মাতামুহুরী নদী থেকে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের লাশ উদ্ধার

মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর মো. কাইয়ুম (৪০) নামের এক যুবকের এবং নিখোঁজের ১ ঘণ্টা পর ৬ ও ৭ বছরের দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কাইয়ুম পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া মগবাজার এলাকার নূর সুবহানের ছেলে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল। অপরদিকে, নিহত ৭ বছরের শিশু মাসুম একই উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সিএনজিচালক রাসেদের ছেলে। ৬ বছরের কনা্যশিশু প্রবাসী ছাবের আহমদের মেয়ে। তারা সকাল সাড়ে ১১টার সময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নামে। নদীতে নামার পর নিখোঁজ হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজন  দু’জনকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে মাতামুুহুরী নদীতে অজ্ঞাতনামা এক যুবক গোসল করতে নামে। গোসল করার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যাওয়ার সময় তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন। এ সময় নদীতে ডুব দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর  দেয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল আসার পর নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার আবু জাফর বলেন, ডুবুরীদল নদীতে নামার ৩০ মিনিট পর নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। তার পরিচয় শনাক্ত করে স্থানীয় লোকজন।
নৌপুলিশ ঘটনাস্থল এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বদরখালী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. নাজিম উদ্দিন। চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।