একই বিষয়ে আবারো ভারতের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি

আবারো একই বিষয়ে প্রায় অভিন্ন মন্তব্য করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভবেশ চন্দ্র রায় অপহরণ ও হত্যার নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিবৃতি দেয়া হয়। তবে পরেরদিন শনিবার একই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে অপহরণ ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। বিষয়টি হতাশার সঙ্গে আমরা আমলে নিয়েছি। এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর চালানো একটি পর্যায়ক্রমিক নিষ্পেষণের ধারা, যখন পূর্বের এমন ঘটনাগুলোতে দায়মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা ঘোরাঘুরি করছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং আরও একবার অন্তর্বর্তী সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, কোনো অজুহাত না দেখিয়ে বা কোনো ভেদাভেদ না দেখিয়ে যেন অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব পালন করে। ওদিকে কলকাতা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারত বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংককে  প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। গত শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দিনাজপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী ভবেশ চন্দ্র রায়কে ১৭ই এপ্রিল অপহরণ করে খুন করা হয়। সেদিন রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ভবেশ চন্দ্র রায় বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।