা হয়রানি করছেন। তারা কোনো সময় মামলায় জয়ী হয়নি। তারপরও বাঁওড়ের জমি গ্রাস করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সহকারী (ভূমি) সজল কুমার দাস বলেন, সরকারি সম্পত্তি কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না। খবর পেয়ে তিনি হলিধানী ভূমি সহকারী কর্মকর্তা লিটন হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, মৎস্যজীবীরা তার কাছে একটি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status