বিশ্বজমিন
ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের আলোচিত ফটোসাংবাদিক ফাতিমা নিহত
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৭:৫৮ অপরাহ্ন

ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের বহুল আলোচিত ফটোসাংবাদিক ফাতিমা হাসৌনা। গত বুধবার ভোরে গাজা উপত্যকায় তার বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে ফাতিমার সঙ্গে তার পরিবারের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছে। গাজার মানুষের ওপর ইসরাইলের অমানবিক হামলার ডকুমেন্টেশনের জন্য বেশ আলোচিত ছিলেন এই সাংবাদিক।
চাচাতো বোন সালমা আল সুওয়াইরকি বলেছেন, ফাতিমা ভ্রমণ ও পৃথিবী ঘুরে দেখার স্বপ্ন বুনছিলেন। তবে ইসরাইলের টার্গেট হামলায় মাত্র ২৫ বছর বয়সেই তার জীবনের আলো নিভে গেলো। এ খবর দিয়ে অনলাইন মিডল ইস্ট আই বলছে, মে মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফরাসি-ইরানি পরিচালক সেপিদেহ ফারসির ডকুমেন্টারি ‘পুট ইওর সোল অন ইওর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ শিরোনামের প্রিমিয়ার ঘোষণার একদিন পরই হাসৌনাকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এই ডকুমেন্টারির বেশির ভাগ সময় জুড়ে ছিলেন নিহত এই ফটোসাংবাদিক ।
গণমাধ্যমটি বলছে, হামলায় ফাতিমার আরও ছয় ভাইবোন নিহত হয়েছে। তার বাবা-মা আহত হলেও এখনও জীবিত রয়েছেন। তবে বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও ফাতিমার বাবাকে তার সন্তানদের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়নি। ফাতিমার মায়ের জ্ঞান থাকলেও কিছুটা বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। তার চাচাতো বোন সুওয়াইরকি মিডল ইস্টকে জানিয়েছেন, ফাতিমার মায়ের আঘাত সামান্য হলেও তিনি তার মেয়ের মৃত্যুতে হতবাক হয়ে গেছেন। কেননা তাকে নিয়ে তাদের স্বপ্ন ছিল। ফাতিমা তার চাচাতো বোনকে বলেছিলেন, তিনি অল্প অল্প করে অর্থ জমাচ্ছেন। যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বের হতে পারেন। তার এই স্বপ্ন মুহুর্তের মধ্যেই মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করেছে তেল আবিব। দীর্ঘ ১৮ মাসে উপত্যকাটিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। তাদের বোমার আঘাতে প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ফাতিমার অনেক নিকটাত্মীয় রয়েছে। পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন ফাতিমা। তারপরেও তিনি তার বিয়ে নিয়ে খুব উচ্ছসিত ছিলেন। বেঁচে থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার বাগদত্তা আজিজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেন তিনি।