বাংলারজমিন
আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় অপ্রীতিকর অবস্থায় পুলিশ ইন্সপেক্টর আটক
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবারবাগেরহাটের শরণখোলায় প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে রাত্রি যাপনকালে অপ্রীতিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়েছেন পুলিশ ইন্সপেক্টর মফিজ (৫২)। পরে তাকে শরণখোলা থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে প্রবাসী ইব্রাহিমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের উল্ডারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম কয়েক বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন। তার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩০) ছেলেমেয়ে নিয়ে গ্রামে বসবাস করেন। ৩ বছর আগে তৎকালীন সময় শরণখোলা থানায় কর্মরত সাবেক পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম ওরফে মফিজের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেত্রী পারভিনের পরিচয় ঘটে। এই সূত্র ধরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তারা। সে সময় এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও দলের প্রভাব খাটিয়ে পারভীন মুখ বন্ধ করে রাখেন। অন্যদিকে মফিজও শরণখোলা থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এজন্য ভয়ে অনেকে কিছু বলতে সাহস পাননি।
পারভীনের প্রতিবেশীরা জানান, এসআই মফিজ ওইসময় পারভীনের বাড়িতে প্রায় রাত কাটাতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, এসআই মফিজ পারভীনের বাড়িতে প্রায়ই রাত কাটাতেন। শরণখোলা থেকে বদলি হওয়ার পর পদোন্নতি পেয়ে নড়াইল সদর জেলা পুলিশ সার্কেল অফিসের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এরপর থেকে ছুটি নিয়ে রোববার শরণখোলা এসে পারভীনের বাড়িতে যান। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপ্রীতিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়েন মফিজ। পরে শরণখোলা পুলিশেকে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে ওই রাতে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর মফিজুল ইসলাম মফিজ বলেন, পারভীন তার পূর্ব পরিচিতা। তার ছেলে অসুস্থ তাই শরণখোলা এসে তিনি তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি স্থানীয় একটি গ্রুপের ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। তবে এ বিষয়ে পারভীন কোনো বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যান। শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ বলেন, গ্রামবাসী তাকে আটক করে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি বাগেরহাট পুলিশ সুপার ও নড়াইল জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিয়ে নড়াইল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু জনতা তাকে আটক করেছে তাই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন নড়াইল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।