প্রবাস
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো বৃষ্টিস্নাত জাপান বর্ষবরণ
রাহমান মনি
(২ দিন আগে) ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ অপরাহ্ন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে শেষ হলো জাপান প্রবাসীদের বৃষ্টিস্নাত বর্ষবরণ ১৪৩২। প্রাণের আমেজ আর হৃদয়ের উষ্ণতায় শতকন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার পর ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে জাপানে বাংলা নতুন বছর ‘১৪৩২’ কে বরণ করা হয়েছে।
টোকিওর অদূরে সাইতামা প্রিফেকচার-এর মিসাতো সিটি’র চুও এলাকার “নিওদোরি পার্ক”-এ ‘১ম বৈশাখী মেলা জাপান ১৪৩২’ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী বৃষ্টির মধ্যেও প্রবাসীদের অংশগ্রহণ, আনন্দ উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। বৈরী আবহাওয়া সত্বেও দুর্মুখোদের সকল অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে প্রবাসীদের ঢল নামে প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে। বৃষ্টি-শীত উপেক্ষা করে প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয় জাপানি, ভারতীয় বাংলাভাষী এবং অন্যান্য দেশের উৎসুক জনতাও অংশ নেয় বাংলা বর্ষবরণ আয়োজনে। এছাড়াও মেলাটি উন্মুক্ত পার্কে অনুষ্ঠিত হয় বলে অনেক ভ্রাম্যমাণ দর্শনার্থীরও পদধূলি পড়ে বাংলাদেশিদের এই মেলায়।

দিনভর উৎসবে মুখর ছিল নিওদোরি পার্ক। প্রাকৃতিক বৈরিতা যেন চাপা পড়ে যায় বাঙালির প্রাণের উচ্ছ্বাসে।প্রবাসীদের পদচারনায় সাইতামার নিওদোরি পার্কটি হয়ে উঠে জাপানের মাটিতে এক টুকরো বাংলাদেশ। প্রবাসী বাঙালিদের মিলনমেলা।
সকালের উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটিতে ডঃ তপন কুমার পাল পরিচালিত শিশু শিল্পী একাডেমীর শিশু শিল্পীদের দলীয় নাচটি ছিল বিশেষ উপভোগ্য। এছাড়াও একই একাডেমীর শিশু শিল্পী ভাগ্যশ্রী পাল―এর একক নৃত্য পরিবেশনাটি শুধু প্রবাসীরা-ই নয় স্থানীয় দর্শকরাও উপভোগ করেছেন।
প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে ৫৩ টি প্রতিষ্ঠান স্পন্সর হয়ে আয়োজনকে সাফল্য করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ান। আয়োজনে সর্বমোট ২২টি স্টল ছিল। যার মধ্যে ১১ টি ছিল খাবারের। যা, জাপানে বাংলাদেশী খাদ্য সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে। এছাড়াও বাংলাদেশের পোশাক সংস্কৃতি, আইটি , রেমিট্যান্স, মেহেদীর সাজ, আর্ট গ্যালারী মেলায় প্রাধান্য পায়।
মেলায় গুণীজন সংবর্ধনা মেলাকে বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত করে। এবছর গুণীজনদের মধ্যে জাপান জাতীয় সংসদের সন্মানিত সদস্য ইয়োশিহিরো সুযুকি, সাইতামা প্রিফেকচারের সন্মানিত সদস্য মুনেয়াকি মিতা, রিককিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়োশিয়াকি নোরো, অধ্যাপক তেৎসুও মিযুকামি, মিসাতো সিটি রোটারি ক্লাব এর সভাপতি কিয়োকো আরিয়াকে, জাপান প্রবাসী সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুনশী কে. আজাদ, শিনজি নাগামোতো এবং এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাৎসুও ইয়োশিনারি প্রমুখ।
মেলায় আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন প্লেব্যাক খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী আমেরিকা প্রবাসী রিজিয়া পারভীন এবং ক্লোজআপ খ্যাত, সঙ্গীত শিল্পী নীলিমা শশী ।
সবশেষে আয়োজকদের প্রধান বাদল চাকলাদার সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আগামী বছর আবার দেখা হওয়ার আশা ব্যক্ত করে মিসাতো সিটি’র চুও এলাকার “নিওদোরি পার্ক”-এ ‘১ম বৈশাখী মেলা জাপান ১৪৩২’-এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।