বাংলারজমিন
পহেলা বৈশাখে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন সিলেটের মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
(৩ দিন আগে) ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৩:১৮ অপরাহ্ন

পহেলা বৈশাখে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন সিলেটের মানুষ। সকাল থেকে নানা অনুষ্ঠানে লোকজনের ভিড় আর ভিড়। বেলা যত গড়াচ্ছিলো ভিড়ের মাত্রা আরো বাড়তে থাকে। সকালে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের সুর দিয়ে বৈশাখকে আগমন জানানো হয়। এরপর দিনভর ছিলো নানা অনুষ্ঠানমালা।
এবার প্রশাসনের তরফ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। আর এতে শরীক হন বিভাগীয়, জেলা, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন- এ দেশের মালিক হলো দেশের জনগণ। সেই মালিকানা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই হলো আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন- আমরা বিশ্বাস করি যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে জুলাই এবং আগস্টে, সেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে। নতুন বাংলাদেশের মালিকানা হবে সকল মানুষের, সর্বসাধারণের।
সকাল ৮টায় সিলেট সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখী সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ’ গাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা। এতে অংশগ্রহণ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর সুবিদবাজারস্থ ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সচিব মো. আশিক নূর, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবর্ণা সরকার, প্রধান এসেসর মো. আব্দুল বাছিত, ট্যাক্সেশন অফিসার জামিলুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তুতিউর রহমান।
সকালে পান্তা ভাত খাওয়ার মধ্য দিয়ে বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু করে সিলেট মহানগর বিএনপি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নগর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস। এ সময় নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
নগরের ঐতিহ্যবাহী সারদা হল প্রাঙ্গনে শ্রুতি আয়োজন করেছে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। বৈশাখের মেলাও বসেছে। এতে করে সিলেটের সকল সাংস্কৃতিকর্মী সহ নানা পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন। ব্লুবার্ড স্কুলে প্রশাসনের তরফ থেকে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানেও দিনব্যাপী বৈশাখের আয়োজন করা হয়।