বাংলারজমিন
আদালতের এজলাসেই পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
(৩ দিন আগে) ১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), সে ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক, হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩) ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি প্রত্যাশী, দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০)সে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩) পৌর ৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেব ও দলের সাধারণ সম্পাদক, লোকসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম ডালিম ৩৫) সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য। অন্যান্যরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও পদ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ই নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন। এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, আদালতের এসলাসে এ ধরণের ঘটনা মেনে নেবার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।