অনলাইন
'আমরা পানামা খাল ফিরিয়ে নেবই': পানামার প্রেসিডেন্টকে জানালেন পেন্টাগন প্রধান
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৩:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পানিপথে চীনের প্রভাবের অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খাল ফিরিয়ে নেবে। মধ্য আমেরিকার দেশটিতে সফরের পর আজ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ একথা বলেছেন। কয়েক দশকের মধ্যে কোনও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের এটিই প্রথম পানামা সফর। হেগসেথ পানামার প্রেসিডেন্ট জোসে রাউল মুলিনোর সাথে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ পানিপথে চীনের বিনিয়োগ এবং সম্পৃক্ততার বিষয়ে ওয়াশিংটন যখন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তখন তিনি পানামা খালের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করলেন। পানামা সরকারের সাথে আলোচনার পর, পেন্টাগন প্রধান পানামা বাহিনীর সাথে মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, চীনা সংস্থাগুলো বাণিজ্যিক সম্পর্কের আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে এই খালটিকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। কিন্তু তা সফল হবে না। পানামা সিটিতে প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ বলেন, ‘আমরা (পানামা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) একসাথে চীনের প্রভাব থেকে পানামা খাল ফিরিয়ে আনব।’
তার পরামর্শ, ১৯৯৯ সালের পর আবার পানামার সঙ্গে নতুন চুক্তি পানামা খালে চীনের প্রভাব মুক্ত করবে। পেন্টাগন প্রধান আরও বলেন, ‘পানামা খাল তৈরি করেনি চীন। তারা এটা পরিচালনাও করে না। চীনকে এই খাল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।’ পানামা প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে পিট জানান, মুলিনো ‘চীনের হুমকি’ বুঝতে পেরেছেন। যদিও সেক্রেটারি হেগসেথ পানামা থেকে চীনা প্রভাব অপসারণের কথা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও একধাপ এগিয়ে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি। প্রেসিডেন্ট ভোটে জয়ের পরেই পানামা খাল দিয়ে যাওয়া আমেরিকান জাহাজগুলো থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
গত শতকের গোড়ায় আমেরিকাই প্রশান্ত এবং আটলান্তিক মহাসাগরের সংযোগরক্ষাকারী এই খালটি খনন করেছিল। তাদের হাতেই পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ছিল। পরে ১৯৯৯ সালে মধ্য পানামার হাতে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। ১৯৭৭ সালে আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে সই হওয়া চুক্তির ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।ফেব্রুয়ারিতে, প্রেসিডেন্ট মুলিনো চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পানামার আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ডনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানকেও সমর্থন করেছেন। গত মাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে, মার্কিন সংস্থা ব্ল্যাকরক হংকংয়ের সমষ্টিগত সিকে হাচিসনের ২২.৮ বিলিয়ন ডলারের বন্দর ব্যবসার বেশিরভাগ অংশ কিনে নেওয়ার জন্য একটি চুক্তির নেতৃত্ব দিয়েছে, যার মধ্যে পানামা খালের উভয় প্রান্তে অবস্থিত বন্দরগুলোও রয়েছে।সেই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে, এই ক্রয়টি যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ‘পানামা খাল পুনরুদ্ধার করছে’ তার একটি উদাহরণ। তবে চীন এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা চুক্তিটি পর্যালোচনা করবে।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
তা বেশ যুদ্ধ শুরু করুন - খালি অন্য দেশে কেন? নিজের দেশেও হোক