এসএ গেমস নিয়ে বিওএ’র সমন্বয় সভা

আগামী বছরের জানুয়ারিতে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস  আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান। অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে এ নিয়ে এরইমধ্যে সভা করে একটি দিনক্ষণও নির্ধারণ করেছে আয়োজকরা। ২৩-৩১শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে এবারের আসর। এই গেমস সামনে রেখে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) প্রস্তুতি শুরু করছে। সেই লক্ষ্যে আজ বিকালে বিওএ ভবনে ফেডারেশনগুলো নিয়ে একটি সমন্বয় সভার আহ্বান করেছে বিওএ। ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে দুই ভাগে সমন্বয় সভা করবে বাংলাদেশ অলিম্পিয়ক এসোসিয়েশন। আজ প্রথম সমন্বয় সভায় থাকবে ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিন অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, আরচারি, টেনিস, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, শুটিং, বক্সিং, গলফ, জুডো, কারাতে, ভারত্তোলন, কুস্তি, তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। ১৩ এপ্রিল পরবর্তী সভায় টিম ডিসিপ্লিন ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, কাবাডি, ভলিবল, হ্যান্ডবল, রাগবি, বাস্কেটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা থাকবেন। পাকিস্তান এসএ গেমসে যে সমস্ত ডিসিপ্লিন রয়েছে এর মধ্যে ট্রায়াঅ্যাথলন বাংলাদেশে কোনো ফেডারেশন বা এসোসিয়েশন নেই। রোইং ও বিলিয়ার্ড ফেডারেশন থাকলেও এখনো এই দুই ডিসিপ্লিনকে ডাকছে না বিওএ। সাঁতার, অ্যাথলেটিক্সসহ আরও অনেক ডিসিপ্লিনে একাধিক ইভেন্ট রয়েছে। কোনো ইভেন্টে বাংলাদেশের সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত আসরে কেমন ফলাফল ছিল, বর্তমান অবস্থা কেমন এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনকে চিহ্নিত করে অলিম্পিকের সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করতে হবে। সমন্বয় সভার প্রাপ্ত প্রস্তাবনাগুলো ২৩শে এপ্রিল অলিম্পিকের নির্বাহী সভায় উত্থাপিত হবে। এরপর মূলত আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে বাংলাদেশ এসএ গেমসে কোন ডিসিপ্লিন ও ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে। আজ থেকে শুরু হওয়া সমন্বয় সভায় ইভেন্টে সাফল্য সম্ভাবনা বিচার ছাড়াও ক্যাম্প পরিচালনা ব্যয় ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বিষয় আলোচনা হবে। সরকারের কাছ থেকে বিওএ অনুশীলন ও অংশগ্রহণ বাবদ বাজেট বরাদ্দ চাইবে। সেই বাজেট অনুমোদন বা পাওয়ার আশ্বাস পেলেই মূলত বিওএ ফেডারেশনগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতির নির্দেশনা দিবে। ২০১৯ সালে নেপালে সর্বশেষ এসএ গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাকিস্তান এই গেমসের পরবর্তী আয়োজক নির্ধারিত হলেও অনেক দিন পর অবশেষে গেমসের দিনক্ষণ ও ডিসিপ্লিন চূড়ান্ত হয়েছে। ভারত এই গেমসে অংশগ্রহণ করবে কি না এখনো নিশ্চিত হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের সংস্কৃতি কয়েক দফা সূচি পেছানো। কয়েক দফা পিছিয়ে আগামী জানুয়ারিতে তিন শহর লাহোর, ফয়সালাবাদ ও ইসলামবাদ গেমসটি আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান।