বাংলারজমিন
কুষ্টিয়ায় মহিষ লুটের ঘটনায় বিএনপি’র ১১ নেতাকর্মী কারাগারে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবারকুষ্টিয়ায় মহিষ লুটের মামলায় ১১ জন বিএনপি’র নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা সাইদুর চেয়ারম্যান রয়েছে। গতকাল কুষ্টিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজ।
তারা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ই ফেব্রুয়ারি ভোরে উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর গ্রামের মণ্ডলপাড়া এলাকায় পদ্মার চরের সাইদ মণ্ডলের মহিষের বাথানে রাখালদের অস্ত্রের মুখে ফেলে ৪১টি মহিষ লুট করে। মরিচা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তার লোকজন মহিষগুলো লুট করে। এ সময় তারা মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) বেধড়ক মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে নিয়ে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে বুধবার সকালে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করে। তবে লুট হওয়া মহিষ উদ্ধার করতে পারেনি। মহিষগুলো লুট করার পরপরই ট্রাক ভর্তি করে অন্যত্র পাচার ও বিক্রি করে দেন আসামিরা। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯ লাখ টাকা। এ ঘটনায় মহিষের বাথান মালিক সাইদের স্ত্রী তমা খাতুন ১৪ই ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালত পুলিশের ওসি নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৪১টি মহিষ লুট মামলায় ১২ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে। জামিন চাইলে ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এক আসামিকে জামিন দেন আদালত।