বাংলারজমিন
আওয়ামী লীগ নেত্রীকে বিশেষ অতিথি করে হাসনাত কাইয়ুমের মতবিনিময়
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জোহরা আক্তারকে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে বসিয়ে ছাত্র, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। শনিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফাতেমা জোহরা আক্তারও বক্তব্য রাখেন। এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম তার বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে যার তার সঙ্গে সমঝোতা করবেন উল্লেখ করলে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কি আওয়ামী লীগের সঙ্গেও সমঝোতা করবেন। উত্তরে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী দুইটা দলকে মনে করি গণহত্যাকারী দল। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে প্রথম গণহত্যাকারী দল। এবং তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ আজকে গণহত্যাকারী দল। আমার দুইটা শত্রুর সঙ্গে আসলে কখনো ঐক্যবদ্ধ হবো না। আমাদের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কিংবা রাষ্ট্রচিন্তা’র দুইটারই ঘোষিত শত্রু আছে। একটা হচ্ছে গণহত্যাকারী কিংবা গণহত্যাকারীর আদর্শ যারা লালন করে। আরেকটা হচ্ছে যারা পাচারকারী। এর বাইরে আমাদের কোনো শত্রু নাই। তখন এক সাংবাদিক জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জোহরা আক্তারের মতবিনিময় সভার মঞ্চে বসা এবং বক্তব্য রাখার ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমার জানা নাই আসলে এখানে কোনো সহ-সভাপতি আছে কিনা। ফাতেমা জোহরা তার পজিশন ক্লিয়ার করবে। আমরা যদ্দূর জানি, আমরা যখন থেকে সংস্কারের আলাপ করতেছিলাম, সংস্কারের রাজনীতি করতেছিলাম, তখন থেকে আমরা দেখছি আমাদের রাজনীতির প্রতি সহানুভূতিশীল। উনি আওয়ামী লীগের পদ-পদবিতে আছে বলে আমি শুনি নাই। যদি থাকে তাইলে উনারটা উনি পরিষ্কার করবেন। আর এই না জানার জন্য আমি আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতেছি, ক্ষমা প্রার্থনা করছি। হাসনাত কাইয়ুমের বক্তব্য শেষে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা জোহরা আক্তার বলেন, আমি মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পরিচয় কখনো দেইনি। কখনো আওয়ামী লীগ করিনি। মিটিং, মিছিলে কোনোদিন যাইনি। উইম্যান চেম্বারের পরিচয়ে চলেছি। জাতিসংঘে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হওয়ার বিষয়ে তখন প্রশ্ন করা হলে ফাতেমা জোহরা আক্তার বলেন, আমি এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে গিয়েছি। স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, ফাতেমা জোহরা আক্তারের স্বামী এডভোকেট শাহ আজিজুল হক কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবং পিপি ছিলেন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে ফাতেমা জোহরা আক্তার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। ফাতেমা জোহরা আক্তার জেলা উইম্যান চেম্বারেরও সভাপতি। ‘দেশ বাঁচাতে প্রয়োজন- সংস্কার, সমঝোতা ও নির্বাচন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সোহেল আহমেদ। মো. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক বিমল সরকার, অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন, খাইরুল মোমেন স্বপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।