শেষের পাতা
১০ বছর পর শেরাটন হোটেল ভবনে নিজেদের অংশ বুঝে নিলো ডিএনসিসি
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
দীর্ঘ দশ বছর পর রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত শেরাটন হোটেল ভবনে নিজেদের শেয়ারের অংশ বুঝে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দশ বছর ঝুলে থাকা বোরাক-ডিএনসিসি প্রকল্পের শেরাটন হোটেল ভবনের শেয়ার বণ্টনের অবসান ঘটলো। বিগত সরকারের সময় মেয়রদের অবহেলায় বিরাট অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল ডিএনসিসি। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে দেশের সকল খাত। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ দায়িত্ব গ্রহণ করেই ডিএনসিসি’র রাজস্ব বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রশাসকের নেতৃত্বে দীর্ঘ দশ বছর ঝুলে থাকার পর বোরাক রিয়েল এস্টেট-ডিএনসিসি’র মধ্যে ভবনের শেয়ারের অংশ বুঝে নিতে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বুধবার গুলশান নগর ভবনে হোটেল শেরাটন ও ডিএনসিসি’র মধ্যে দখল হস্তান্তরনামা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ডিএনসিসি’র পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান। অন্যদিকে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। ডিএনসিসি’র প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ-এর উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ডিএনসিসি’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। অন্যদিকে বোরাক রিয়েল এস্টেটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. সাখাওয়াত হোসেন, বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের পরিচালক মো. সীমশাদ রহমান। সরকারি আইন-বিধিবিধান ও সব ধরনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই রাজধানীর বনানীতে সিটি করপোরেশনের জমিতে পাঁচতারকা হোটেল শেরাটন নির্মাণ করেছে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড কোম্পানি। এ কাজে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার পূর্ব-অনুমতিও নেয়া হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে শেরাটন হোটেল ভবনে তাদের প্রাপ্য হিস্যা বুঝে নেয়ার জন্য ২০১৫ সাল থেকে বারবার তাগিদপত্র দিয়েছে বোরাক রিয়েল এস্টেট। সিটি করপোরেশন সঠিক উদ্যোগ না নেয়ায় রাজস্ব বঞ্চিত হয়। একইসঙ্গে হোটেল শেরাটন কর্তৃপক্ষও লোকসানের মুখে পড়ে।