শেষের পাতা
রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ নেতা গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবাররাজধানীতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৬
নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহের আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ৫০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কাউন্সিলর মো. শাখাওয়াত, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সহ-সভাপতি বাপ্পি রায়হান, ঢাকা মহানগরীর ২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের ভাতিজা এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে মো. শাহের আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি’র একটি টিম। ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি আভিযানিক দল রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাপ্পি রায়হানকে এবং অপর এক অভিযানে মো. আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। ডিবি’র মতিঝিল বিভাগের একটি টিম খিলগাঁও এলাকা থেকে মো. শাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন ডিবি সাইবারের একটি টিম রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে মো. শাহাবুদ্দিনকে এবং তেজগাঁও এলাকার একটি বাসা থেকে ডিবি’র অপর একটি টিম অভিযান চালিয়ে এডভোকেট আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
পাঠকের মতামত
গত ১৬ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে যেমন বিরোধী দল ও বিরোধী মতের লোকজন কে কোর্ট কতৃক জামিন দিলে জেল গেইট থেকে আবার সাজানো অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখায় তেমনি ভাবে আওয়ামী লীগ এবং তার অংগ-সংঘটনের নেতা-কর্মীদের বেলায়ও ঠিক একই কাজ করতে হবে কারণ বর্তমান সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে তাদের কে জেলে বন্দী করে রাখার।
বড় বড় সিটি করপোরেশন গুলির কাউন্সিলরদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রেফতার করতে হবে। কেননা এরা অস্ত্রধারী চাদাবাজ, কিশোরগ্যাং গুলির লিডার, মাদক ব্যবসায়ী। উপরন্ত এরা কোন কোন জায়গায় জুলাই অভুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার উপর সরাসরি গুলি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করেছে। এদের আইনের আওতায় আনতে পারলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্হিতির দ্রুত উন্নতি হবে।