প্রথম পাতা
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে ভারতের উদ্বেগ
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ মে ২০২৫, বুধবার
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ উদ্বেগজনক ঘটনা বলে জানিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। ওই সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন। জবাবে জয়সোয়াল বলেন, গণতন্ত্রে কাজের একটা পদ্ধতি আছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি না মেনে। সঙ্গত কারণেই এটি এক উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিক কারণেই উদ্বিগ্ন। কারণ, এর মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে এবং সেই কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। জয়সোয়াল এই প্রসঙ্গে ভারতের পুরোনো মনোভাব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশে দ্রুত সুষ্ঠু, অবাধ ও সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। একইদিন নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পাঠকের মতামত
Do not poke noose into our affairs Mr. Spoke person.
বিগত পনর বছরের আওয়ামী স্বৈরশাসনে মদদ দেয়া গনতন্ত্রের জন্য কোনভাবে উদ্বেগর বিষয় মনে হয়নি এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের। তাদের এমন পক্ষপাত অবস্থান থেকে একতরফা সুযোগ নেয়া ও দাদাগিরি প্রদর্শন আর চলবে না।
অতীতে তোমরা ভারতীয়রা এদেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করেছ।
বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায় আঃলীঃ এর জন্য এত দরদ উথলে ওঠে কেন ? যাকে এদেশের মানুষ তাড়িয়ে দিয়েছে গন হত্যা গুম খুন ইত্যাদির অপরাধে।
দাদাবাবুরা কিভাবে একজন আন্তর্জাতিক ভাবে চিহ্নিত গনহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন।
২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ২০২৪ সালে যখন আমি ডামি নির্বাচন হয়েছে,২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যখন ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়েছিল তখন দাদাবাবুদের অন্তর্ভূক্তিমূলক কান্না এবং উদ্বেগ কোথায় ছিল ?
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ না করলে বাংলার মানুষ খুশি হবে।
জামাতকে যে আইনে নিষিদ্ধ করেছিলো আঃলীঃ ঠিক সেই আইনেই আঃলীঃ কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর জামাত নিষিদ্ধ হওয়ার সময়তো বলতে শুনিনি আইনানুযায়ী হয় নি এবং কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করতেও দেখিনি কিন্তু কেন ?
৯, ১৪,১৮, ২৪ সালে নির্বাচনের সময় ভারতের এই মতামত কোথায় ছিল ? ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে এই প্রশ্ন করার মত কোন সাংবাদিক সেখানে নাই ? আমাদের দুর্ভাগ্য সেখানে এই প্রশ্ন করার মত কোন সাংবাদিক আমরা তৈরী করতে পারিনি ।
আমাদের আভ্যন্তরীন বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ আর মেনে নেয়া যায় না । এরা কথায় ভারতে মুসলিম হত্যা করছে, যখন তখন মসজিদ ভেঙ্গে দিচ্ছে । এই গুলি এখন আন্তরজাতিক ফোরামে উঠানো দরকার ।
আহারে গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা! আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে ভারতের ভূমিকা আছে বলে মনে হয়। কারণ, ভারতের আস্কারা পেয়ে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে!
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন। অথচ- •১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে দিয়ে তিন তিনটি প্রহসনের নির্বাচনের সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। •বিডিআর, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। •পঁচাত্তরে শেখ মুজিব কে দিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। •'আজীবন মনে রাখার মত' বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। •দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী নাগরিকদের গুম করে ভারতে তুলে নেওয়ার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন অঙ্গরাজ্যের মতো ব্যবহার করে এখন যখন তাদের দল নিষিদ্ধ হলো, এখন সেটাকে তারা নিজেদের অঙ্গ হানি মনে করে উদ্বিগ্ন। তারমানে, ভারত যেটাই উদ্বিগ্ন, সেটাই বাংলাদেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। -ড. তুহিন মালেক
India must stop interfering in all affairs of Bangladesh. Period!
তার মানে বাংলাদেশ ঠিক পথেই আছে। বাদরের দল পাকিস্তানের হাতে মাইর খাইয়াও খাসলত বদলায়নাই।
ভারত নিজের নিজের চিন্তা করতে পারে না সালারা।
ভারতীয় বেটারা শয়তান।১৭বছরে বেটারা কথা বলেনি। আওয়ামী লীগ ভোট করেনি.
ভারতের উচিৎ নিজের চরকায় তেল দেয়া।
ভারতের উদ্বেগে বাংলাদেশের উদ্বেগ