বাংলারজমিন
কোম্পানীগঞ্জে খেলোয়াড়দের ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবারজাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)-এর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা দলের খেলোয়াড়দের যাতায়াত ভাতা ও ডিএ দৈনিক ভাতা বিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। টুর্নামেন্টে জেলা পর্যায়ের খেলায় কোম্পানীগঞ্জের বালক ও বালিকা দল অংশ নেয়। কিন্তু কোনো খেলোয়াড়ই ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)-এর জন্য গত ১৯ই জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা দল (বালক-বালিকা) গঠিত হয়। এজন্য টুকেরবাজার স্কুল মাঠে বালকদের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছয় ইউনিয়ন থেকে আসা খেলোয়াড়েরা অংশ নেয়। দল গঠন প্রক্রিয়ায় কোম্পানীগঞ্জের এসিল্যান্ড আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি অংশ নেয়। ২৩শে জানুয়ারি জেলা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে জৈন্তাপুর অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলকে হারায় কোম্পানীগঞ্জ বালক দল। এদিন বালিকা দল হেরে বিদায় নেয় টুর্নামেন্ট থেকে। ২৭শে জানুয়ারি বালকদের দল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে গোলাপগঞ্জকে হারায়। সেমিপর্বে সিলেট সদরের সঙ্গে হেরে যাওয়া পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে বালকরা। ৩০শে জানুয়ারি ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে টুর্নামেন্টের সমাপ্তি হলেও আজ অবধি কোম্পানীগঞ্জের খেলোয়াড়েরা তাদের জন্য নির্ধারিত ভাতা পায়নি। বালক দলের খেলোয়াড় এনামুল ও মাহি বলেন- সব উপজেলার খেলোয়াড়েরা টাকা পেয়ে গেছে। কিন্তু আমরা পাইনি। একই অভিযোগ বালিকা দলের খেলোয়াড় কল্পনার। এ বিষয়ে কোচের দায়িত্ব পালনকারী রাইসুল ইসলাম রাজন বলেন, প্রতিদিনই খেলোয়াড়েরা তাদের ভাতার বিষয়ে জানতে চায়। তাদেরকে কোনো জবাব দিতে পারি না। ইউএনও সাহেবের নিকট একাধিকবার গিয়েছি। তিনি এই টাকা তার নিজের বলে দাবি করছেন। টিম ম্যানেজার ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, ৫ই মার্চ কোম্পানীগঞ্জ গেলে বেলা এগারোটা বায়ান্ন মিনিটের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমার বিকাশ থেকে ২৯৬০০ টাকা পূবালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- খেলা চলাকালীন খেলোয়াড়দের যাতায়াত ও আপ্যায়ন খরচ আমি বহন করেছি। কাজেই বরাদ্দকৃত অর্থ আমার প্রাপ্য। খেলোয়াড়েরা প্রয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় যোগাযোগ করতে পারে।