অনলাইন
বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফ’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পরিবারের
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফে’র বিরুদ্ধে বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
তবে বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মুরাদ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সেখান থেকে সে সুস্থভাবে ফিরে আসেন। ওই যুবকের নাম মুরাদুর রহমান মুন্না। সে সেজামুড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রত্না বেগম জানান, সীমান্তের কাছে তাদের জমি রয়েছে। ওই জামিতে সবজি চাষ করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে তার স্বামী সেই সবজি ক্ষেত দেখতে যান। অনেক সময় পার হলেও ফিরে না আসায় তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে একজন ফোন দিয়ে জানায়, বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমি ঘটনাটি জানাই, তারপরও তার সন্ধান পাচ্ছিলাম না। অনেক পরে আমার স্বামীকে আহত অবস্থায় পাই। আমার স্বামী জানায়, বিএসএফ তাকে মারধর করেছে।’
নিহতের বড় বোন আমেনা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় বিজিবি খবর দিলে ধানক্ষেত থেকে আমার ভাইকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়।’ তার অভিযোগ, বিএসএফ তার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তারা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরাফাত বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর আমরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’
সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি মুরাদুর নামে একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে কী কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছে কি না, না অন্য কেউ মেরেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।’
বিজিবির টহল টিমের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘মুরাদুর ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর সুস্থভাবে ফিরে এসেছে। স্থানীয় একজনের মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।’