বাংলারজমিন
ঈদ ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাইবান্ধার খামারিরা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
১৭ মে ২০২৫, শনিবারআসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া বেচাকেনার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ৪১টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬টি স্থায়ী ও ১৫টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আরও বেশ কিছু প্ল্যাটফরমে পশু কেনা-বেচা হবে। তবে এখনো জমে ওঠেনি হাটগুলো। এ ছাড়া ঈদ ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারিরা।
সম্প্রতি গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুর, দাড়িয়াপুর, সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট, মাঠেরহাট ভরতখালিসহ আরও বিভিন্ন হাটে দেখা যায়- কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য নিরাপত্তার বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, মহিষ, গাভী, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচা হবে। আর কয়েকদিন পরই পুরোদমে জমে ওঠবে বলে হাট ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ সহকারী (ফডার) আব্দুল লতিফ বলেন, এ বছর কোরবানি উপলক্ষে জেলায় ১৭ হাজার ৩৬৮ খামারে ষাঁড় ৩৮ হাজার ৫৩২, বলদ ৩ হাজার ২৯৫, গাভী ২৪ হাজার ৪১, মহিষ ১৭৩, ছাগল ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৩ ও ভেড়া ১০ হাজার ৫৭৬টি মজুত আছে।
দাড়িয়াপুর হাটে গরু বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, প্রত্যেকটি পশুরহাটে দালাল, ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা শঙ্কায় আছেন। হাটে আসা দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন। ওই দামের চেয়ে বেশি বিক্রীত টাকা দালালদের পকেটে ঢোকে। এ থেকে পরিত্রাণ চান তারা। খামারি বেলাল মিয়া বলেন, আসন্ন ঈদে আমার খামারে কোরবানিযোগ্য ৯টি গরু রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে এবার হাটে দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাতটি উপজেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩০৫টি পশু। অতিরিক্ত ৬৯ হাজার ৯৭২টি কোরবানির পশু মজুত আছে। আশা করছি, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গা এসব পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে দুর্বৃত্তরা জালটাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা থাকবে।